হাতে চুরুট হাতে রয়ে গেছে;
দিয়ে গেছে কত কল্পনা...।
নিউটন কে নিয়ে প্রফেসর শঙ্কু,
ফেলুদাকে নিয়ে জল্পনা...।
কল্পনা, মোটেও এসব অল্প না।
চলচ্চিত্রে সাত রঙে রাঙিয়ে সত্যজিৎ।
ভারতরত্নে ভূষিত; গেয়ে উঠে "জয়-গীত"।
অস্কার নিয়ে ঘুমিয়ে; দাঁড়িয়ে...
সবার মাঝে, আজ এ দ্বীপ...।
রয়ে গেছে অমর; সাহিত্যে সত্যজিৎ।-
- ''ছেলেটা আমার ক'দিন খাওয়াদাওয়া কিচ্ছু করছে না, কেবল বলছে পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ছে, ও নাকি সিনেমা বানাবে..."
- "আগের জন্মে তোমার নাম কি ছিল খোকা ?"
-"চিনতে পারলেন না ড.হাজরা? আমি মানিক!"-
প্রতিটি বাঙালির, না না বাঙালি কী বলছি ... প্রতিটি মানবহৃদয়ে তুমি আজও একইভাবে বিরাজ করো...
যেমনটা করতে পথের পাঁচালির সেই অপু-দুর্গার কাশবনের মধ্যে দিয়ে ট্রেন দেখতে যাওয়ার দৃশ্যের সময়...
অনেক কিছুই বদলে গেছে...1080p-র HD ছবি না হলে মন চায় না সিনেমা দেখতে, তবু আজও চারুলতার সেই দোলনার দৃশ্যটা যখন দেখি, একবারও মনে হয়না সাদা-কালোর দুনিয়ায় ফিরে গেছি...
এখানেই তোমার মহিমা "অপু ত্রয়ী"...
গুপী-বাঘার সেই 'আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে' গানটা যতবার শুনি সব মনখারাপ কেমন উবে যায়...
প্রথম গোয়েন্দা গল্প পড়তে শেখা তো ফেলুদার হাত ধরেই... কেমন ভাবে ভুলি সোনার কেল্লা বা জয় বাবা ফেলুনাথের সেই অনবদ্য চলচ্চিত্রায়ন!!!
শুধু ৩২ টা জাতীয় পুরস্কার,৮টা ডক্টরেট ডিগ্রি বা অস্কারজয়ী বাঙালি তো তুমি নও... তুমি ভারতরত্ন... তুমি আমাদের সকলের প্রনম্য 'শতরঞ্জ কী খিলাড়ী'...
-
হঠাৎ শঙ্কুদাদুর উৎসাহী তলব, "দিদিভাই একটা দারুন জিনিস আবিষ্কার করেছি, শীঘ্র এসো।"
কিন্তু এত একটি অতি সাধারণ রেডিও !!
সশ্রদ্ধ বিস্ময়ে জানলাম, যন্ত্রটির বিশেষ বাদ্যসঙ্গীত মানুষের মনের বিদ্বেষভাবকে ভালোবাসায় পরিবর্তন করে।
-
"গুপী বাঘা", "ফেলুদা" সৃষ্টি করলো যে
সত্যজিৎ রায় ছাড়া সে হবেই বা কে?
"অপুর সংসারে" আজও তাকে খুঁজে পাই।
"শঙ্কুর" সাথে তাই আমি এল ডো রাডো যাই।।
"বঙ্কুবাবু" এলো সাথে নিয়ে অদ্ভুত এক "বন্ধু"।
"হীরকের রাজার" তা দেখে ঘুরে গেলো মুন্ডু।।
"পথের পাঁচালি" কিংবা "রবীন্দ্রনাথ"!
তার হাতে পড়ে নাকো কিছুই যে বাদ।।
"অস্কার" এনে দিয়ে "সোনার কেল্লায়"।
"মহানগর"কে ভরালেন তিনি বিপুল জেল্লায়।।-
মাঝে মাঝেই প্রেম পায়-
মাঝে মাঝেই রাগ দেখায়।
সত্যজিৎ প্রেমী হলেও-
নিজে শার্লক হতে চায়।
শত চেষ্টা করেও...
পাগলা দাশুতে আটকে রয়ে।
বানান ভুলে শুধরে দেয়,
ছন্দ ভুলে রেগে যায়।
বই পড়ে দিন কাটায়-
গিফ্টি চেয়ে বোনকে ক্ষ্যাপায়।
অনেক লিখলাম মিশ্রবাবুর ব্যাটা,
শুভ জন্মদিন আমার একান্ত প্রিয় দিপ্তজিৎ দাদা।।-
"নাঃ মোহাই, স্টার্কবাবুর সাথে মহিলাটিরও বিসর্জনটা......"
জটায়ুকে ঐখানেই থামিয়ে, ফেলুদা হাঁক দিলো,
"তোপসে, কানে আঙুল দে আর BookMyShowএ নাইট শোয়ের টিকিট বুক কর এইবেলা"।
খুশিতে নেচে উঠে বললাম, "জটায়ু জিন্দাবাদ"।-
- ওহে গবেষক, তা, কার জন্মদিন আজ?
- আজ্ঞে, যিনি আপনার শ্রষ্ঠা, তাঁর, মহারাজ।
- কি যেন নাম তার, কি যেন রায়?
- তাঁর নাম সত্যজিৎ, থাকেন কোলকেতায়।
- তাই বুঝি? তা বল দেখি তার কাজ কী কী?
- আমি, আপনি, ফেলু, গুপী-বাঘা মুকুল সবই তাঁর কীর্তি!
- গবেষক, তুমি পাবে মস্ত সাজা।
- আজ্ঞে, কেন মহারাজা?
- আমার সামনে তুমি নিচ্ছ অন্য রাজার নাম?
- আজ্ঞে, তিনি তো সত্যজিৎ, তার পরিধি ডান দিক থেকে বাম।
- তাই বুঝি? তা এতই যখন নাম, কোথায় এখন তিনি?
- কেন মহারাজ, প্রত্যেক বাঙালির মনে, বাঙালি চিরকাল তার কাছে ঋণী।-
ফেলুদা-তোপসে-জটায়ু যেমন বুড়িয়ে যায় না প্রজন্মের পর প্রজন্মে পাঁচ থেকে পঁচাশির কাছে, নিত্য নতুন গোলক ধাঁধার রহস্য যেমন পুরোনো হয় না, যেমন করে প্রোফেসর শঙ্কু বিজ্ঞানীমহলে এডিসনের পরের স্থানটি হারান না, যেমন করে অপু-দুর্গার কাশবনে ছুটে যাওয়ার ছবি একবার না একবার শৈশবের আঁকার খাতায় পাওয়া যায়, যেমন করে গুপী-বাঘা ভূতের রাজার বরে নিমেষেই আমাদের হৃদয়ে এখনো উপস্থিত হয়, তেমন করেই সত্যজিৎ রায় নামটিও কক্ষনো হারিয়ে যায় না। যার জন্য আমাদের শৈশব থেকে কৈশোর এত সুন্দর সুন্দর উপহার পায়, তার আসন যে চিরস্থায়ী।
-
বাড়িতে চাকর লাগবে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। ফলও পেলাম।
প্রথম দুজন অপছন্দ। তৃতীয় জন এলে পর নাম জিজ্ঞেস করতে বললো, "শ্রীনাথ, বাবু।"
আমি চমকিত,
-আর কিচ্ছু জানতে চাই না। তুমিই ফাইনাল।-