-: স্কুলের প্রথম প্রেম :-
✍অভিলাষ গাঙ্গুলী
সে ছিল আমার স্কুলের প্রথম প্রেম,
তারই কারণে রোজ স্কুল যাওয়া,
ওটাই ছিল একটা বাহানা,
আর ওই বাহানায় ওকে চোখের সামনে পাওয়া।
রোজ স্কুল গিয়ে তার অপেক্ষায় রইতাম,
আর চেয়ে থাকতাম স্কুলের বারান্দার দিকে,
সারাসময় ভাবতাম ও আসবে কি না?
আর ওকে দেখে ধন্য মনে হতো নিজেকে,
টিচার যখন ওকে দাঁড় করাতো পড়া ধরানোর জন্য,
তখন পুরো ক্লাস আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো,
সবাই জানতো আমার ভালো লাগার বেপারটা,
কিন্তু, না জানার ভান করে, লুকিয়ে রাখতো।
রোজ ভাবতাম ওকে বলে দেবো এবার,
বাড়িতে বলার আদব-কায়দা গুলো অভ্যাস করতাম,
কিন্তু ওর সামনে গিয়ে কিছু মাথায় আসতো না,
শেষে মেশে মাথা চুলকে পেন খুঁজতাম।
ওর সাথে নোটস নেওয়ার বেশি কথা এগোয়নি,
তবে আমার বন্ধুরা সব ওকে বউদি বলেই মানতো,
ওর মনে কি ছিল ঠিক জানি না,
তবে সবাই, ও আমার, "প্রথম প্রেম" বলেই জানতো।।-
পলাশ বনে লেগেছে আগুন
ফাগুন লেগেছে মনে
বাসন্তী বাহার দিচ্ছে উকি
মন,ধরা দিয়েছে গোপনে
শাড়ি পাঞ্জাবী,প্রথম প্রেম
হাতে হাত ধরে চলা
পাশাপাশি বসে পুষ্পাঞ্জলি
আড়চোখে কথা বলা
লাটাই ঘুড়ি মাঞ্জা সুতো
ছাদে ছাদে কলরব
পেটকাটি বা চাঁদিয়াল হোক
ভোকাট্টা আজ সব!!!!-
প্রেমে,
একটা সময় থাকে যখন আমরা সব পেতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলি....
আরেকটা সময় এমন আসে...যখন সব হারিয়ে
ফেলে নিজেকে পাই...
বিশ্বাস করো, দ্বিতীয়টাকেই 'প্রথম প্রেম' বলে।-
তোমাকে যখন দেখি
তখন মনে হয়
পৃথিবীর সব রুপ দিয়ে তোমাকে বানানো।
তোমাকে যখন দেখি
তখন মনে হয়
সব লজ্জা এখানেই তোমার ঠোঁটের কোণে এসে মিশেছে
তোমাকে যখন দেখি
তখন মনে হয়
সব আকষন এখান থেকে শুরু হয়।
তোমাকে যখন দেখি
তখন মনে হয়
সব আবেগ এখানে ঠিক তোমার দুচোখের মাঝে খেলা করছে
আমি দিব্যি থাকিয়ে রই
তোমার দিকে
হাসিতে, পলকে আর উড়ে যাওয়া এলোমেলো চুলে.......
©শাকিল-
মাতুক দুচোখ স্ক্রিনের ছকে ,কাজলস্মৃতির শখে
ওরাও তখন দিব্যি ছিল , " আনব্লক আর ব্লকে " ।-
অপ্রাপ্তি
হয়তো তুই তোর দিক থেকে ঠিক ছিলিস,
আর আমি আমার দিক থেকে,
তাই ভুলটা কার ছিল কেউ বুঝে উঠতে পারলাম না।
আপসোস একটাই, হাজার চেষ্টা করেও,
তোকে ভালোবাসি কতটা বোঝানো হলো না,
অনেক তো হলো, আর কোনো বোঝাপড়া নয়,
থাকবে না আর হারিয়ে ফেলবার ভয়,
হাত যখন ছেড়েই গেছে আর তো নেই সংশয়,
ভালো থেকিস প্রিয়, নিস শেষ এই বিদায়,
প্রথম প্রেম হয়তো এইভাবেই অপ্রাপ্ত থেকে যায়।-
পাহাড় যেন না জানতে পারে, খানিকটা আমি ইচ্ছে করে,
রামধনুটা চুরি করেছি, তোমার প্রেমে পড়ে...
তবু সে কোনো খবর পেলে, তাকে আস্তে করে দিও বলে -
প্রেমিকেরা একটু পাগল'ই হয়, প্রথম প্রেমে পড়ে...
