মিথ্যার প্রলেপে শোভিত ভুবন,
নিকষ কালো আঁধারে অপেক্ষায় মরণ!
নিউরনে নিউরনে বাঁধে সংঘর্ষ,
মস্তিষ্ক বেজায় শান্ত, আহা কি আশ্চর্য!
কাঠগড়ায় করজোড়ে দাঁড়িয়ে বিবেক,
গিরগিটি আশা দেয়, ভোল পাল্টে চলুক!
খসে পড়ে মুখোশ, ভেসে উঠে চেহারা!
ভাঙনের মুখে তুবড়ি ফোটে, মানুষটা বেয়ারা!
অস্ফুটস্বরে শুধাই, কে আপনি?
আপনাকে তো ঠিক চিনি না!
কবিতাঃ বহুরূপী-
বহুরূপী সেজে মানুষ
দেখায় নানান খেলা,
সার্কাস শেষ হলেও
যাবেনা কিছুই বলা ।-
উলঙ্গ তোষকে আজ ছেঁড়া বালিশ,
পেটের জ্বালায় মাখে রঙের পালিশ,
হারিয়ে যাওয়া আর এক গরিমা...
বহুরূপী নামে সমাজে ছিল যাদের মহিমা।-
এবার উপন্যাস লিখবো, শেষ ভালোবাসা পূর্ণতা পাওয়ার আশায়,
মধুপর্ণার ভালোবাসা ব্যক্ত করা যায়না, কবিতার ছন্দের ভাষায়।-
মুখোশের ঘেরাটোপে ভ্রান্ত ছায়াছবি,
অপূর্ব অভিনয়ের জালে পরিচিত বহুরূপী।
-
অস্তিত্বের সংরক্ষণে যেখানে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে পড়েছে,
মানুষরুপি বহুরূপীদের নিমিত্ত দান-কর্ম সেখানে নিতান্তই লোক দেখানো নয় কী?
-
ভ্রান্ত ঠিকানার সুনিবিড় দিকদর্শনে বারংবার পথ হারায়,
চেনা মুখ অচেনা সাজে বহুরূপী আলাপ চারিতায় ।-
সময়ের সাথেই বহুরূপী তুমি ।
পরেছো মুখোশ আজ মুখের আড়ালে !!
আনন্দের ক্ষণে ছিলো তোমার হাত আমার হাতে।
দুঃখের দিনে ধরেছো হাত অন্য পথিকের সাথে ।
-
বহুরূপী মানুষের পরিচয় শুধুমাত্র বহুরূপী মানুষের সাথেই হয়, তাদের মানসিকতা স্বভাবতই এক, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, একে অন্যের সহযোগিতা করা স্বাভাবিক, এতে সম্পর্কের বাঁধন পুষ্ট হয়, কিন্তু রূপ বদলে যাওয়া মানুষ গুলো হত্যা করছে সুস্থ সম্পর্ককে।
-
এক আকাশে দুই ঠিকানা ..
একসাথে ঘরবাড়ি ।
এক আকাশে মেঘ জমলে,
আরেকটা মুখ ভারী।
একটা আকাশ অষ্টাদশী..
গোধূলি রং মাখে।
আরেক আকাশ মেঘের আড়াল,
লুকিয়ে দেখে তাকে।
একটা আকাশ লিখবে চিঠি ......
"কেমন আছিস তুই?"
উত্তরে তে সাদা কাগজ...
নিরুত্তর ই সই।
আকাশ দুটো বহুরূপী.....
সাজিয়ে দিলাম তাই।
দু-এক পাতা লিখবে আমায়....
আমি কাব্য হতেই চাই।।-