আমার পাগল ভ্রমণপ্রিয় মন,
সমুদ্র সৈকত কিংবা পাহাড়ী এলাকা মানেই ভ্রমণ।
দুটোই বড় প্রিয়।
সমুদ্র মাতাল, চঞ্চল, তার আছড়ে পড়া ঢেউ;
তা দেখে মন কে দাপীয়ে রাখতে পারবে না কেউ।
অপরদিকে পাহাড় চিরকাল স্থির, অক্লান্ত;
তাকে দেখে মন হয় অপার শান্ত।
সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউ, বলে যায়;
আবার আসবে সে এই ঠিকানায়।
পাহাড় কিছুই বলে না, সে নীরব শ্রোতা;
সুযোগ বুঝে আমিও বলি মনের দু চার কথা।
বোবা পাহাড় টাও দেখি দিয়ে যায় জীবনের শিক্ষা;
দাঁড়িয়ে থাকে অটল হয়ে সয়ে যায় শত ঝড়ঝঞ্ঝা ও তিতিক্ষা।
সংকটের মেঘলা বাদল তার মাথা ছুঁয়ে থাকে সর্বদায়;
তাই বুঝি কাঁদে সেও, দেখি ঝর্ণা আর নদী সমানে বয়ে যায়।-
এক পৃথিবী বিশ্বাস নিয়ে যতবারই তোমাকে ভাবতে শুরু করি, এক সমুদ্র সমান ভালোবাসা ততবারই আমাকে সৈকতে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়। নরম বালিতে পা কিছুটা আটকে গেলেও ঢেউ আসছে বলে সরে যেতে ইচ্ছে করে না, বরং সেভাবেই দাঁড়িয়ে অনেক দূরে মাঝসমুদ্রের কাছাকাছি চোখ পৌঁছে যায়। আরও দূর তাকানোর চেষ্টা করলে বুঝে যাই ওখানেই আকাশ এসে মিশেছে। এক পৃথিবী বিশ্বাস নিয়ে পাহাড়ের কাছে যাওয়াও অতটা সোজা নয়। আমি গভীর রাতে অবচেতন মনে ওদের সব লন্ডভন্ড করে চলে যেতে দেখেছি। পাহাড় সাক্ষী আছে। ওই পাহাড় ই তো শিখিয়েছে সবটুকু আটকানো যায়নি কখনো। তবু যেটুকু থেকে যায় ভাবি ওটাই সমুদ্রের দেওয়া।
গভীর রাতেও তখন পাখিদের ডাক শুনি, বোধহয় ছুটোছুটি করে বাইরে। কি জানি ওরাও তখন বিপদে পড়ে নাকি। ওরা কি তখন সমুদ্রের কাছে উড়ে যায়? কিংবা পাহাড়ে? কিংবা কোন ছাদে?
পৃথিবী সেসব খোঁজ বোধহয় রাখে না...
-
সমুদ্রে ঢেউয়ের বুকে, কান পেতেছ কখনো? শুনেছ ওই অনন্ত ফেনিল জলরাশির শতাব্দী প্রাচীন কোলাহল?
সমুদ্রের গভীরতা মেপে দেখেছো কখনো?
যার বুকের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে কত প্রাণের অস্তিত্ব!
'সমুদ্র' শুনলেই বুকের মধ্যে একটা অজানা ভয় জেগে ওঠে,
আবার এক অদ্ভুত প্রশান্তিও দোলা দিয়ে যায় মনে।
ওই সীমাহীন দিগন্ত ছুঁয়ে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের অশেষটুকু,
যেখানে আবছা আলোয় সূর্য মিশে থাকে তার রক্তিম আভার হাসিটুকু নিয়ে,
তাকে সাক্ষী করেই বেঁচে থাকে কত হাজার হাজার ভালোবাসার কাহিনী।
কিম্বা ওই নোনা ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া
মাঝিদের নৌকো, অথবা ভেজা সৈকতের ধার ঘেঁষে, দু'জোড়া পা যখন আলতো আর্দ্রতার পরশে
একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে সুখ দুঃখের গল্প করতে করতে পায়ের ছাপ ফেলে
ভালোবাসা এঁকে এগিয়ে যায়,
ইচ্ছে হয় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি তাদের দিকে।
সমস্ত মনখারাপ উজাড় করে দেওয়া যায় এক ওই সমুদ্রের কাছেই।
তখন যেন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, সমুদ্র তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।।-
দিন কাটায় কত লোকে।
তারা জীবনের মায়া ভুলে,
চলেছে জাহাজের পাল তুলে।
সামুদ্রিক মৎস্য শিকারের তরে,
চলে যায় তারা দূর হতে বহুদূরে।
এভাবে কেটে যায় মাসের পর মাস,
যেন সমুদ্র হয়ে গেছে তাদের আবাস।-
প্রিয় তুমি নাহয়,সমুদ্র হইও🥀
আমি ঢেউ হয়ে🌊
তোমার বুকে আছড়ে পড়বো😌।।-
ভালোবাসার কথা আজ নাহয় থাক,
আজ অন্য কথা বলো।
নোনা বালুচর ধরে হেটে যাই চলো..
আজ নাহয় কিছু ঝিনুক কুড়িয়ে আনো
আমার আঁচলে ভরে রাখি...
আজ নাহয় চুপটি করে পাশে বসো
জোৎস্না মেখে শরীরে তারাদের খসে পড়া গুনি।
ঐ যে শোন, সমুদ্রের উথাল-পাথাল ঢেউ
কি কথা যেন বলতে চায়..
চলো আজ স্রোতে নাহয় ভাসি
ফেনিল তরঙ্গের উত্তাল ইশারায়..
চলো আজ একসাথে সুর বাঁধি, প্রান খুলে হাসি..
চলো না আজ অন্যকিছু গল্প বলি!-
এই গল্পটা একটা ছেলে, একটা মেয়ে আর একটা সমুদ্রের গল্প ।
-
কখনো কান পেতে শুনেছো সমুদ্রের কান্না?
না, শুনতে পাবেনা, সেই চেষ্টা করা বৃথা...
সমুদ্র জমিয়ে রাখে সুগভীর লবণাক্ত অভিমান
জমিয়ে রেখেছে এক বুক কান্না তার নোনাজলে...
তবু ঝড় ওঠে কখনো কখনো,
উত্তাল হয়ে ওঠে সুনীল জলরাশি..
কিন্তু ঝড় থামে, সমুদ্র আবার খুঁজে নেয় প্রশান্তি,
গভীরতায় খুঁজে নেয় বেঁচে থাকার বাঁচিয়ে রাখার শক্তি।
-