আমি যে নারী,
শত অপমানের পরেও ভালোবাসার চাদর বিছিয়ে দিতে পারি,
সবাইকে হাসি খুশিতে রাখতে গিয়ে নিজের বলিদান দিতে পারি !
আমি যে নারী,
সংসার জীবনে সন্তানের জন্য হাসি মুখে সুখ ভাসিয়ে দিতে পারি,
সীমান্তের প্রহরী রূপে ভালোবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে পারি ।
আমি যে নারী,
সামাজিক ঘেরাটোপে নিজস্বতাকে হারিয়ে অচেনা হয়ে উঠতে পারি ,
সময়ের শেষ লগ্নে অচেনা অধ্যায়ের জন্য অগুন্তি প্রহর গুনতে পারি ।
আমি যে নারী,
সহনশীলতার প্রতিমূর্তি আখ্যায় ভূষিত হয়ে সহ্যের চূঁড়ায় বসতে পারি ,
অসহায়ত্বের ক্ষিদেতে কখনো অপ্রতিবাদী হয়ে নীরব দর্শক হতে পারি ।
আমি যে নারী,
চেতনায় ভাবনায় প্রয়োজনে অন্য মাত্রা সংযোজন করতে পারি,
কাউকে চূড়ান্ত ভালোবাসতে পারলেও চূড়ান্ত ঘৃণাও করতে পারি ।
আমি যে নারী ,
বাইরের আমির থেকে কখনো ভেতরের আমিতে বড্ড একা ,
তাই বোবা শব্দ ভারে কলমের আঁচড়েই আজ নিজেকে দেখা ।-
YQ joining date 28th April 2020
কর্মযজ্ঞে সাহিত্যচর্চার সুযোগ ... read more
রক্তে পিছল ঢাকার পথ, রক্তে পিছল স্কুল কলেজ,
অশুভ মধ্যে শুভর অনুসন্ধান, আশায় ভরা মনের দেরাজ;
দামাল ছাত্রস্রোত ছুটছে নুরুল আমিনের ভাঙতে তেজ ,
বাংলার বুকে রক্তের স্রোতে আত্ম বলিদানের দস্তাবেজ!
মাতৃভাষা জাতীয় সত্তা, ভাষাযোদ্ধা রশিদ জোব্বার, রফিক রেজ্জার দেয় প্রাণ,
নৃশংস বর্বরতার সাক্ষী সোনার বাংলা, উর্দু-বাংলার টানাপোড়েনে স্বতন্ত্রতার উড়ান;
শিলচরে এগারো শহীদের গৌরবার্থ যুদ্ধে হলো বাংলার ভাষার জয় গান ।
বাংলা আমার রক্তে, হৃদয় জুড়ে বহে বাংলার মুক্ত শ্বাস,
একুশের ভোরে দুই বাংলার দুইপাড়ে বহে মুক্তির গান ।
হৃদয় নিরুদ্ধ ভাব, বাংলার বুকে অগ্নিতুলায় ছিল বিশ্বাস,
প্রতি ২১শে স্মরনীয় ভোরে মোদের বাংলাই প্রাণের নিঃশ্বাস ।-
অসহায়বোধ ডেকে আনে নীরবতাকে,
বদলাতে পেরেছি নিজেকে হয়তো অনেকটা ;
দোষ খোঁজার বদলে মানতে মানিয়ে নিতে রত,
অন্ধকার ভীষণ প্রিয় আলো ছোঁয়া ব্যতীত !
হারানোর কিছুই নেই যার আর ,
পাওয়ার লোভ করে সে সংবরণ ;
পরিস্থিতির ঘূর্ণিপাকে ইচ্ছেগুলো দিশাহীন,
উপস্থিতির মূল্যায়নে অমূল্য অনুভূতির বরণ ।
তীব্র আকুতি অনিঃশেষ অপেক্ষার কাছে সমর্পণ,
বুকের বেপরোয়া ভাঙচুরে চলছে আবেগের নিয়ন্ত্রণ ;
সময়ের গহীনে চাপা দীর্ঘশ্বাস শূন্যতার শব্দ বোঝে,
নিয়ন্ত্রিত ভাবাবেগ যত্নের শূন্যতায় অবসর খোঁজে !
-
ভালোবাসা কি চারদেওয়ালে বন্দী থাকার প্রতিশ্রুতি ?
না, এক আকাশের নিচে দূরত্বের ব্যারিকেডে অনুভবের সুক্তি !
প্রতিদিন নাই বা হোক দেখা, না হোক আঙুলের স্পর্শ,
তবু মনে মনে হাতে-হাত ধরেই কাটে জীবনের প্রতিটা বর্ষ !
মনখারাপের রাতে একলা থাকুক সকল প্রেমের শহর,
মনের টানেই নাহয় গান্ধর্ব সম্পর্কে পড়ুক সিলমোহর।
-
জীবনের বধ্যভূমিতে ভালো থাকাটা যখন আটকে থাকে শরীরী চামড়ায়,
শব্দের ভেষজ প্রলেপে অন্ধকার যদি আগলায় কোনো বিরহিত প্রেম,
খুচরো আবেগে আত্মতৃপ্তির আড়ালে তৈরী হয় জীবনের জীর্ণগালিচা !
