মিলনের রাতে তার সঙ্গ নেই।
প্রার্থনার প্রভাতে তার সঙ্গ নেই।।
একাকিত্বে চলার পথ প্রচুর।
প্রেমে চলবো যে, তার সঙ্গ নেই।।
হাজার কষ্টের পর তার দেখা পাওয়া যেত।
আজ অবসরের সময় তার সঙ্গ নেই।।
রোজ তার স্বপনে আসা ছিল বাঁধা।
বাস্তবে কাছে থেকেও তার সঙ্গ নেই।।
সব নদীর কপালে সাগরসঙ্গম নেই।
কি হয়েছে দীপঙ্কর
যে মৃত্যুর সময় তার সঙ্গ নেই।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
তোমাকে ছাড়া জীবন মোটেও ফাইন না।
তোমাকে ছাড়া জীবনে কষ্টের লাইন না।
রোদ যাচ্ছে জীবনের আস্তে আস্তে ঢলে মানছি।
তোমাকে ছাড়া মানছিনা হবেনা সারাজীবনে সানশাইন না।।
আছে আশা, ভরসা, বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা।
আছে যখন এতসব তাই ভাঙ্গা স্পাইন না।।
ছিল মিথ্যা পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে প্রেমের প্রাসাদ।
ছিল মিথ্যা প্রেম, মোটেও ডিভাইন না।।
অশ্রু নদী বইয়ে দিই বসে কোনো গাছতলায়।
অশ্রু ঝরানো আসলে কোনো পুরুষের সাইন না।।
সত্যি তুমি ছাড়া দুনিয়া সুনসান না।
সত্যি দীপঙ্কর প্রেম আজও ডিফাইন না।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
কষ্ট পেলে দিও বলে।
কষ্ট পেলে যেও চলে।।
ভালোবাসি তাই সব কবুল।
ভালোবাসি, তুমি নাইবা বাসলে।।
হৃদয়ের ব্যাপার, করো না অপমান।
হৃদয়ে প্রেম সবসময় রেখো জ্বেলে।।
যে কেউ আমার মতোই ভালোবাসবে।
যে কেউ ভালোবাসার নামে যাবে ছলে।।
সামনে আসলে ঘুরিয়ে নিই চোখ।
সামনে আসলে চোখ যায় ভুলে।।
ভালোবাসি কখনও বলতে পারিনি।
ভালোবাসি দীপঙ্কর বলে গজলে।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
হৃদয়ে প্রেম থাকলে সাধনা ভালোবাসা।
হৃদয়ে প্রেম থাকলে প্রার্থনা ভালোবাসা।।
জাল জালিয়াতি হতে পারে আজকের রীতি।
জাল ধরা ছবিতে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা ভালোবাসা।।
কেউ আছে সামনে, কেউ আছে মনে।
কেউ কেউ করে এইভাবে অবমাননা ভালোবাসা।।
হোক সব সন্ধ্যা প্রেমিকের বাহুপাশে।
হোক সব বাসনা এইভাবে কঙ্কনা ভালোবাসা।।
কপাল থাকলে বালুচরে ফোটে ফুল।
কপাল থাকলে
দীপঙ্করেরও সম্ভাবনা ভালোবাসা।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
হৃদয়ের সাথে হৃদয় মেলে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।
হৃদয় আরেক হৃদয়কে চেনে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
হেসেছিল সে আমার হাতে গোলাপ দেখে।
হেসেই আমার হাত ধরলো সে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
আমার ঠোঁট তাকিয়ে যাচ্ছিল তার ঠোঁটের দিকে।
আমার ঠোঁট মিলল তার ঠোঁটের সাথে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
হয়ে যাক একটা নিজস্বী মোবাইল থেকে।
হয়ে থাক স্মরণীয় সব
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
প্রেমের দিন বলে সবাই
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।
প্রেমের দিনে ভালো থাকুক সবাই
