অন্ধ শহরের প্রাচুর্যের বুকে,
সে লুকিয়ে রেখেছে আমিত্বের অস্তিত্ব
নীলাকাশের প্রান্তে খুঁজেছে আনন্দের স্রোত
হেরে যাওয়া-কেও হারাতে পারে সে,
অ-সুখের দেওয়ালেও সুখ এঁকেছে সে
প্রতিদ্বন্দ্বীতার আসল অর্থ শিখিয়েছে যেই মেয়েটা,
সর্ম্পকে রেখে গেছে শিকড়ের টান
সেই মেয়েটা বাস্তব আঁকে ছন্দময় সুরে,
হাসিমুখে লিখে যায় ভালোথাকার ডাকনাম
সেই মেয়েটা প্রতিভায় পরিপূর্ণা,
কাব্যে ফোটায় জীবনের নানা দিক
লড়তে জানে সেই অন্তরা,
কারণ,অন্তরা অর্থ-ই যে নির্ভীক-
মৃত্যু উপত্যকায় শোকের ভীড়,মুছে আসে সমস্ত যন্ত্রণা
শেষ চিঠিতে মানুষ বোঝে,মানুষ ছিলাম!!যন্ত্র না!-
নক্ষত্র পেরিয়েছে স্বপ্নের চৌকাঠ,শিরায় শিরায় আইনজীবী-র গল্প
সেই মেয়েটার ভালোবাসাময় রক্তে,পাগলামোও বাঁচুক অল্প।-
ব্যাকস্পেস মুছে ফেলে অজুহাতের অভিযোগ,ব্লক লিস্টে আঁচড় কাটে পুঞ্জীভূত শোক
ক্ষণিকের মেলামেশা উপসংহার টানলে তাকে ভালোবাসা নাম দেওয়া বন্ধ হোক।-
বিরহ রজনীর শেষের সন্ধ্যা আগলে,বেবাগী বসন্তের অভিশপ্ত ছাপ
ব্যথাজমা কার্নিশের শেষকোণ জুড়ে,ক্ষয়িত অন্তরের বোবা নিম্নচাপ-
আমার মনের শহরের
প্রাণহীন চিলেকোঠায় অবাধ্য
স্মৃতিচারণটুকু অতৃপ্ততায় ভুগছে
উষ্ণতা নয় অন্তিমের ছোঁয়ার প্রবলতায় পুড়ছে-
আবদ্ধ হয়েছি তার অন্তরের স্পর্শে এসে
বারবার প্রেমালাপের সঙ্গোপনে এসেছি তাকে ভালোবেসে
তার সাথে মুঠোফোনের আলাপনে
চলতে থাকে অজস্র আকাঙ্ক্ষাদের ব্যক্ত করার প্রয়াস
তার ঠিকানায় নামাঙ্কিত হওয়াই এই অন্তরের একমাএ অভিলাষ
ভালোবাসার মায়াজালে যখন বেধেঁছো,
তখন তোমার পরিচ্ছদের শেষ পঙতির
ইতিতে আমার নামটি রেখো
তোমার হৃদয়ের মণিকোঠায়
প্রিয়তমা বলতে আমার নামটিকেই গেঁথো-
কালসিটে পড়া কপালটা মুছতে মুছতে মনে হলো,
এই কপালে হয়তো আর সুখ জুটবে না!
দুপুরের নুন ভাতে সারাদিন পেট চলে না,
বৃদ্ধ চশমাটা ঘষে মেঝে নতুন করা কঠিন!
তুলি বলে,বাবা একটা নতুন জামা নাও,
এই নোংরা জামাটা এবার ফেলো
তবে দায়িত্বে অক্ষম এই মানুষটাকে কি নতুন জামা মানায়?
তুলিও চেয়েছিল,বড়োলোকদের স্কুলে পড়বে
তবে সেসব আর হলো কই?
ধারদেনায় সংসার চালাইনি,
ছেঁড়া চটিতেই মানিয়ে নিয়েছি
তবে কান্নাজমা চোখ যে ওদের হাসিমুখ দেখতে পাবে না,তা ভাবিনি
তবুও রাত পরীদের আস্তানায়,
ওই স্বপ্নরেখাটাতে বিশ্বাস জাগে
মনে মনে সাহস জাগিয়ে বলতে থাকি,
কাল নতুন ভোর,দুঃখের মাঝেই হয়তো পাবো সুখের চাবিকাঠি!-