আংশিক সময়ের ব্যবধানে বেচাকেনার পসরা সাজিয়েছে অতৃপ্ত-ফেরিওয়ালা,
নির্দ্বিধায় তা কিনে চলেছে সামাজিক তোয়াক্কা মুছে বিষণ্ন ফকির মন,
জীবনের নাট্যশালায় অকারণে বিষাক্ত হচ্ছে শত শত অপরিণত শৈল্পিক মন !
মনের ক্ষুধা মেটাতে নেশার পাত্রে জমিয়ে চলেছে শান্তির হাহাকার,
মুক্তির হাসিতে ইচ্ছে হয় অযোগ্যের ধ্বংসস্তূপে বিজয়ের বাঁশি বাজাই,
অগ্নি পরিধির মাঝে ফিনিক্স এর মতো ডানা মেলে উড়ে বেড়াই ।
সময়ের দদুল্যমান পেন্ডুলামে সম্পর্ক যখন বিচারের কাঠগোড়ায় ,
তখন সব কার্নিভাল মুছে গিয়ে পড়ে থাকে বালি ঢেউ,
জনগণের আদালতে করুক তার বিচার অজান্তে কেউ !
-
উদ্ভ্রান্ত পথিক মায়া কাটিয়ে
জীবন-মৃত্যুর দিগন্ত রেখায় দাঁড়িয়ে;
কোনো পিছু ডাকের হাতছানি নেই ,
কেউ তার হাতের ছোটো আঙ্গুল স্পর্শ
করে বলে না তাকে কেউ ' থামো ' !
কোনো আবেগের ঢেউ তাকে ভাসায় না,
ভোরের শিশির বিন্দু শিহরণ জায়গায় না ।
ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি অরণ্যকে কাঁদলেও
পারে না রক্তাক্ত মনকে শীতলতায় জড়াতে !
মেপে মেপে কথার ভাঁজে বানায় নিজেকে অচেনা,
নতুনত্বের গন্ধে তখন পুরাতনকে আবেশে জড়ায়;
বিজন বেলায় ক্লান্তিময় পথ পেরোয় অছিলায়!
সেকি সত্যিই উদ্ভ্রান্ত না শান্ত ?
প্রশ্ন যখন উত্তরের মুখাপেক্ষী ব্রাত্য-কল্পনারা
তখন দিকভ্রান্ত হয়ে ঠিকানা খোঁজে অবেলায় !!
-
পথের সজ্জায় ঝরা পাতা দেখে
মনে পড়ে না অপেক্ষার প্রহরীকে ;
আকুলতায় ভিজে শ্বাস নেওয়া বর্ণমালা
জাগতিক সুখ কুড়ায় কবিতার বুকে !
রাতের সিগ্ধতা চিরে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ
চাপা দিতে চায় জমানো ব্যথার আর্তনাদ ;
বাস্তব জীবনের আদালতে পরাস্ত একলা-মন
শিশিরের মতো ঝরে গিয়ে করে অকারণে জিহাদ !
মিথ্যা সান্ত্বনার বৃত্তে অক্ষর বানায় নতুন অভিধান,
মন-ক্লান্তির শোকে উপেক্ষার দাবানলে প্রেমাখ্যান ।-
মন যখন থাকে ভীষণ খারাপ,
রাখি নিজেকে চারদেওয়ালে বন্দী;
না পাওয়ার রাজ্যে কিছু পাচ্ছে যারা,
বানাচ্ছে তারাও ভালো থাকার সঙ্গী!
যারা প্রেমিকের জন্য করছো হাহাকার,
ভরছো চোখে অন্ধ কাঁচের গুঁড়ো;
দিন শেষে দেখো কাঁদছে তারাও
করছে ঠোঁটে মিথ্যে হাঁসি জড়ো !
আমি তো তাই আমার রাজ্যে বাঁচি ,
উঁকি দেওয়া ভালবাসায় হচ্ছি জেরবার ;
সুখের সাথে করতে চাই না আর সন্ধি,
সবাই যে হতে চায় এখন সেরা নাট্যকার !-
শীতের সকালে সূর্যের আলসেমি চোখে পড়ে,
কবিতার শব্দরা উষ্ণতা মাখে অনুভূতির কোটরে;
অসংলগ্ন বাক্যালাপে ব্যস্ত যখন শত শত পরিচিতা,
ভাঙাচোরা মনের সখ্যতায় বিবর্ণ আলাপচারিতা !
মনের হেমিস্পেয়ারে ঝরাকান্নার অস্পষ্ট বলিরেখা,
দায়িত্বের চেতনায় বিব্রত আমিত্বের সরলরেখা ।-
তন্দ্রাচ্ছন্ন আঁখিও অপেক্ষা করে সুখ মুহূর্তের চাবিকাঠি,
মনুষ্য প্রজাতির কাছে স্বার্থ হয় তখন গুরুত্বের মাপকাঠি !
হাজারো আর্তনাদ বুকে আগলেও ঠোঁটে থাকে হাসির রেশ,
মিলন সেখানে শুধুই আক্ষরিক , ভালোবাসা তো নিরুদ্দেশ!-