তখন তুমি ঝড়ের মতো, তোমায় ছোঁয়ার সাদ্ধি কার!
আমার গণ্ডি চার দেওয়ালে, তোমার আমার মধ্যেকার !
তোমার তখন রঙিন হাওয়া, সিনেমার চেয়ে কম কিসে !
আমি বুনি মুহূর্তের পাহাড়, জল ছবি আর রং পেন্সিলে!
তারপর মধ্যেখানে একটা বছর, যেন সময় পেরোয় ঘোড়ার পিঠে !
অনুভূতিগুলো আজও দাপিয়ে বেড়ায়, বুকের ভেতর ঝড়ের বেগে !
আজ তবে উত্তর আসলো শেষে, লাল খামের ওই ভেতর দিয়ে !
অপেক্ষা কি আজ মিটলো তবে? জড়িয়ে রাখার অজুহাতে ।।-
যা লিখি সবটাই সোজা সাপ্টা
তবে লেখিকা নই, হাতে খড়ি বলতে পারেন...
সাহিত... read more
তুমি তখন কলেজ পেরোনো প্রেমিক ;
আমার তখন বছর আঠেরো সবে !
তুমি খোঁজো লোকের আড়াল যত ;
আমি থাকি তত আড়ষ্ট স্বভাবে ।
তখন আমার চিনতে শেখা জগৎ ;
অনেকটা যেন তোমায় চিনতে চাওয়ার তাগিদ !
দিনের শেষের মুখ গোজা সব বাড়তি চাহিদাগুলো;
ঠিকানা পায় তোমার কাছেই জানি ।-
ধুলো জমেছে রেডিওর ওপর, তবুও বোতামের চাপে ভেসে আসে সুর
সিগন্যালটা আগের মতো না হলেও মহালয়ার সকাল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ছাড়া জমাতে পারে না আর কেউ !
এখন নবপ্রজন্মদের স্ট্যাটাসে ডিজিটাল দুর্গা, কানে গোঁজা হেডফোনেই কাটে সকাল
বীরেন্দ্র কৃষ্ণ বড্ড ব্যাকডেটেড, ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং এই কাটে মহালয়ার একাল- সেকাল !!-
তারপর আর কথা হয়নি,
বলবো ভেবেও বলতে পারিনি বাকি কথাগুলো।
শুনতে চেয়েছিল? বোধহয়! কি জানি!
অবশ্য শোনার তাড়া এতো বেশি ছিল যে সব কথা গুছিয়ে বলা যায়নি।
আমিও বলতে পারিনি কখনো! বলার সুযোগ পাইনি!
যদিও আমাদের কোনো কথাই ছিল না, কোনো কথাই হয়ে ওঠেনি।
যেটুকুই ছিল তার হিসেব রাখতে নেই! তবুও!
আচ্ছা আর কি কখনো কথা হবে? হয়তো হবে আবার না!
জানি সেদিন আর শুনতে চাইবে না, আর আমারও বলা হয়ে উঠবে না কিছুই!
শুধু মনে থাকবে একদিন আমাদেরও কথা হয়েছিল! অফুরন্ত ; যার নাগাল কেউ পাবে না!
তারপর আর কথা হবে না কোনোদিনও, এড়িয়ে যাবো সহজেই!
আসলে অপরিচিতরা কথা বলে না কখনো।-
পাশাপাশি দুটো ঘর! মধ্যেখানে দেওয়াল আর একখান দরজা ;
যেতে লাগে দু সেকেন্ড, বলতে গেলে এক! তবুও হয়নি বলা ।
একটা মানুষ আলোর বিপরীতে দাড়িয়ে! শখ নেই খুব বেশি ;
কি এসে যায় পাল্লা দিয়ে বাড়লে বয়স! কেবল সুস্থ থাকুক! যেন আজীবন ধরে রাখতে পারি ।
চোখে ঐ মোটা ফ্রেমের চশমা, সঙ্গে ইস্ত্রি করা জামা আর হাতে প্রিয় সেই হাতঘড়ি!
বাবারা অনেকটা পাহাড়ের মতো শক্ত হলেও জানি ভেতরে তাদেরও আছে চলন্ত এক নদী ।
তবুও বলবো ভেবেও বলিনি কখনো! কি বলবো? আসলে বলতে গেলেই তো ফুরোয় সব ;
সব কথা যে যায়না বলা! রোদ ওঠে, ঝড় হয়! অথচ আমাদের সম্পর্ক ধ্রুবক ।-
আলগা ছোঁয়াও শান্তি ভীষণ, যদি থেকে যায় শেষে
ভাবতে থাকা এক নিঃস্ব বিকেল গল্প খোঁজে অচেনা শহরে-
বেশ তো যাবে নিশ্চই! চলে যেতে আবার কিসের অনুমতি?
