কিছু লাল গোলাপের আবছা স্মৃতি,
কিছু মুছে না যাওয়া আবছা চেহারা,
কিছু প্রেরণা জাগানো বক্তৃতা,
কিছু নিত্যনৈমিত্তিক ঝগড়া।
কিছু পাহাড়ি সূর্যোদয়
কিছু মানুষের সাথে বিকালের সূর্যাস্ত
আর অনেক সমুদ্রে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের শব্দ
সর্বোপরি একটি আঠা লাগানো ভগ্ন হৃদয়।-
তারা কখনো বন্ধুত্বের অনধিকার দাবি করেনি।
যারা বন্ধু প্রমাণ করার জন্য এগিয়ে এসেছিল
তারাই করে সর্বদা প্রমাণিত হবার বাড়াবাড়ি।-
ঘুম থেকে উঠে উমা দেখল,
প্রতিবারের মতো এবারও বাবা চলে গেছে
অফিসের জন্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেছে,
কিছুটা বিষাদ, কিছুটা অভিমান মনে মেখে,
বিজয়া সম্মিলনীর নাচের প্রস্তুতি শুরু করলো।
ওদিকে উমার বাবার দুনিয়াটা আরো একবার
চশমার কাচের ভেতরে ঝাপসা হয়ে উঠলো।
সকল রকম নিষ্ঠুরতা বজায় রেখে
আরো একবার যেন বিজয়ের গান
সম্মিলিতভাবে সকলে মিলে গেয়ে উঠল।-
আজকাল মেরুদন্ড বেঁচে মোমবাতি হাতে আমরা স্বাধীনতা খুঁজি।
আবার সেই দিনটা দরকার যেদিন,
অন্ধকারে মোমবাতি জ্বেলে মেরুদন্ডের জোরে স্বাধীনতা আসবে।।
সকলকে স্বাধীনতা দিবসে (পরাধীনতার) অনেক অনেক শুভেচ্ছা-
মাঝেমধ্যেও উঁকি মারে পিটুইটারির অন্তরে।
সেখানে ফুটোপুটি খায় বাকিদের সাথে, যেমন...
বেজন্মা চিন্তা, ক্ষণস্থায়ী ভাবনা এবং অস্তিত্বহীন আত্মা।
গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলের ন্যায়
বন্ধ হয়ে থাকা কবিতারা গুমড়ে মরে,
তারা জানে, এ যেন অনেকটা ভুল হত্যার সমর্থক।
হয়তোবা ঠিকমতো জন্মাতে পারলে
কোন কালজয়ী লেখা হিসেবে পরিচিতি পেত
কিন্তু কবির খামখেয়ালিপনা, সেই সুযোগ দিল না।
ছুঁড়ে মারা এসিডের চেহারার মত
বন্ধ খামের কবিতারা আর কখনোই আগের রূপ ফিরে পায় না।-
প্রতিদিন বেরঙা হয়ে উঠেছে
আসলে জীবনটা কল্পনা বা present tense এ নয়,
Reel & real life এর নিয়মাবলী অনুযায়ী চলছে।-
স্কুলে বন্ধুদের খুনসুটি, আজ নেই
গঙ্গার ধারে বাচ্চাদের হুটোপুটি, আজ নেই
বিকালের ওই কাদামাখা আনন্দগুলো, আজ নেই
সন্ধ্যের ওই ঝাল মুড়ি আর চায়ের মজলিস, তাও আজ নেই।
আজ নেই সেই পুরনো ফেলে আসা সময় গুলো
আজ নেই সেই পুরনো তোমার আমার সকাল বিকেলগুলো।
নতুন কিছু মার্কেটে আনার জন্য যেমন পুরনোকে মুছে ফেলতে হয়
ঠিক তেমনি মুছে গেছে গতকাল, পরশু, শৈশব এবং কৈশর
এখন কথার পিঠে কথা হলেই
নেমে আসে কালবৈশাখী কিম্বা কালভৈরব।
ভালো থেকো অতীত,
ভালো থেকো ছেলেবেলা।
ইতি তোমারই,
মনখারাপি বড়বেলা।-
পিটুইটারির অন্তরে।
কেউ ফেটে বেরিয়ে আসতে চায় অকথ্য মাতৃ-ভাষা রূপে
কোনোটা তীক্ষ্ণ চুরির ফলার বা বন্দুকের বারুদের আকারে
কিছু উঠে আসতে চায় জ্বলন্ত সিগারেটের আগুনে আকারে
কিছু আবার জমা হয় ঝুলন্ত ফাঁসির দড়ির আকারে।
বাকিরা পড়ে থাকে আরও একটু ঝলসানোর অপেক্ষায়।
তবে জমা খরচের খাতায় শতকরা হিসেবে ধরলে,
সিকিভাগ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ও সিংহভাগ নিজেরই অক্ষমতার উপরে।
তাইতো কত ক্ষোভ জমা পড়ে আয়নার হাসিমুখের অন্তরালে
শুকিয়ে আসা মস্তিষ্কে, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি আকারে॥-
কারোর অবস্থার
কারোর রুচিবোধের
কারোর প্রিয়জনের
কারোর বা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের
তবে শূন্যতা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধ হয়
যখন দেওয়াল আয়নায় নিজের চোখে চোখ পড়ে॥-
কিছু সম্পর্ক অচেনাই থাক, মনের বোঝা হালকা করার জন্য
নামাঙ্কিত সম্পর্ক গুলো মুখ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে অধিকার বোধের জন্য।-