সব কিছুরই শেষ আছে, যা শুরু হয় তা শেষও হবে। একটা বছর শেষ হয়ে গেল! কি পেলাম, কি পেলাম না এসব হিসেব নিকেশ করে কোন লাভ নেই। শুধু এইটুকু মনে রাখতে হবে মৃত্যুর দিকে আরও এক পা এগিয়ে গেলাম। একমাত্র মৃত্যুই চিরস্থায়ী আর বাকি সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী।
ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন ছাড়া তেমন বিরাট কিছু পরিবর্তন হবে না তবুও কত আয়োজন নতুন বছরকে নিয়ে। পুরনো জিনিসের প্রতি আমাদের একটা মায়া কাজ করে কারণ পুরনোতে স্মৃতি মিশে থাকে আর স্মৃতি মধুময় হয়। নতুনকে আমি যত ভালোবাসি, তার চেয়ে ঢের বেশি ভালবাসি পুরানোকে।-
সময় হলে কাছে এসে একটুখানি পাশে বসো
দূর থেকে তো আর সব কথা ... read more
জানালার কাঁচে কুয়াশা জমেছে গাঢ়,
গরম চায়ের চাহিদা বেড়েছে আরও।
কালো বিড়াল, স্তব্ধ শহর,
রাতজাগা চোখ, মিথ্যা হাসি
চোখের তারায় কয়েক লক্ষ অনুভূতি।
আমি আজকাল, একা বাঁচাতে শিখে গেছি।
চলে গেলে তুমি, পৌষের মাঝ দুপুরে
নির্বাক চোখে চেয়ে থাকি শুধু;
পাইন গাছ, শিউলি ফুল, সোনালী রোদ্দুর
সকালের দার্জিলিং, শান্ত পাহাড়
অচেনা পাখির গান মুগ্ধ করে, ফিরে এসো!
জমে থাকা সব অভিযোগ ভুলে।
কমল স্পর্শ অনুভব করে শীতের মরশুম
আমি জানি তুমি নেই,কোত্থাও নেই, তবু যেন;
নিঝুম রাত, পরিযায়ী আলো,
হিমেল হাওয়া, হঠাৎ থমকে গেল -
তারপর, নগ্ন শরীরের উষ্ণতা মাপে
শহর জুড়ে ডিসেম্বর।-
দেখেও, না দেখা করি, সব কিছুর ধরিনা খুঁত।
জেনে শুনে করছো চিট।
একদিন! সবকিছু শেষ হবে জানো?
যেদিন দেওয়ালে ঠেকে যাবে পিঠ।-
দূষণের চরম সীমায় আজ পৃথিবী
বায়ু দূষণ, জল দূষণ,পরিবেশ দূষণ
সর্বশেষ সম্পর্ক দূষণ!
নিশ্চয়তা নেই বিবাহ বন্ধনের;
অনিশ্চয়তায় ভুগছে সম্পর্ক গুলো,
আজ বিয়ে তো কাল ডির্ভোস!
পরশু অন্য আর একজনের কমিটমেন্ট।
ভাইয়ের বিপদে,ভাই থাকেনা পাশে
বাবার সাথে কথা হয়না ছেলের।
আত্মীয়দের সাথে নেই কোন যোগাযোগ।
যদি গ্লোবাল ওয়ার্মিং, অ্যাসিড বৃষ্টি,
ওজন স্তরের ক্ষয় পৃথিবীর জন্য;
খুব ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে!
তবে সম্পর্ক দূষণ তার চেয়ে অনেক গুণ
বেশি ক্ষতিকর সমাজের জন্য।-
পেরিয়ে সুদূর মাঠ, কাদা মাখা সারা গায়ে
আকুল চাচা লাঙল কাঁধে হাঁটছে খালি পায়ে।
শাওনের কালো মেঘে অনবরত বৃষ্টি ঝরে!
দমকা হাওয়ায় গাছের পাতা যাচ্ছে নড়ে নড়ে!
