লোডশেডিং। অন্ধকার ঘরে বসে আমি আর নীলা গল্প করছি, যদিও কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা, শুধু কথাগুলো শুনতে পাচ্ছি। ঠিক হলো একটা ভূতের গল্প শুনবো। তো অন্ধকারে বসেই শুরু হলো হাঁড়কাপানো ভূতের গল্প। গল্প শুনতে শুনতে ভয়ে যখন কাঁপছি তখন শেষ হলো গল্পটা। আর কারেন্টটাও চলে আসলো। ঠিক তখনই নীলা ঘরে ঢুকে বলল "যাক বাবা, কারেন্টটা আসলো,আমি তো আবার গিয়ে লাইট খুঁজছিলাম"
আমি তো হতভম্ব, নীলা ঘরেই ছিলোনা। তাহলে আমাকে গল্পটা শোনালো কে ??-
•সাজিপুরের অতৃপ্ত ভালোবাসা•
সদ্য এম.এ পাস্ করা যুবক পলাশ সাজিপুরে পৌঁছায় এক পুরানো বনবাংলো ভাড়া নিয়ে।তারপর এগোতে থাকে গল্পের চাকা...সে কী সত্যিই তার ভালোবাসাকে পায় নাকি সেও ঐ পুরনো বনবাংলোর পাঁজরে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সাথেই মিলিয়ে যায়??কী পরিণতি হয় পলাশের??
সব উত্তর আর উত্তেজনার সাক্ষী হতে সাহস করে নজর রাখুন ক্যাপশনে...-
সন্ধ্যাকালে খোলা চুলে
নদীর পাড়ে ছায়া ভাসে,
কাছে যেতেই উল্টো ছাপ
মুখে রাম রাম......!
-
" " ভূতের গল্প ( চুড়েল ভূত) " "
বুকের খাঁচায় আরও কতদিন... রাখবো ধরে সুখের স্বপ্নগুলো....
কতদিন থাকবে বন্দী খাঁচায়... মাঝে মাঝে আসে ভীড় করে ওই দুঃস্বপ্নগুলো...!
বিনা অজুহাতে আজও স্মৃতিগুলো আছে, কতকাল ধরে পুরোনো বুকের খাঁচায়...
একটুও ঘুমতে পারিনি সেদিন, ওঝা এসে বলল দেখেছে দুঃস্বপ্ন বুকের খাঁচায়..!!
ঘুমে বিভোর চোখের পাতার ওপাশে দাঁড়িয়ে, এক জমদুত আসছে দুহাত বাড়িয়ে...
হিসাব মিলিয়ে দেখছে...... এ্যলবোমে দেখছে ফোটোটাও মিলিয়ে...!
গা ছম্ ছম্ করছে কি বলছে ওরা.... এখনো ভুমিকম্প উঠেনি লাগবে সময়.....
আওয়াজ দিচ্ছি খুব চিৎকার করছি.... কেউ শুনতে পায়নি বোধ হয়....!!
গরমে দিন একা আঁধার রাতে, ঘুমিয়ে ছিলাম ঘরের ছাতে শুয়ে....
দরদর করে যাচ্ছে ঘাম বয়ে, কপালের ঘাম বারবার মুছছি গামছা দিয়ে....!
হঠাৎ ভাঙ্গলো ঘুম কঠিন ভয়ে, চেয়ে দেখি একা শুয়ে বিছানায় ঘরের ছাতে.....
শেষ রাত্রিটা জেগে জেগে কেটে গেল, স্বপ্নের কথা ভেবে পারিনি আর ঘুমাতে.....!!
তাই ভাবছি আবার যদি কেউ আসে, এই পুরোনো খাঁচাটা নিয়ে যায় তুলে....
নিয়ে যায় যাক খাঁচার কি মুল্য আছে, ভিতরের স্বপ্নগুলো নিয়ে যেওনা ভুলে.....
মনে রাখো বলছি শুনো....স্বপ্নগুলো আমার নয় ছেড়ে দিও ওই খোলা আকাশে....!!