ভয় নেই, আমি সামলে নেব! এভাবেও তো বেচেঁ আছে অনেকেই !
এতো অন্ধকার! অস্থির শরীর! তবুও পাশ ফিরে খুঁজেছি সেদিনও
এলোমেলো পায়ের চাদর! বিরক্তিকর! ঝাপসা চশমায় গলা ভেজালাম "এভাবেই তবে এলে কেন?"
স্পষ্ট তোমার ভেজা চিবুক, সিঁথির মাঝে জলের আঁকিবুঁকি; জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম!
"সত্যিই কি এসেছিলে?" জানতেই প্রশ্ন যেন মুখ থুবড়ে পড়ল, শুনলাম "ভালোবেসেছিলাম"
আমি তখন গা ভাসালাম, স্রোতের অনুকূলে; বললাম "বাইরে এখন ঝড় প্রচন্ড আজ নাহয় থেকেই যেও!"
ঠোঁটের ভাজে চিলতে হাসি এখনো বালিশে মাথা রেখে, আমায় তুমি থামিয়ে বললে,
"বৃষ্টি এলেই কেন মনখারাপ হয় আমায় বলতে পারো?"
আপাতত স্তব্ধ ঘর, কথার খেলা শেষ! বৃষ্টি এখনো পড়ছে অবিরত, টুপটাপ এইতো বেশ !
এবারও তুমি এড়িয়ে যাবে, না বলেই চলে যাবে ফের;
"আজ তবে আসি, একজায়গায় বেশিক্ষণ থেকে যেতে পারি না এটাই আমার অভ্যেস!"-
গল্পের নাম নেই তবুও শব্দ বাড়ে ; কলমের ঘষাঘষি চলে অবিরত !
মানুষ আসে আবার চলেও যায়! শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে যায় একগাদা স্বপ্ন ।
প্রথমে থাকে কথার পাহাড়, তারপর ধীরে ধীরে বাড়ে ফাঁক
যারা থাকবে বলেও থাকে না শেষে ; জানিনা কেন তাদের ভালোবেসেছিলাম একঝাঁক !!-
আজকে রাজার একশো বছর, তবুও রশ্মি আজও রয়েছে প্রখর ;
চারমিনার আর রায়ের দিন; "সত্য" আজও চিরকালীন ।
অপু আজও স্বপ্ন দেখায়! দুর্গা নাকি এখনো বাঁচে?
যেন মানিক আছে আজও লুকিয়ে হীরক রাজার আপন দেশে ।
গুপী বাঘা চলে গেছে কবেই! গান গায় না এখন আর কেউ!
ভুতের রাজার বর নেই আর ফেলুদাও আজকাল নিশ্চুপ!
একে একে সবাই তো গেল! কেবল স্মৃতিগুলো রইলো মগজাস্ত্রে ;
ক্যামেরা হাতে শিল্পী চোখে সবটাই নাহয় বাঁচুক এখন শুধুই সত্যজিতে ।-
কতই বা রোজগার! সংসার চলে ঠিক মত?
এক আকাশ বাঁচার লড়াই নিয়ে ওরাও হাসে শেষ রাতেও !
মেহনতিতে রক্ত ঝড়ে, রোদ জল ঝড় তোয়াক্কা করে ;
বাঁচার জন্যই লড়তে হবে! অল্প টাকায় ওরা কাজ করে !
মানুষ বলি যাদের কিন্তু ব্যাবহার পশুর মতো!
টাকার হিসেব মেটায় শরীরে তারা শুধু মানুষের মতো!
এদের তবুও মনুষত্ব আছে, রক্তে আছে সত্য; খেটেখাওয়া লোকগুলোই বোধহয় মানুষ হয় চোখে হাজার স্বপ্ন !
খুচরো কিছু টাকা সঙ্গে বুক পকেট ঝুলে যায় দায়িত্বভারে ;
সব হারানো এই মানুষগুলোই যেন বাঁচে শহরের সবথেকে স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে !
ওদেরও আনন্দ হয়, নিদ্রাহীন রাত ভাঙ্গে ভরপেট ভাতে ;
নরম গদির কর্তারা শুধুই ফাঁক খোঁজে! দায়ভার ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে !
ফসল থেকে অট্টালিকা নিপুণ হাতে গড়ে, তবুও বাঁচার জন্য লড়তে হবে শেষে ;
একটা দিন তাদের জন্যও থাকুক মে দিবসের নামে ।-