কলি যুগে শুনেছি "ভগবান ও শয়তান এক শরীরে বসবাস করছে"- এর বাস্তব চাক্ষুষ করছি প্রতি পদে পদে।।
গায়ের চামড়াটা মানুষের মতো হলেও--ভিতরে রাক্ষসটা বাস্তব,,
সেই রাক্ষস সারাক্ষন দাঁত-নোঁখ বের করে আছে অন্যের ক্ষতি করার জন্য..মুহুর্তান্তরে ক্ষতি চাওয়াতেও উৎসুক। ।
বিষাক্ত সমাজ সম্পর্কের রসায়ন মানে না,
সমাধান খোঁজার ভান করে সে উত্তরহীন প্রশ্ন তুলে বিদ্বেষ বাড়ায়.. বারবার
মনের মাঝের অধঃক্ষেপন তাই ধীরে ধীরে দাবানলের রূপ নেয়
আর সেই আগুনের স্ফূলিঙ্গে সব সংকল্প হয় তছ নছ।।
-
মনুষ্যত্বে বিরামচিহ্ন!!
মনের মাঝে অধঃক্ষেপন ভারি,
বৃষ্টি মোন-অক্সাইডে, বিষাক্ত মানুষ আজ
বিষক্রিয়ার বিক্রিয়া দেয় পারি।।
মনের মাঝে বিষ জমেছে
বিষিয়ে যাচ্ছে সবটা.....
সমাজ-আপন-পর-করেছে
রিক্ত-তাতেই শেষ তা।।
নিশ্বাস.. সেকি বিশ্বাসে ঘুণ
উই-য়ে বানায় বাসা
দন্ত-নোখর বিকৃত মুখ
সুযোগ পেলেই দিচ্ছে থাবা।।
--রীমা-
মিলনে বিস্মিত সত্ত্বা
অদ্ভুত এক দেহানলে
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হোক সকল বিস্ময়
মূর্খামি-র পদতলে।।-
মিথ্যার আদুলি গায়ে নিয়ে
অসন্তোষ এর সভ্যতা পেরিয়ে
অসম্ভব এর দ্বারস্থ আজ,,
যেখানে শুধুই বিদ্বেষ,
বিভেদহীন বিভীষিকার এক বিষাক্ত সমাজ
আমি ও আমরা পাল্টানোর চেষ্টা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম..
কিন্ত, সবটাই নিষ্প্রভ হয়ে পরে রয়।।
ফিনিক্সের প্রত্যাগমনের আশায়
সবটাই অজানা-র আলিঙ্গনে স্থিতিশীল ।।
-
মাতৃজঠোর কাঁদছে রোজই
দুষ্ট লোকের ভৎসনায়
নবীন-প্রবীন মা ভুলে যায়
লালসার ঐ ছলনায়।।
নর-পিষাচ রক্ত মাখছে
রোজই নিজের মজলিসে
যন্ত্রনা পায়.. সমাজ যাকে--
--মা বলে রোজ.. ডাকছে "সেই"।।
কেউ বা গৃহবধূ বেশে, কেউ বা বাসে ট্রেনে চেপে.. হচ্ছে রোজই ধর্ষিতা
মোমবাতিরা রোজ নিভে যায়.. ছাড় পেলোনা ডাক্তার টা।।
"ও.. মেয়ে তোর কাপড় কোথা"-- বলছে রে সব বলছে রে.....
"রাজা তোর কাপড় কোথা?" কৈ সে কথা কেউ বলছে নে.......।।
বুদ্ধিজীবী বুদ্ধ হারা.. চোখ তাদের আজ টাকায় মোড়া
শিক্ষিতরা দাঁড়িয়ে পথে.. জবাব দেবে কে??
সমাজ নামের জগদ্দলের, বোঝায় মোড়া দাবানলের..
শেষ কোথায়?? বলতে পারে কে??-
দিনলিপি
সময়ের অন্তহীন আবিষ্কারের প্রেক্ষাপটে আমি ও আমরা....
মানসিক "স্থিতি-গতি" থেকে শুরু করে জীবনের প্রতি ভাঁজের "পর্যায় সারনি"-তে প্রতি মুহুর্তে মিশে আছে "বিক্রিয়ার" ছাপ..
মিষ্টতা বৃদ্ধিতে যেমন "কৃত্রিম স্যাকারিনের" ব্যবহার নিত্য দিনের নিপূন বিজ্ঞান,, ঠিক তেমনি সম্পর্ক গুলি আজ কৃত্রিমতায় ভরে গেছে; সেখানে নেই কোন প্রাকৃতিকতা কিংবা আন্তরিকতার ছোঁয়া।।
দিন-দিন মানুষ তার "বিবর্তন" হারিয়ে "অভিযোজনের" নেশায় মত্ত হচ্ছে।
বর্তমান সমাজ "শ্বসন"-এর থেকে "শোষণে" বেশি বিশ্বাসী ।।
তারা আজ সম্পর্কের শ্রেষ্ঠ "সমীকরণ" রূপে তাই "লাভ-ক্ষতি"-- কেই বেছে নিয়েছে বার-বার।।-
মিছরির ছুরির আবেগঘন উদাসীনতায়
অবাককৃত মুহুর্ত উপস্থিত
পারদ চরছে, তবুও----
অনাবৃত দাঁতালরা দাঁত-মুখ বের করে
দিনের আলোয় রাতের কালো দেখাতে ছাড়তে না..
পারদ চরছে, তবুও-----
প্রত্যাখ্যান, হীনমন্যতা, মিথ্যা প্রত্যাশারা
আজও পিছু ছাড়ছে না।।-
দিগন্তরেখা ধরে
অশ্বত্থ-বটের অগণিত শিকারক্তি মাখা পথ বেয়ে হেঁটে চলেছে কত-শত অবাধ্য শব্দগুচ্ছ..
মেল-বন্ধনহীনতার চক্র কেবল নীশিথ অমা ঘোর মেনে পথ পেরোয়।।
তবুও কিছু অদৃশ্য ধৃষ্টতার সাক্ষী হয় এ-ক্ষণ,
কিছু অকাল্পনিক বাস্তবতা সাক্ষী থেকে যায় সময়-- আর
আশাহত করে আকাশ প্রমান আশার-আষাঢ়ে মেঘ,
চমৎকার কিছু আকস্মিকতার কথোপকথন স্তম্ভ-চিত্রের রূপ-রস-গন্ধে মোহিত হয়ে আগামীর ক্যানভাসে আলোকপাত করে..।।-
ধর্ম রাজনীতির বিষয় না
ধর্ম অতোটাও নিকৃষ্ট নয়
রাজনীতি যার যার
ধর্ম সবার
ভক্তি কোন খেলনা না
ধ্যান কোন ফেলনা না
সবকিছুতে ধর্ম না
মিথ্যা বলে সাজা পা।।
হিন্দু-মুসল-খ্রীষ্ট-জৈ
চলো সবাই ভাই ভাই হই
মিথ্যার হোক সাজা আজ
হীরকের রাজা নিপাত যাক।।
-
ধর্ম "শাস্ত্র" গড়তে শেখায়
সমাজ কে সে মানতে শেখায়--
ধর্ম নিয়ে হচ্ছে কী??
বাজলো ডঙ্কা, মানলো কী??
বদ্ধতাকে মুক্তি দাও, শিলমোহরে ছাপতো দাও!!
আমি আছি আমিতেই,
ধর্ম বাঁচুক শান্তিতেই।।-