১. কারণ খুঁজিও না
২.আশা করিয়া আশাহত হইও না
৩.প্রাপ্তিতে আনন্দিত হইলেও মায়ায় জড়াইও না
৪. মূক ও বধিরের ন্যায় জগৎকে দেখিয়া যাও ও আনন্দিত হও
৫.সত্য অসত্যের বিচারে দৃষ্টিহীনদের ন্যায় মনের চক্ষু দিয়া অবলোকন করিও-
সাধুসঙ্গ সাধুসঙ্গ সাধুর জয়গান
সাধুসঙ্গ করলে নাকি সকল দ্বিধার অবসান।
আমার মনে সংশয় অনেক স্বস্তি নেই একটুও
ভালো সাধুর খোঁজ পেলে আমাকে তুমি দিও।
সাধুর সঙ্গে ওঠা বসা সাধুর সঙ্গে সেবা
নামকীর্তন আর নিরামিষ আহার পৃথক এতে কিবা?
একটা দিন হৈ হৈ করে সাধুর সঙ্গে কাটালাম
দিনের শেষে শূন্য হিসেব কিবা আমি পেলাম?
অনেক পরে বুঝতে পারি এটা নয় চড়ুইভাতি
সাধুর জীবনশৈলীতে জ্বলুক মোর জীবন বাতি।
সংসারটাই আসল তপভূমি এখানেই কর্মভূমি
সংসার কর্ম ফাঁকি দিয়ে পাড় পাবেনা তুমি।
গৈরিক বসন বাইরের ব্যাপার গেরুয়া করি মন
কর্তব্যকর্ম করবো সদা আর অন্তরে স্মরণ মনন।
কলুষমুক্ত জীবন আমার সেথায় সাধুর বাস
সাধুর খোঁজে এখন আমি যাইনা পরবাস।-
ভালো মানুষের মুখোশ পরে আর থাকবি কতদিন
ধরা তো একদিন পরতেই হবে, মেটাতে হবে সব ঋণ
তোরা তাড়াস ভূত-প্রেত, তোরাই নাকি তাড়াস ডাকাত;
মানুষকে বোকা বানিয়ে আর কতদিন খাবি ভাত
তোদের তো ক্ষমতা অসীম, বাঁচাস লোকের প্রাণ
তাহলে নিজের পেট চালাতে কেন চুরি করিস অন্যের বলিদান
ভাগ্য ফেরাতে তোরা লোককে দিস পাথর
তাহলে নিজের ভাগ্য ফেরাতে কেন এত কঠোর-
চোর কী শোনে ধর্ম কথা?
যদিও শোনে তো,
চোরের নাম চোরই থাকবে!
যতই ভালো করুক ও!-
আইতা সাধু কোৱানা
তোমাৰ মুখনিত সন্তুষ্টিৰ হাহিটো আকৌ
আকৌ এবাৰ দিয়ানা-
সংসারের লোভ, লালসা, ক্ষোভ নিয়ে মন্ত্র পাঠ কর হে সন্ন্যাসী
বলতে পারো ‘সাধু’ বলে তোমায় কি করে ভালোবাসি?-
"নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না,
নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না"
-চাণক্য-
ভালো আর ঠিক এক নয়
এক নয় তেমনই অজানা আর ভুল
জ্ঞানের তলানিতে ভক্তি
ভক্তির শিখরে চৈতন্যেই মূল
ঠিক প্রিয় হতে চায়নি
ভালো ঠিক হতে চায়না
জানা ভূল ভেঙে দেয়
ভূল মেনে নিতে চায় না
অ জ্ঞানী ক্ষমা করে সবে
জ্ঞানীর হার মানা নাকি যায় না
কালের ইতিহাসে শুধুই দৃষ্টান্ত
উদ্দেশ্য বিফল কালের হয় না।।
( পুনঃ.... পুনঃ.....)
মাঘ ০৫ ; ১৪৩০-
_____ অভিশাপ
মন আজ বড় অদ্ভুত বিচলিত,
অগ্নিকুণ্ডের দাহ অখণ্ড হৃদয়ে।
মানুষ করছে মানুষেরও ভক্ষণ,
সহিষ্ণু সাধু মনীষীর বলয়ে।
হাজার কুঁড়ি ফুটে যে মানুষের জন্ম,
সেই মানুষ আজ রাক্ষসের বেশে।
দেবতা তুল্য সাধুও খুন হয় আজ,
স্বামী বিবেকানন্দের প্রেমের দেশে।
বিবেক আজ নেহাতই পায়ের ধুলো,
পশুত্ব জেগেছে খুনীদের চোখে।
চারিদিকে লাশের সুবিশাল পাহাড়,
ঘুম কেড়েছে রাত্রি; মৃত্যুর শোকে।
আইন যারা তুলে নিয়েছে হাতে,
তাদের গলায় দেখি ফুলের মালা।
ধর্ম ধর্ম করে যারা চুষে খায় রক্ত,
তাদেরও জুটবে অভিশপ্ত জ্বালা।।
-