একাই কি মাখবে পরাগ শতদলের?
চুম্বনরতা ভ্রামরীর ওষ্ঠে তোমার নাম
শুনে মুগ্ধ হলাম।
কৃষ্ণ-অমাবস্যার রাতে ঝাউবনে একা!
যতই দৃষ্টি বিকোই তোমাতে
উপচে পড়ে দুধসাগর..
একফালি সাদা মেঘ নাম ধরে ডাকে-
পদচিহ্ন ফেলে পায়ে পায়ে ঘাট ছাড়ো।
কিছুটা গঙ্গামাটি, হব্বিস্বির চাল এধার-ওধার
আর যে কিছুমাত্র রইলোনা প্রিয়া !
সবটুকু নিয়ে বুঝি ভিখারি বানালে শখে?
শতছিদ্র দানপাত্রে রেখে গেলে
দুখানি দূর্বা ঘাস...
-
Student of M.Sc
Subject - APPLIED NUTRITION
I WILL TAKE MY DEGREE FROM - WES... read more
ভিক্ষাপাত্রে পোড়া পাউরুটি
চোখ বুজে নিলে বৈষ্ণব প্রেম
কী বা দেখে প্রিয় মিশে গেছ ভিড়ে?
ভেসে গেছে কালো চশমার ফ্রেম!
একা ঢেউ ভেঙে আলো নেভা ঘরে
মুছে দিতে পারে কালশিটে দাগও..
কেন অজুহাতে ফেলে দেহটা প্রেমিক
তার ছায়াটুকু শুধু বুকে বেঁধে রাখো??-
শেষবার ফেলে গেছো একফালি মন
টান ভেবে ভেসে গেছে রক্তের মাঝে
রং রুটে আলেকালে কথা বলে ওরা
শালিকেরা বাসা বাঁধে আনাচে কানাচে
দেখা হলে দূরে বাস, সাইকেলে আমি
মাঝামাঝি ডুবে যায় একগলা রোদ
চুপচাপ ছুঁয়ে থাকে শরীরের ছায়া
পিছু হেঁটে ফিরে যায় সাম্যের বোধ
ডানা ঘষে মরে যায় ফড়িং এর ঝাঁক
বুক থেকে পাতা খসে শীত মরশুমে
চিঠি এসে ফিরে যায়, প্রেমিকার জ্বর
সাদা ঠোঁট চুমু খায় অর্ধেক ঘুমে-
সে সবকিছু যায়নি বলা, বুকের মাঝে ভারি
রইল হিসাব; আমরা শুধু এড়িয়ে যেতে পারি-
পাহারাদার
ঘুম ভেঙে গেছে অনেকক্ষণ! এখানে এত অন্ধকার!
এত ঠান্ডা যেন রক্ত চুষে খায় জোঁকের বংশ।
একগলা জল অর্ধেক হাওয়ায় দাঁড়ানো সাধক, পরিচয় দিলেন- ' ঈশ্বর '
ছেঁড়া কাপড়ের ফাঁকে একফালি ঊরু;
আমি যে তাকে ভেবেছিলাম অক্ষত সুন্দর,প্রলেপে ঝকঝকে!
এত ওজন বুঝিনি কখনো! যেন সবটুকু খসে যাবে পথে
একমনে ডেকে গেলাম 'হরি.. হরি "
দূরান্তে চিতায় মানুষ পোড়ার গন্ধ
লোকটা বড্ড বাচাল।
লাশটাকে হেঁচড়ে নামিয়ে এনে দিল অন্য হাতে।
ওটার গায়ে চামড়া নেই; আর আমার চামড়াটুকুই যা ছিল এতকাল!
সারা গা ভিজে গেছে লোকটার...!
ঈশ্বরের তো রাজবেশ থাকে..
তুলসীতলায় সন্ধ্যা নামে..
আসন গুটিয়ে গোপাল শয়ান দেন গৃহী।
দুটো শক্ত পা আরও শক্ত জমিতে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়
পাহারাদার-কে যে ঘুমোতে নেই......
-Diya(LABONI)Chakraborty
-
বুক চিরে দেখা যায় মাস্তুল
জলে ভাসে জাহাজের সাইরেন
নাবিকেরা আজ খুব ব্যস্ত
একা কোনো পথঘাটে একাকার
রং লাগে তরুণীর ওষ্ঠে
জ্বলে ওঠে তারাদের বাতিঘর
যাযাবর মরশুমী কষ্টে
পাশাপাশি আছি তবু কেউ নেই
চোখে মেঘ, বুকে ঝড়, পায়ে কাশ
উৎসবে বেঁচে যেত মনটাও
তবে আজ বড় চুপচাপ চারিপাশ-
বলছি শোন-মনকেমন?"
মন খারাপের একটা রাত... কান পেতে রাখ রাস্তাতে;
নিত্য কত রঙিন ছাদ, হাত ছুঁয়ে যায় বাসস্টপে।
সিলিং ফ্যানে ক্লান্ত চোখ... রাত বাড়লে ধোঁয়ার রেশ..
চাপদাড়ি রাখ.. গল্প সাজা; অমন তোকে মানায় বেশ।
তুই হয়ে যা একলা বাউল, পাঁজরে যার লোকের ঢেউ;
আঘাত দিলে হাসবি কেবল, গুছিয়ে দেবে অন্য কেউ।
পোষ্য হবি নিজেই নিজের, চাবুক ধরে শক্ত হাত..
দেখবি কবেই উতরে গেছিস, মন খারাপের একটা রাত।।-
মাদারির খেল
একপেশে প্রেমে আর কত বিলাসিতা! তার চেয়েও বেশী সাদা শবদেহ জুড়ে
হাহাকার বুকে নিয়ে দাউদাউ চিতা; কত চিতা পেটে চুঁয়ে সারারাত পোড়ে...!
তুমি কি দেখেছো জেদ যুদ্ধের মাসে?বীর সেনা কাকভোরে পথে নেমে আসে।
সে পথের ধুলি দামি রক্তের চেয়েও; অহং পিষেছে পায়ে হেঁটে দেখে যেও।
যে মানুষ রোজ মরে, একে তার ভয়? যন্ত্রণা থেকে যাবে- তেমন তো নয়!
তবে যে স্বজনহারা মৃত্যুর শোক.. যেন তার পুনর্বার জন্ম লাভ হোক।
মেটাতে জন্মলাভ মৃত্যুর ঋণ.. এতটুকু বিলাসিতা বাঁচে প্রতিদিন।
হে মন কৃষ্ণপ্রেমে উদ্গ্রীব তবে.. আজ যদি বেঁচে যাই কাল দেখা হবে।
-