গোধূলি লগন পার হয়ে গেলে, জানি
সন্ধ্যা নামে ধীরে ধীরে ,
পাখিরা নিজ নিজ কুলায় ফেরে,দেখি
রাখাল আসে গোষ্ঠে ফিরে।
আকাশ ভরা সন্ধ্যা তারায়,চারিদিক
আলো ঝলমল করে ,
রাতের চন্দ্রমা ভরা মধুর আলোয়,মোর
মনটা উঠে যে ভরে ।
হৃদয় আকাশে মোর সন্ধ্যা নামলে,দেখি
আঁধার ঘনায় বাতাসে ,
রাতের আঁধার কেটে গিয়ে কভূ কি, মোর
সূর্য উঠবে মনাকাশে ।-
তুমি হতে পারো দিন কিংবা রাত...
আমি গোধূলি হয়েই রব।
তুমি যেভাবেই আসো, যে রূপেই আসো,
তোমার পরশ আমি পাবোই।
-
হলদে খামে,বুক পকেটে চেনা ঠিকানা।
গোধূলির লালচে আলো কর গোনে,
আদিম আবেগ লেখে রোজনামচা।
তুলির আঁচড় হামি আঁকে,ক্যানভাসে জলছবির মন ভ্রমর,
অপামর স্মৃতির উজান বায়,অবাধে রামধনুর রং খোঁজা।
সাঁঝবাতি শরীর লেপে প্রেমভাবে ,লাজুক ছদ্মবেশী নিশাকর,
গায় গতরে আত্মার প্রয়াস,ভাঙে বন্দিবাসা।
উজার করে অলিন্দ,খুব চেনা গন্ধে বাতাস,
আবেশি প্রনয়,অভিপ্রায়ে আহ্লাদী মাতোয়ারা।-
সেই দিনের শেষে আবার গোধূলি বেলা ,
সেই মেয়েটি প্রদীপ দেবে একটু পরে ঠাকুর কে ।
তাকে আরো সুন্দর দেখাচ্ছে , গোধূলির
আবছা আলোয় ।
তার প্রেমিক কাছে নেই , চলে গেছে কোনো দুর দেশে ।
সে তার প্রেমিকের ফেরার, জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করবে ভাবছে ।
কিন্তু ভাবলো যদি তার প্রেমিক এখনো গন্তব্যে পৌঁছায়নি !
কী করে ফিরবে তাহলে ?
-
এবার একটু খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসো,
নাইবা থাকলে মিছে শীতঘুমের অন্তরালে...
এক গোধূলি বেলায় অবসন্ন শ্রমিক বেশে,
ফিরতেই তো পারো সংসারের মায়াজালে...
-
গোধূলি বেলায় আসা ঝোড়ো হাওয়ায়......চোখের কোনে জমতে থাকা বালুকণার হাহাকারে খুঁজে পাই...... মৃত্যুর আশ্বাস!!
-
অস্তরাগে রাঙা সূর্য অন্তিম সাজে সজ্জিত
আবারও একটা দিনের শেষ আঁধারে নিমজ্জিত।-
💓(সাংঘাতিক সংঘাত)💓
দুই ভিন্ন পথ দিয়ে আগমন ঘটেছিল দুই অচেনা মানুষের...মেয়েটা সাইকেল হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল আপন মনে,,আর অন্য পথে ছেলে টার হাতে একটা বই নিয়ে যেন কোন খেয়ালই একপ্রকার হেঁটে চলছিল.....
বিকেলের রঙ ক্রমশ গোধূলির দিকে ধাবমান....
বিপরীত দিক থেকে দুই রাস্তা মিলতেই হঠাৎ চোখ পড়লো একে ওপরের দিকে,,,, ওই সাংঘাতিক সংঘাত যেন মুহূর্তেই সব খেয়ালী ভাবনা কে দূরে ঢেলার জন্য যথেষ্ট ছিল...
গাছের আড়াল থেকে সূর্যের সেই শেষ চমকে মেয়েটির চোখ উজ্জ্বল আকার নেয়,,কেবল একে অপরের চোখে চোখেই কথোপকথন হলো(কিছু বলতে চেয়েও বলা হয়ে ওঠেনি....)
পথ টা হঠাৎ ই অল্প আলাপের পর ভিন্ন আকার নিয়ে নেয়...........-
বৃষ্টির শেষে ছায়াদের মত নতুন দিন এসে গোধূলি বেলা ,বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানে তোমার আমার মিলন মেলা!
-
ও আজ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছে আমার জন্য
হয়তো অভিমানও হয়েছে কিছুটা বুঝতে পারছি মুখ দেখে
অভিযোগ করেনি কিন্তু, দেরিতে হলেও খুশি ও আমাকে পেয়ে।
দুপুরের পর থেকেই শুরু হয় অধীর অপেক্ষা
ও হয়তো থাকে আমার পথ চেয়ে, মুখে বলেনা কিছু
দিন রাতের এই সন্ধ্যিক্ষণে আমরা মিলি, ভালোবাসা একটুও নয় মিছু।
কেউ কোন কথা বলিনা শুধু পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকা
নীড় ফিরতি পাখিরাও চিনে গেছে আমাদের
ওর অপরূপ লালিমা মোহিত করে আমায়, দুচোখে ওরই ছবি আঁকা।
অল্প কিছু সময়ের জন্যই আমরা পাশাপাশি থাকি
ওর স্থায়িত্ব যে খুবই কম সময়ের মায়ায় ভরা
গোধূলি আর আমি দুইজনেই আত্মহারা।-