রুদ্র রূপী দেব তুমি,নিরীহ তোমার ভাব,
মহাকাল রূপে অসুর নাশো,নিয়ে ক্রোধাগ্নির তাপ,
ছায় ভস্ম মেখে "ভোলে",গাঁজায় মারো টান,
মাদকতায় বিভোর থাকো,তবু সতীর রাখো মান,
হস্তে ত্রিশূল,মস্তকে চন্দ্র,জটায় গঙ্গার বাস,
তাণ্ডপ নৃত্যে ত্রিলোক কম্পিত,সর্ব লোকে ত্রাস।
সবকিছুরই ঊর্ধে তুমি,ওগো মম্ ভোলাময়,
সকলের তুমি মঙ্গল করো,পাপের করো ক্ষয়।-
হে নীলকন্ঠ পুনরায় তুমি
প্রকট হও এই ধরাধামে..
কলির বিষ, পান করে
এ ভুবন রক্ষা করো
হে ভৈরব ,হে অন্তর্যামী
হে মহাকাল, হে রুদ্র
ওই বিষাক্ত মহামারীর বীজ
ডমরু বাজিয়ে তুমিই
ধ্বংস করতে পারো..
-
জীবন খেলার চরকা কাটায় কিছুই তো নয় অনন্ত,
মায়ার বন্ধন যন্ত্রণা ভরা ভুল,শুধু এক "শিব" সত্য।-
বাবার মাথায় ঢালছে জল, করছে মানসিক
স্বভাব না বদলালে, কিছুই যে হবে না ঠিক।
-
ত্রিলোক শীষ নত করে সামনে যার
দেবাদিদেব মহাদেব নাম তার।
স্বয়ম্ভু তিনি ধ্যানে মগ্ন সবসময়
তার নামে জীবন হয় সত্যময়।
তুষ্ট তিনি একটি বেল পাতায়
জগৎ কল্যাণে গঙ্গাকে স্হান দিয়েছেন তার জটায়।
জগৎ সংসারের হলাহল নাশ করেন যিনি
উমাপতি তিনি পশুপতিও তিনি।
ভালোবাসার দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন প্রচন্ড
শান্ত হয়েছিলেন যখন সতীদেহ হয়েছিল খন্ড খন্ড।
ত্রিনয়নধারী আশুতোষ মত্ত দেহে ছাই ধারণে
জীবনের সত্য মৃত্যু সব বিলীন হয় তার চরণে।
-
ভারতমাতার সমস্ত নদী পবিত্র, মাতা গঙ্গার স্নানে।
এখানে প্রতিটি নুড়িপাথরে খুঁজে পাই শিবের মানে।-
কে বলে তুমি নেই?
কে বলে তুমি চাওনা ও নয়ন দিয়ে?
তবে কি করে তোমায় দেখি
পূর্ণিমা রাতে আকাশ ধারে
মেঘের আভা মেখে ।
মাঝে মাঝে তারার টিম টিম আর ঘুমহীন রাতে,
ছায়া ছায়া পথে দেখি তোমায় হেঁটে যেতে।
নির্জন বারান্দায় একলা যখন হাওয়ায় মেলে মন,
ভাবতে ভালো লাগে তুমি ভগবান নাহ কি পরক ?
সে তুমি যেই হও, মন মেতেছে তোমায়,
বনবাসী তুমি ঢের ভালো এ সব যন্ত্রের দুনিয়ায়।
-
শিব শক্তি, শিব মুক্তি
শিব আদি এবং অনন্ত।
ভক্তবৃন্দের হৃদয়কূলে,
শিব একমাত্র শ্রেষ্ঠ সত্য।
-
দেবাদিদেব,জটাধারী তিনি সর্বশক্তিমান,
ছাইভস্ম মেখে তিনি গাঁজায় মারেন টান।
তিনি আদি তিনিই অন্ত তিনি উমাপতি মহেশ্বর,
যাঁর ক্রোধাগ্নিতে কম্পিত সমগ্ৰ বিশ্ব চরাচর।
রুদ্ররপী দেব, কখনো তিনি সবার বাবা 'ভোলা',
তাঁর এককণা আশীষ বিনে থমকাবে ভক্তবৃন্দের চলা।
ত্রিশুল হস্তে ,চন্দ্রভালে তিনি এক এবং অনন্ত,
বন্ধনময় মিথ্যার জগৎ জুড়ে কেবল 'শিব' পরম সত্য।
-