অনেক আশায় বসে থাকে সবাই
দেখতে এক চিলতে রোদ্দুর ,
মেঘলা আকাশ কাটার খুশিতেই
রাখাল বাঁশিতে বাজায় সুর।
দেখি জানালা দিয়ে ঘরেতে ঢুকছে
এক চিলতে রোদ্দুর ,
বৃষ্টির কবল থেকে মুক্তি পাওয়ায়
সবাই আনন্দে ভরপুর ।
ঝড় বৃষ্টির অবসান ঘটলে মোরা
দেখি সূর্যের হাসি মুখ ,
মন প্রাণ সব ভরে ওঠে আনন্দে
ভরে যায় মোদের বুক ।-
আমার ঘুম ভাঙ্গা সকাল শুরু হয়
রোজ,তোমায় সাথে নিয়ে ,
আমার আমিকে খুঁজে পাই শুধু
তোমার পরশ পেয়ে ।
সকাল শুরু করি প্রতিদিন তোমার
চায়ের কাপটা হাতে ,
শুধু সকালটা নয়,সারাদিন কাটে
মোর,তোমার মনের সাথে ।
ভোরের সূর্যোদয় দেখি তোমার সাথে
দেখি, সন্ধায় চাঁদের মুখ ,
তোমাকে আঁকড়ে বেঁচে থাকি আমি
তোমার ভালবাসায় সুখ ।-
মেঘের করলো হঠাৎ মন খারাপ
শুধুই মেঘলা আকাশ বলে ,
মেঘের হাসি দেখতে পাবো মোরা
আকাশে সূর্যের উদয় হলে।
মেঘলা দিনে ঝড়ে অঝোরে বৃষ্টি
সাথে বিদ্যুৎ ও বজ্রাঘাত ,
মেঘের হঠাৎ মন খারাপে যেনো
কাটতেই চায়না রাত ।
সুনীল আকাশে মেঘের ঘনঘটা
জানি ভীত সবার মন ,
দেখি এখন শুধু বর্ষাতে নয় সব
ঝতুতেই হয় বন্যার প্লাবন।-
@প্রভাতী বেলায়@
দিদিভাইয়ের মিষ্টি গানে ঘুমটা যেই গেলো ভেঙ্গে
প্রভাতের হৃদয় তখন নতুনের খুশি আঁকে,
তাকিয়ে দেখি পুবাকাশে আকাশ খানা সাদা রঙে মিশে
গাছ তখনও পাতায় পাতায় অল্প ঘুমে আছে।
ঘাসের উপর শিশিরে আর পাখিদের কিচিরমিচিরে
সুয্যি মামা উঁকি মেরে পিটপিটিয়ে চায়,
আমি তখন চেয়ে থাকি দিগন্ত রেখায় আলোর ছটা বাঁধি
ঠান্ডা ঠান্ডা আলোয় সবুজের ঐ গায়।।
আলতো মধুর ছন্দে নুপুর খেলে আনন্দে
হাটি যেই শিশির মাখা ঘাসের উপর দিয়ে,
খুশির ছলে হলদে আলোয় ছোট্ট রবি সাজছে ভালোয়
রাঙা আভায় ভুবন টাকে নিয়ে।
ক্ষুদেরা পুষ্প শুভেচ্ছা আনে চিত্ত খানি প্রফুল্লিত ওদের পানে
ছোট্ট হাসি মিশে রঙিন শৈশবের ভিড়ে,
দিন শুরু নতুনের স্পর্শে সুয্যি মামার হাসির আকাশে
হৃদয়ের কোণায় ভালোলাগার কথা ঘিরে।।
22 Oct,2k19-
তুমি নাহয় অতীত নয় ভবিষ্যত হয়ে এসো,
এ জনমে না হয়, পরের ছয় জনমে আমায় ভালোবেসো,
রজনী স্মৃতির স্বপ্ন গুলো তখন নতুন করে সাজিয়ে দেবো,
পরের ছয় জনমে তোমায় ঠিক আপন করে নেবো,
তখন নাহয় নাইবা থাকবো প্রেমের অন্তঃপুরে,
নামবো না হয় রাজপথে তোমার হাত ধরে,
যুগান্তরের আঁধার ঘোঁচায়ে তোমার সনে বাঁধবো ঘর নতুন প্রত্যাশায়
তখন নাহয় আবার হবে প্রেমের নতুন সূর্যোদয়,
সেই সূর্যোদয় নাহয় কোনো এক ইতিহাসের অংশ হবে,
তোমার আমার প্রেম কাহিনী যুগযুগান্ত ধরে সকল প্রেমিক যুগলের মধ্যে দিয়েই জীবন্ত রবে।
-
ক্রুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম!