-
আজ James Joyce-এর লেখা Araby ছোট গল্পটি পড়লাম। সাহিত্য আমায় নানা প্রভাবিত করে এটা সত্যি। কিন্তু এই গল্পটির আমার নিজের গল্পের সঙ্গে যে রকম মিল রয়েছে তাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ, অভিভূত। ছেলেমানসি ভালোলাগা, প্রেম কার জীবনে থাকে না?
সত্যি বলতে কি, আজ গল্পটি ভীষন উপভোগ করলাম, উপভোগ করলাম প্রতিটা লাইন, প্রতিটা শব্দ। এ যেন আমার নিজেরই জীবন গাথা, নিজেরই কাহিনী। সেই এক অদ্ভুত, অবর্ননীয় আকর্ষণ। স্মৃতিগুলো ভেবেই কেমন যেন আনমনা হয়ে পড়লাম।
আনমনেই হৃদয়ের কোনো লুকোনো কোন থেকে একটা চেনা সুর ভেসে এল, "অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়, তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়, হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরির গান মন দিন গোনে এই দিনের আশায়...রাত জেগে নাটকের মহরায় চঞ্চল মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায় রাত্রির আঙিনায় যদি খোলা জানলায়....একবার একবার....যদি সে দাঁরায়। যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে তাকাতো সে অবহেলে দু চোখ মেলে।"
ঠিকই তো কত বোকামি, কত পাগলামি, কত না জানি উন্মাদনায় মেতেছি আমি শুধু তার জন্য, তার এক ঝলক পাওয়ার জন্য। আজ তার সাথে কথাও হয় সামান্যই তবু্ও কেন জানিনা আজও তার নাম নিতে আমার সারা শরীরে শিহরণ জাগে। এই লেখাটা লিখতে প্রেমহীন এ বুকেও স্পন্দন খুঁজে পাই। সাধারণত পুরূষেরাই তাদের রূপশী, প্রিয়শী, নীলাঞ্জনাদের জন্য কাব্য রচনা করে, গান গায়, ছবি আঁকে। তবে আজ আমি সেই চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে এই লেখাটা নিজের নীলাঞ্জনকেই নিবেদন করলাম।❤-
তাকে দেখবার জন্য রোজ দাঁড়িয়ে থাকতাম ল্যাম্পপোস্টের নীচে
সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে সে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পড়া মুখস্থ করত
আমি শুধু দেখতাম তাকে, তার কালো চুল
না পাছাপেড়ে চুল ছিল না তার
ছিল মাঝারি মাপের
বেশ লাগতো দেখতে জানো! যখন সে যেত কলেজ ওড়না উড়িয়ে...
মনে হতো সে ওড়না ছুঁয়ে যাক আমার চোখ গাল ঠোঁট
একদিন জানতে পারলাম সেও নাকি ভালোবাসে
না আমাকে নয়, ওর কলেজের তমাল কে
তমাল! তার তো একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক!
ও কি জানেনা
আমাকে ওকে বোঝাতেই হবে
সেই ভেবে একদিন গেলাম তার কাছে
সে আমার দিকে তাকিয়ে
এক বুক ঘৃণা ছুড়ে দিল
বোধহয় ভেবেছিল আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে
কিছুদিন ধরে তাকে আর দেখতে পাই না
পাড়ার নন্তুর কাছে শুনলাম
ও নাকি তমাল কে থাপ্পর মেরেছে
তারপর একদিন দেখলাম ওর বাড়িতে
গোছগাছ চলছে
কি ব্যাপার? ওর বাবা নাকি ওদের নিয়ে অন্য শহরে চলে যাবে
তাই যাও তাই যাও তুমি
যেখানেই থাকো ভালো থেকো
শুধু একটা কথা বলতে পারিনি
তুমি আমার প্রথম প্রেম ছিলে
সে কথা কি তুমি বোঝনি?
-
ভালোবাসা মাখা একফালি চাঁদ যদি পেতাম
তাহলে তাকে আগলে ধরে বাঁচার চেষ্টা করতাম
চাঁদের সাথে মান-অভিমান -র খেলা করতাম
ভালোবাসা-ময় রাত্রি তে চাঁদের সাথে ভাগ করে নিতাম মনখারাপ..
চাঁদের যখন আমায় ভালো লাগতো তখন আসতো পূর্ণিমা,
আর তার হাতধরে অমনিশীর ঘোরে হারিয়ে যাওয়া থেকে আবার বাঁচিয়ে আনার প্রয়াস করতাম..
কিন্ত এরপর প্রথমা, দ্বিতীয়ার আগমনের মাঝে মনে আবার ঝড়ের পূর্বাভাস
কোন ক্রমে চাঁদের স্নৌদর্যে মুখরিত হয়ে আবার নতুন ভোরে নতুন করে চাঁদের প্রেমে পড়তাম..
কেমন হতো?? যদি একফালী চাঁদ আমারও হতো!!??-