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।-
কিছু দাগ শরীরের সাজিয়ে রাখবে।
কিছু দাগ মনের লুকিয়ে রাখবে।।
উঁচু পাহাড় তার চেয়েও উঁচু স্বপ্ন।
সারাজীবন সেই দাবিয়ে রাখবে।।
বানাবো তাজমহল,
বানিয়ে রাখবো তোমাকে রানী।
ভাড়াবাড়িতে সে
চাকরানী বানিয়ে রাখবে।।
প্রেম গুরুত্বপূর্ণ শরীর না পাওয়া অবধি।
শরীর পেলে কে কাকে মনে রাখবে।।
কিছু ছেলেরা দূর থেকেই ভালোবাসে।
শরীর না পেলেও
মনে মনে তারা আগলে রাখবে।।
প্রেম বড়ই জটিল জিনিস দীপঙ্কর।
প্রেম করো তবে সাবধানে পা রাখবে।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
চাই ভ্রান্তি, দৌড়িয়ে দেখো।
চাই শান্তি, দাঁড়িয়ে দেখো।।
প্রেমে মরার কথা বলে সবাই।
প্রেমে লড়ার কথা বলে দেখো।।
হয়ত প্রেমের পেয়ালায় আছে বিষ।
হয়ত প্রেমের মন্থনে পাবে অমৃত,
খেয়ে দেখো।।
ভরসা বিশ্বাস পাথরের মতো হোক শক্ত।
ভরসা করে বিশ্বাসের আয়নায় মেরে দেখো।।
সংঘর্ষ হচ্ছে
জীবনের মন্ত্র দীপঙ্কর।
সংঘর্ষ দিয়ে
জীবন সাজিয়ে দেখো।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
হৃদয়ের সাথে হৃদয় মেলে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।
হৃদয় আরেক হৃদয়কে চেনে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
হেসেছিল সে আমার হাতে গোলাপ দেখে।
হেসেই আমার হাত ধরলো সে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
আমার ঠোঁট তাকিয়ে যাচ্ছিল তার ঠোঁটের দিকে।
আমার ঠোঁট মিলল তার ঠোঁটের সাথে
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
হয়ে যাক একটা নিজস্বী মোবাইল থেকে।
হয়ে থাক স্মরণীয় সব
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
প্রেমের দিন বলে সবাই
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।
প্রেমের দিনে ভালো থাকুক সবাই
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি থেকে।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
সভায় সে ছিল খাস কাকতালীয় ভাবে।
সভায় সে দিচ্ছিল আভাস কাকতালীয় ভাবে।।
সভায় নারীকে নগ্ন করার চেষ্টা চলছিল জোরকদমে।
সভায় কৃষ্ণের হাতে ছিল রাশ
কাকতালীয় ভাবে।।
সভায় নেচেই যাচ্ছে সবাই অবিরাম।
সভায় হারাচ্ছে শ্বাস
সবাই কাকতালীয় ভাবে।।
সভায় হাসছে সবাই একে অপরকে দেখে।
সভায় ভেতরে ভেতরে উদাস
সবাই কাকতালীয় ভাবে।।
সভায় রঙ্গিন বস্ত্রে সজ্জিত সবাই।
সভায় শ্বেতবস্ত্রে সাজাবে লাশ সবাই
কাকতালীয় ভাবে।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-
এখন তার সাথে কথা বহুদূরের কথা।
এখন তার দেখা পাওয়াও ভাগ্যের কথা।।
এটা গল্প ঘটনা সেরকম কিছুনা।
এটা শুধু ভুল বুঝাবুঝির না বলা কথা।।
আমি বোধহয় গেছি বদলে তার বিরহে।
আমি জানি তার কথা আজও মিষ্টি কথা।।
মনে পড়ে যখন ফিরে তাকাই পেছনে।
মনে হয় যেন এসবই সেদিনের কথা।।
ছাড়ো দীপঙ্কর এসব
প্রেম অপ্রেম নানা কথা।
ছাড়ো এসব কথা
এখন শুধুই কথার কথা।।
© দীপঙ্কর চৌধুরী-