আলোয় রাঙা ফাল্গুনীর তালে, কৃষ্ণ-পলাশ-শিমুলের শাখা;
মাতিবে রঙবেরঙে বসন্তের বনে, মন-ভোমরেরও আকাঙ্খা।-
গোধূলির আবদারি বন্ধন চিলেকোঠায় মিশেছে
ছাদে ফুটে ওঠা ডালিয়া আরো হলুদ হয়ে ওঠে;
অথচ তুমি-আমি মিশতে গেলেই রাত্রি নেমে আসে
বসন্তের খামখেয়ালী বার্তা; পাতা ঝরায় বনবাসে!-
যখন পলাশ গুলো আবির হয়ে,
তোমার গালে মেশে।
তখন শিশুর চোখে
বসন্ত ভাসে
ভারত নামক দেশে।-
চন্দ্রানীর মোহিনী মায়া ইস্টার আইল্যান্ডের
রহস্যের সমাধানে,
গগন মেলিয়া যায় হৃদয়ের সঙ্গোপনে।।
ঝরে রং ফাল্গুনের শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত মৈত্রীশনে,
থরের হাতুড়ি সাজিয়ে রাখে পবনদেব বেরঙ্গিনে-
রঙিন স্বপ্ন দেখি উচ্চকাক্ষিত মনে!
ঘুমন্ত পরশে বাড়ল নাভীর নাভ্যতা,
উপকূলের ক্ষুয়িস্নু প্রপ্রাত অশ্রুনদীর রুক্ষতা...
নির্মমভাবে বেঁচে নীরা আছে খুব সুখে,
বসন্তের বিলাপ গলায় স্বরে দিয়েছ ঢেলে...
তালিচ্ছ্যের আমানত ভাবনার সাগরে,
পাহাড় চূড়ায় তপস্যা করি হেমন্তের উজাগরে।
পদ্মবিরাগের নয়নের ধারায় কলঙ্কিনী ঈশানি,
অতীতের সর্বগ্রাসী অভিলাষা হয় অভিমানি...!!!-
তোর মনে যে জায়গাটায় আমার স্থান নয় অধিকার ছিল, সেই জায়গাটা, তুই আজ আমার অগোচরেই তুলে দিয়েছিস অন্য কারোর হাতে, এতটা যত্ন করে, আমার সমস্ত অধিকার এত নিখুঁতভাবে অস্বীকার করে l সেদিন হঠাৎ, গোধূলি মাখা আকাশে হঠাৎ কোথা থেকে ঘিরে ধরল কালো মেঘের জটা, মুহূর্তে সন্ধ্যা নামল আমার বিকেলে, চিরবসন্তের সেই পলাশ গাছ, ফুল কোনদিন শুকাতোনা তার l প্রতি ডালের সবুজ কচি পাতা আর রক্তিম পলাশের রঙের আলো ছায়া আর পলাশের গন্ধ ছাপিয়ে যেত কস্তুরীকেও l
মুহূর্তে ঝরলো তার সব ফুল পাতা l
মৃত প্রকাণ্ড সেই পলাশ গাছ আর গুমোট অন্ধকার কে সাক্ষী রেখে, ছাই দিয়ে হোলি খেলল আমার ধোঁয়াশা ঘেরা বসন্ত ll
-
নতুনের আগমনে পুরনো পড়ছে ঝরে।
কি জানি ?বাধা আছে তারা কোন সে অঙ্গীকারে!
জীবনের তিক্ততাকে ঝেড়ে ,
ভালোথাকার উপাদান তুমিও নাও খুঁজে।
চারদিকে চেয়ে দেখ বসন্ত এসে গেছে।-
একে একে সকলেই বিদায় নেবে একদিন
ভাঙবে মেলা, অবশেষ কিছু চিহ্ন
আর ভাঙা হাট
সেই চেনা পথে কেউ কেউ আসে ফিরে
কেউ কখনো আসে না
সেই নদী সেই মাঠ-ঘাট
সেবারও এসেছিল এক বসন্ত
আড়ালে হেসেছিল চৈত্রের
গেরুয়া-গাজন-সন্ন্যাস
পলাশ-শিমুলে বসন্ত পথ ভুলে
উড়িয়েছিল রঙীন উত্তরীয়
ঝরে যাওয়া কৃষ্ণচূড়ার অসংখ্য লাশ
তোমার ফিরে দেখার হয় নি অবকাশ
বলতে পারো, বসন্তের আরেক নাম কি সন্ত্রাস??
-
বৃষ্টিমুখর ভোর
চেতনায় লাগে ঘোর
ভিজছে অশোক
ভিজছে শিমুল
ভিজছে লাল পলাশ
কৃষ্ণচূড়া-হৃদয়
লাগছে কেন ভয়
আবার বুঝি
চোখ ছোঁয়াছুঁয়ি
অসুখে সর্বনাশ।
----------------গীতশ্রী চক্রবর্ত্তী মল্লিক-
একলা মনের যত জমানো ব্যথার কথা
পালন করুক কঠোর নীরবতা
চারিদিকে আজ বসন্তের উচ্ছ্বাস
দিগন্ত থেকে দিগন্তে রঙের উল্লাস
ফাগুন উঠেছে সেজে পলাশে শিমুলে
উতল হাওয়ায় লাগলো দোলা,
পথিক এলো বুঝি পথ ভুলে
কৃষ্ণচূড়া খোঁজা আমার চলছে অহর্নিশি
সর্ষেক্ষেতে ঢেউ দিয়ে যায় বাতাস দিবানিশি
এই যে এত আয়োজন,
রঙে রঙে রঙবাহার ফুলে ফুলে
আকাশে বাতাসে উৎসবের ছোঁয়া
বসন্ত এসেছে বরষ পরে পথ ভুলে
প্রাণে জাগে নব আনন্দের শিহরণ
ঘাসে ঘাসে ধুলায় ধুলায়
সে কোন্ বানীর স্পন্দন
হলুদের বন মুখরিত কোকিলের কলগীতি
সে কোন গোপন বেদনে উঠলো জেগে গভীর ব্যথার স্মৃতি
মৌ সুরার নেশায় মেলে ডানা মনের হাজার প্রজাপতি
সর্বনাশের ছন্দে গানে পলাশ-কৃষ্ণচূড়ার
শাখায় শাখায় তাহারি আরতি।
---------------------গীতশ্রী চক্রবর্ত্তী মল্লিক-