😁😁 ভূতের গল্পটা মিথ্যা নয়,ভূত দেখেছি তিনবার জীবনের সত্য ঘটনা,,,🦍😁😁 Panchanan Maiti,,,( 03.05.2020 ),,(252 )🌺🌺🙏🙏
-
দাদাভাই টাস্ক দিল লিখতে হবে ভুতের গল্প,
দেখেই তো আমার হয়ে গেল থরহরি কম্প,
ভীতু ভীষণ আমি,সাহস মনে খুবই অল্প,
ভুত,আরশোলার কথা হলেই জুড়ি লম্ফঝম্প।
এখানে এসে পড়লাম আজ না না ভুতের কথা,
সবাই নয়তো দুষ্টু ভুত আছে কিছু মিঠে ভুতও,
কোনো ভুত হাসিখুশি,কারও মনে বড় ব্যথা,
কোনো ভুতের মাথা নেইকো,কারও পা খুঁতো।
এসব পড়ে জাগল প্রাণে নতুন এক নেশা,
ভুতের গল্প লিখব খালি ওটাই করব পেশা।-
অমাবস্যার মাঝরাত। একলা একা বেডে বসে ছবি আঁকছিলাম আর আই পি সুশান্ত সিং রাজপুতের। মাথার উপরে ফ্যানটা ভনভন করে ঘুরছিল। ফ্যানটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম। আহা! রে, প্রতিভারা এভাবেই ঝরে পড়ে পরিপূর্ণ ফুল হয়ে ওঠার আগেই।
হঠাৎ করেই মনে ভেসে উঠল স্বচক্ষে দেখা শত মৃত স্মৃতি, লাশেদের ভীড়। বাইরেও বৃষ্টি পড়ছিল মুষলধারে।
ভয় করছিল ভীষণ, টের পেলাম শরীরের রোমগুলো একে-একে জেগে উঠেছে আর ঠিক সেই সময় কারেন্টটাও চলে গেল। ভয় দ্বিগুণ বাড়ল। ঠিক ঐ মুহূর্তে বেডের তলা থেকে একটা অস্পষ্ট আওয়াজ শুনতে পেলাম,
(বাকিটা ক্যাপসনে)-
মাঝরাত
রাস্তায় কিছু বোখাটে আড্ডা মারছে
একটি সুন্দরী যুবতীকে আস্তে দেখে বললো ওরা
"কি ভয় লাগে না"
যুবতী এবার ওদের দিকে চেয়ে আগে ভয় লাগতো
মরে যাওয়ার পর আর ভয় লাগে না।
মুহূর্তে বোখাটেরা উধাও-
শাশ্বত পকেট থেকে ফ্ল্যাটের দরজাটার চাবিটা বের করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো দরজার ওপার থেকে এ কার গলা শুনতে পাচ্ছে সে, সেই চেনা গলায় 'আমারো পরানো যাহা চায়'!!!
হুবহু দেবস্মিতার মতো গলা কিন্তু তা কি করে সম্ভব গেলো সপ্তাহেই তো..দেবস্মিতা তাকে ছেড়ে চলে গেছে যেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়! কয়েকদিনের জ্বরে তার থেকে দেবস্মিতাকে কেড়ে নিয়েছে ভগবান। আর কিছু না ভেবেই দরজাটা খুলতেই গানটা থেমে গেলো,কোথায় কে কাউকে তো দেখতে পাচ্ছে না শাশ্বত। আর তক্ষুনি বিছানার উপর চোখ পড়তেই চমকে উঠলো সে, হারমোনিয়ামটা বিছানায় কি করে আসলো, এই হারমোনিয়ামটা ছিলো দেবস্মিতার প্রান, শাশ্বত প্রায় অফিস থেকে ফিরে শুনতে পেতো দেবস্মিতা এক একা রেওয়াজ করছে, আর তাকে জিজ্ঞেস করলে সে হাসি মুখে বলতো, মশাই গান ছাড়া কি মানুষ বাঁচতে পারে- জীবনে প্রথমে তুমি আর দ্বিতীয়তে আমার এই হারমোনিয়াম...।
তবে কি আজও এসেছিলো সে, তার প্রিয় হারমোনিয়ামটার সাথে সময় ভাগ করে নিতে? হারমোনিয়ামটার গাঁয়ে হাত বুলিয়ে কেঁদে পড়লো শাশ্বত..-