-
অভিমানী প্রশ্নে নিঃস্ব হবি ?
অবাধ্য দুপুরে উত্তর সাজাবে এক ঝাঁক বেনামী রোদ !-
এমন বাদলা দিনে রোদ কেন নামালে!
এমনি সময়ে মুখে ধান থেকে খই ফোটে বিরল
এমন সময় মুখে রা নেই যে
বৃষ্টিস্নাত খড়কুটো সোনালী আভায় গ্রীন রুমে সাজসজ্জায় মগ্ন
ভগ্ন দুয়ার, ভগ্ন দালান ঠোঁটে মৃত্তিকার স্বাদ নেয়
চেটেপুটে যা খায় তার অর্ধেক শরীর বেয়ে ঝরে পড়ে
মুক্ত বন্য শিশু সাহিত্য শেখে নি, সাহিত্য পড়েনি,
তবু গোটা এক সাহিত্যের মূল চরিত্র ছিল
দীর্ঘকায় বৃক্ষ বত্রিশ পাটি দাঁত বিছিয়ে কাঁকর চিবোয়
আকাশের থমথমে ভাবমূর্তি - গাম্ভীর্য
সাহিত্যিকের ভাব-লেশহীন চোখে ভবিষ্যৎ এঁকে দেয়।
-
ছন্নছাড়া দরাজ সাঁঝে গন্ধরাজের সুবাসে শোক,
থমকে গেছে পাখির ঝাঁকের মাঝখানে ঐ পড়ন্ত রোদ।-
মেঘ বললো তোমার সাথে আড়ি,
সূর্য তুমি একাই থেকো, আমি চললেম বাড়ি।
অনেক তোমার তেজ বেড়েছে, ভাব করেছো গ্রীষ্ম সনে,
বর্ষা রানী কেঁদে কেটে একসা হলো আপন মনে।
তাইতো আমি ঠিক করলুম, এবার আমি চলেই যাবো,
দেখি তুমি বর্ষা ছাড়া কেমন করে সুখে থাকো?-
দহনের কোপে চায় একবিন্দু বৃষ্টি...
আবার চাইলেও দিতে পার এক চিলতে রোদ!!-
এক চিলতে রোদ্দুরের চোখে দেখেছি
ঝরে যাওয়া সোঁদালের ক্লান্ত হাসি
তোমার শহরের ব্যস্ত স্ট্রিটলাইটের রোশনাই
কেড়ে নিয়েছে সূর্যের অধিকার তার থেকে
বনের সোঁদালফুলকে ছাড়া শহুরে সূর্য আজও অসম্পূর্ণ
আলো তো জ্বলে, আলোর তালে ছন্দ মেলে কই?
দিতে পারো ফেরত সে সবুজ গ্রহের স্বপ্ন?-
দেয়ালের গায়ে ঘুণ ধরেছে
ফাটলের বুকটা আশাবাদী, নিরন্তর খোঁজে একফালি রোদ-