সাধনাটা আর হলো না সাধা,
ধরতে পারছিনা সা থেকে ধা;
আমার সাঁই-এর তত্ত্বানুযায়ী
এই দেহটাই যে গোলক-ধাঁধা।।-
যোগাযোগ বন্ধ ,বন্ধ ওদের সেতু পারাপার...মাঝে এক অবুঝ বোবা আয়না....লালন বলে ,
"তারে ধরি ধরি মনে করি,ধরতে গেলে আর পেলেম না ....
দেখেছি রূপসাগরের মনের মানুষ কাঁচা-সোনা... পথিক কয় ভেবো নারে ডুবে যাও রূপসাগরে,
বিরলে বসে করো যোগ-সাধনা।
একবার ধরতে পেলে মনের মানুষ,
ছেড়ে যেতে আর দিও না....
দেখেছি,
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা!"-
আজও বেজে উঠে মেঠো সুর,ছড়িয়ে পড়ে গ্ৰাম- শহর-পাড়া
বুকটা কেমন চিনচিন করে, না আছে লালন না একতারা ।-
ভালোবাসার কাড়াকাড়ি ভালোবাসার মারামারি,
ভালোবাসা এই বাজারে সস্তা নাকি ভীষণ?
থাকতো যদি বেঁচে লালন ভাবতো আমার মতন,
ভালোবাসা এই বাজারে করেনা কেউ যতন।
মনের দামে মন কিনিতে জানে এখন কজন,
মন পাওয়ার জন্য করে ছলনার আয়োজন।
মূল্য দেয়না কেউ সঠিক ভালোবাসা,
আসে যায় অনেকে ওরা শুধুই আশার।
লালন ফকির থাকলে বেঁচে মূল্য হতো সবার,
ভালোবাসা নিয়ে আর থাকতোনা হাহাকার।।-
দরিয়া পার করতে সবাই চায়।
লালন ও চেয়েছিলেন, নাহলে আরশিনগর এর পরশির কাছে কী করে যাওয়া হবে?-
সবার বুকের খাঁচার ভেতর যে লালন সাঁই রয়
সেই জানে মনের মানুষ কতটা সহজ হয়..-
শ্যামের বাঁশি রাধার ঠোঁটে সুর তুলে যায় কেমনে!
বিসর্জনের গান গেয়ে ফকির লালন খোঁজে এ মনে।।-
দুয়ারে দুয়ারে অন্ন ফুরায় আসে, ভেদাভেদের বেড়াজালে পানিকে আলাদা করিয়া নাম রাখিছো জল,
মাটি কে নয় আলাদা করিছো, ভাষা কে নই মুছা দিয়াছো, মনের মাঝে বসত গড়া লালনেরে কেমনে দিবা বাদ,-
স্রোতের মুখে ভেসে চলা ঠিকানাহীন খড়কুটো।
পথের পথিক এরাই সাজে হয় না কোনো ঘরমুখো।।
মনের ভেতর লালন সুখে জোয়ার আসে দুঃখের ঘাটে।
ফকির তুমি জাত চিনেছো নিঃস্ব হাতে একেলা হেঁটে।।-