একি নিষ্ঠুর অপমান!
তোর কি দয়া-মায়া নেই?
তোর দৃষ্টিভঙ্গিতে কঠোর পরিহাস,
এক ঝটকায় সব শেষ।
আমার মস্তিষ্ক দিশেহারা হয়ে গেছে,
যন্ত্রণা মনের ভিতরে ঢুকে গেছে,
অট্টহাসি দিয়ে যায় যুগের চালন কর্তা;
উপহাস করে,যেন বলতে চায়...
'তোর ভুলের মাসুল তুই নিজেই পোহা'।
আমি তো এসে ছিলাম জীবনের নতুন সূর্যোদয় করতে,
কিন্তু এসে আমি পড়লাম তোর রোসে,
নিজেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হলাম তোর কাছ থেকে,
চলে গেলাম অনেকটা দূরে।
-
*** সমাজ ও নারী ***
যুগে যুগে নারী তুমি ধর্ষিতা।
দেবদাসী,রক্ষিতা,বারাঙ্গনা,প্রেমিকা,ভার্যা রূপে।
শুধু অন্ধকার নির্জন রাস্তা নয়,
সুরক্ষিত চার দেওয়ালেও তুমি ধর্ষিতা।
শিশু,কিশোরী,যুবতী,বৃদ্ধা -অপ্রাসঙ্গিক।
আসলে তুমি নারী।
পরিচিত,অপরিচিত,প্রিয়জন-কেউ ছাড়েনি,
কেউ ছাড়েনা তোমার- শরীর!
রাস্তার মোরে,ভিড় ট্রেনে-বাসে,কর্মক্ষেত্রে-
লোলুপ দৃষ্টি -লেহন করে তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।।
জন্মের আগে তোমার প্রাপ্য মৃত্যু,
জন্মের পরে ভয়!
রাতারাতি তুমি পাচার হয়ে যাও...।
নিখোঁজ ডাইরি স্তূপিকৃত হয়।।
তোমার পায়ের তলায় তপ্ত মরু পথ,
একাকী এগিয়ে যাচ্ছো আগামীর পথে--
অন্ধকার শেষে সূর্যোদয়ের দেশে।।
-
অনুভব করেছিলাম
এক শীতল হাওয়া,
খোলা জানলার বাইরের আকাশ
আস্তে আস্তে হয় রাঙা,
আঁকি এক নতুন ছবি
রবি মামার ঘুম ভাঙার।।-
একটা সুন্দর চকচকে দিন।
তোর শরীরে রোদের আভা
মনোরমা তোর কি রূপের ছটা।
চেয়ে চেয়ে দেখি আমি
চুয়ে পরছে যৌবনের মাধুরী।
সুরভিত মাদকতাময় পরিবেশ
মনে ধরেছে নেশার আবেশ।
তুই মনমোহিনী প্রভাতী
তুই আমার প্রিয়া, সূর্যমুখী।
আমি ভ্রমর, তোর মধুর পিয়াসী
তোর মোহে আকৃষ্ট হয়ে
অরুণোদয়ের সথে ছুটে আসি।।-