চাচা তবু একা চলে, বলদ জোড়া সাথে
মাথাতে গামছা বেঁধে, পাঁচন নিয়ে হাতে।
মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন, দূর হতে যায় শোনা
দুই কোকিলা গাইছে গান, শুঁই সুতো দিয়ে বোনা।
ক্যানেল পেরিয়ে যেতে হবে বাইশ বিঘার মাঠে।
বসতে হবে কাল রবিবার কুসুম ডাঙ্গার হাটে।
সন্ধ্যা হলে ফিরতে হবে, কদম ফুলের সাথে।
দরজাতেই প্রশ্ন ওঠে, দাদু ফুল কই তোমার হাতে?-
বিকেল হলেই ঘনিয়ে আসে মেঘ
দেরি হয়ে যায় ফিরতে গ্রামের বাড়ি।
একটা শালিক ভিজেই জড়োসড়ো
কচুর পাতায় জলের গড়াগড়ি।
সন্ধ্যা হলেই ব্যাঙের ডাকাডাকি
পুকুর পাড়ে ডুমুর গাছের তলে।
হন হনিয়ে বাড়ির পথে হাঁটি
মেঘও দেখি পিছন পিছন চলে।
রাত্রি পোহায় একলা অবহেলায়
ভোর হয়ে যায় বারান্দাতেই বসে।
ভুল হয়ে যায় হিসাব নিকাশ
থমকে দাঁড়ায় তোমার কাছে এসে।-
ছাই চাপা যত রাগ-অভিমান
বুকের মধ্যে পুষে - শান্ত হতে হয়,
দমকা বাতাস থেমে গেলে।
ধুলো বালি মাখা রাস্তা, ঝিনুকের বুকে মুক্ত
জ্যৈষ্ঠের সেই রোদে - কুড়িয়ে পাওয়া আদুলি
সযত্নে রাখা আছে।।
রাখা আছে কত যে, পাওয়া, না পাওয়ার গল্প
কোন এক কাগজ ফিরিওলার ঝুড়িতে
ছেঁড়া ডায়েরির পাতায়....
ইকোনমিক্সের সাথে মিল নেই কোথাও
তোমার পড়া সাইন্সের সিলেবাসে।
তবুও কেন জানি আকাশের নীল
ছুঁতে আসে মাটিতে থাকা ঘাসের সবুজকে,
নিমিষে বিলীন হয়ে যায় সেই বিশাল দূরত্ব।-
বুকের ভেতর কালবৈশাখী উড়িয়ে দিয়ে ছাই,
জ্বলতে থাকা মোমের আলো নিভিয়ে দিয়ে যায়।
মুষলধারে বৃষ্টি নামুক চোখের উপকূলে,
ঠুনকো আলাপ,আলগা হাসির ছন্দপতন হলে।
নোনতা বাতাস নদী খোঁজে নিথর চোখের কোণে
ঝাপসা চোখের বারান্দাতে পাথর মোড়া মনে।
বিষন্নতায় ভুগছে জীবন মৃত্যু, ভয়, অভিমান, রাগে
বৃষ্টি আসুক আঁধার ঢেলে ফুরিয়ে যাবার আগে।-
বৃষ্টিরা খেলা করে,
ক্যাকটাসের গা বেয়ে।
অশ্বত্থের গাছে শোঁ শোঁ শব্দ
কালবৈশাখী আসছে ধেয়ে।
আজ কাগজের ফেরিওয়ালা
না ভিজে ঘরে ফিরে যদি।
অনুভূতি ঝলসে গেলে,
চোখের কোনে নেমে আসবে নদী।
বৃষ্টিরা খেলা করে,
নবাগত প্রেমিকার গা ছুঁয়ে।
বহু পুরনো কার্নিশে জমা,
আবেগ, অবহেলা ধুয়ে।
দু'হাতে বৃষ্টির জল ভালোবাসা মাখা।
ছেঁড়া চিঠি,শুকনো গোলাপ পাতা,
ভালোবাসা অভিমানে যত্নে আছে রাখা।-