মানুষ ভুলেছে মনুষ্যত্ব
মানবিকতা ভোগে বিপন্নতায়,
বিবেক আজ অস্তাচলে
কে বাঁচে আর কাকে বাঁচায়।
সহযোগিতার নেই মনোভাব
সবাই শুধু আমি আমি করে,
আধুনিক সমাজের সভ্য মানুষ
সব নিজের দোষেই মরে।
অন্যের বিপদে নীরব দর্শক
যেন দেখছে বসে থিয়েটার,
মানুষ আজ হারিয়েছে হুশ
সংকীর্ণতা বাজায় গীটার।
সমাজ যেন হাসির খোরাক
একতা খুঁজে পাওয়াই শক্ত,
সুখ হারিয়েছে তার ঠিকানা আর
যন্ত্রণাগুলো থেকে যায় অব্যক্ত।-
নিজের মেয়ে কিছু আব্দার করলে
মেয়ে আমার আহ্লাদী শুধু হাতে পায়েই বড়ো হয়েছে
অন্যের মেয়ে কিছু আব্দার করলে,
এ এতো বড় হয়ে গিয়েছে তবুও ন্যাকামি শেষ হয়নি.....
-Riya-111
-
জীবন আপন কাটছে ছড়া,
সবাই বলছে ভুলে ভরা।
মানবো কেন নিজের দোষ?
ধরলে ভুল করবো ফোঁস।
আয়না দেখি চোখ রাঙায়,
আঙ্গুল তুলে ভুল ভাঙায়।
তখন খুঁজে নিজেকে পাই,
হোঁচট খেয়ে সামলে যাই।-
আত্মগোপন করা সহজ সমাজের চোখ থেকে,
কিন্তু বিবেকের কাছে!
তার কাছে ধরা পরে যেতে হয়
নিজের অজান্তেই।-
মানুষ ভুলেছে মনুষ্যত্ব
বলতে খুবই সহজ লাগে।
তাদের গভীরে দৃষ্টিপাত করেছ,
তারা দিন দুনিয়ায় কিভাবে বাঁচে?
বলতে খুবই সহজ লাগে
নেই তাদের মনুষ্যত্ব,
যতই খারাপ হোক তারা সব
বর্তমান পরিস্থিতিতে থাকছে পাশে।-
গতবছর শেষদিকে কলকাতায় পোস্টিং হয়েছে অনন্যার । নর্থ-বেঙ্গল থেকে এসে তাড়াহুড়ো করে স্বল্প খরচায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েই থাকতে হচ্ছে ওকে। বছরের শুরু থেকেই ওর ইচ্ছা ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দিয়ে একটা ফ্ল্যাটে মাকে নিয়ে শিফট্ করার। প্রমোশনটা না হলে এই স্যালারিতে সংসার চালিয়ে ফ্ল্যাট বুক করার সাহস হচ্ছিল না ! তাছাড়া জমানো টাকা যা আছে তাতে পুরোটা কভার করতেও চাপ হচ্ছিল। যদিও, জানুয়ারিতে প্রমোশনটা হওয়ার পর বেশ কিছুটা টাকা জমিয়ে ফেলেছিল ও লাস্ট সাত মাসে । কিন্তু, সেদিন অফিসের নিচে চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়ে দেখে মালতি মাসির বদলে পারুল চা বানিয়ে বিক্রি করছে । ওকে মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলে ও বলে - মায়ের অসুখ জ্বর হয়েছিল খুব, পাড়ার লোকেরা নিয়ে গিয়ে হসপিটালে ভর্তি করেছে, ডাক্তার বলছে ডেঙ্গু হয়েছে । বাড়িতে খাবার নেই তাই ওকেই দোকান চালিয়ে টাকা নিয়ে যেতে হবে বাড়িতে নইলে ওর ভাইটা সারাদিন না খেয়ে থাকবে। পারুলের কথাগুলো সেদিন খুব ভাবিয়েছিল অনন্যাকে । পরদিন বেলার দিকে এসে পারুলকে নিয়ে হসপিটালে যায় ও! নিজের জমানো টাকার কিছুটা অংশ হসপিটালে এবং বাকিটা পারুলকে দিয়ে আসে যাতে কিছুদিন বাড়িতে থেকে ওর ভাইয়ের আর ওর খাওয়ার খরচটা মিটে যায়। কদিন পর মিনতি মাসি বাড়ি ফিরে এলে অনন্যা ভাবে - জমানো অর্থটা ব্যয় করে ওদের পরিস্থিতি ঠিক করে দেওয়াতে যে খুশিটা এসেছে সেটা নতুন ফ্ল্যাটে শিফ্ট করলে মিলত না।
-
মৈত্রীর অন্তরালে ভালোবাসা আজ কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত;
কিন্তু বিবেক নামক বিচারকের রায়ে আবেগি মনটা শান্ত!-
আবেগি মন বলছিল
কিছু একটা করা দরকার
ওদের জন্য,
কিন্তু বিষয়ী ভাবনা
যারা মনের প্রায় বেশিরভাগ জায়গাটি দখল বসে ছিল
তারা বলছিল ফিরে আয়, ওরা তো অভ্যস্ত ।
রাস্তায় ওদের জন্ম, ছেড়া বস্ত্রই ওদের প্রাপ্য।
কারণ ওরা তো "পথশিশু"!!!!!.
-