-তুই মেসেজ করছিস অথচ 'last seen today at 8:55pm' দেখাচ্ছে কেনো?
-কাল খবরের কাগজে দেখিস ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে রাস্তা না পেরোনোর জন্য আবার সতর্কতা জারি হবে।
-মানে?
- কাল ঠিক বুঝবি।-
First saw daylight on 31st Oct
Statistics honours stude... read more
//অশরিরী //
রাস্তার ওপারে কিসের জটলা দেখার জন্য রাস্তা পেরোতে যাচ্ছিলো অরণ্য। চওড়া রাস্তার মাঝ অবধি এসেছে এমন সময়ে তীব্র বেগে একটা বাস চলে আসে অরণ্যের সামনে। হতচকিত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সে। অদ্ভূত! গাড়িটা তার শরীর ভেদ করে চলে গেলো নাকি? দাঁড়ালো না পর্যন্ত! মাঝ রাস্তা ছেড়ে জটলার কাছে পৌঁছায় সে।
ও এই ব্যাপার! ওই জন্য বাসটা তার শরীর ভেদ করে চলে গিয়েছিলো। তবে চলন্ত বাসের সিঁড়ি তে দাঁড়ানোই কাল হলো অরণ্যের। ওরকম পড়ে গিয়ে মাথাটা যদি এভাবে ফেটে যায় তাহলে তো.......-
পরজন্মে কলেজ স্ট্রিটের
ফাঁকা কোনো ট্রামে,
দেখা হলে একলা দুজনের,
চিনতে পারবি তো আমাকে?
ফের কি আসবি এগিয়ে,
দুটো কথা বলার জন্য?
আবারো কি তোর ছেলেমানুষি অত্যাচার
সহ্য করতে হবে আমাকে,
পরজন্মে দেখা হলে?-
কোনোদিন খুব একা লাগবে যখন,
মনে হবে হাত টা ধরার জন্য কেউ নেই..
তখন মাঠের পাশে নদীর ঘাটে নেমে
বুক ফাটা এক চিৎকার দিস আমার নাম টি ধরে
কথা দিলাম, পূব দিকের আকাশ হতে
সাড়া দেবো আমি সেদিনও,
বলবো, "আছি তো, ভয় কি..
কথা দিয়েছিলাম না তোকে?"
-
কোনো এক ক্লান্ত দুপুরে
জানালার পাশে আজও খাতা পেন নিয়ে বসি।
চেষ্টা করি কলম হাতে
যদি দু-এক ছত্র ঝরিয়ে দিতে পারি সাদা পাতায়।
জানি হয়তো কিছুই ঝরবে না এ কলম থেকে,
তবু জানালা থেকে সাদা মেঘপুঞ্জের দিকে চেয়ে
তোমার সত্ত্বায় এ হৃদয় ভরিয়ে তুলতে
ক্ষতি তো নেই বলো?
খাতার পাতা নাহয় সাদা পড়ে থাক
নাই বা লিখলাম কিছু..
তবু তোমায় স্মরণে রেখে, অচেনা বৈশাখে
আজও খাতা পেন নিয়ে বসি ।।-
ফাটল ধরা স্বপ্ন আমার ভাঙলো যেদিন দূরে ঠেলে দিলি তুই,
না গলা স্বপ্নে রোজ রাতে তবু আমি আজও তোকে ছুঁই।-
ঝড়
আর ভালো লাগছে না। প্রবল ঝড় শুরু হয়েছে ধরিত্রীর বুকে। এ ঝড় কি থামবে?
একে একে সব পাতা ঝরে যাচ্ছে। আমি এখনো কোনো মতে লেগে আছি ডালে। এবার থেমে যাক। পুরোনো পৃথিবী কে ফেরত চাই এবার। ঝরা পাতাগুলো কে হয়তো আর ফেরত পাবো না.. কিন্তু চাই না বাকি পাতাগুলো ঝরে যাক।
ফিরে যেতে চাই সেই ভীড় ট্রেনে.. ঠেলাঠেলি করে ট্রেনে ওঠার দিনগুলোতে, হাওড়া স্টেশনে নেমে দৌড়ে উঠে বাস ধরার দিনে। কলেজের করিডোর টা কে খুব মিস করছি। সেও হয়তো চাইছে আমাকে। কলেজের সেই রাস্তা, গেটের বাইরে চায়ের দোকান টা। মিস করছি কলকাতা শহর কে, ব্যস্ত হাওড়া ব্রিজ, এম জি রোড কে।
৮ ঘন্টা, ১০ ঘন্টা পর বিকেলে, সন্ধ্যা বেলা বাড়ি ফেরার দিন গুলো তে ফিরতে চাই, ঘ্রাণ নিতে চাই ট্রেনে ফিরতি পথে ঘামে ভেজা জামার কলার গুলোর।
এই ঝড় এবার থেমে যাক। অনেক শাস্তি পেয়েছে মানুষ। ঝড় থেমে গেলে মানুষ আরো সচেতন হবে। আশা করি মনে রাখবে ঝরে যাওয়া পাতা গুলোর কথা। মানুষের মনে ভীতি রেখে দিয়ে বিদায় নিক ঝড়।-
এক টুকরো মেঘ,
কোনোদিন আমাকে এসে বলুক
"চল আমার দেশে চল!"
তুলে নিয়ে যাক সে আমায়
এই ধোঁয়ার শহর থেকে
অনেক ওপরে,
অনাবিল শান্তির দেশে।
এমন কল্পনার প্রদীপ জ্বলুক কবিমনে
এক মেঘলা দুপুরের শেষে।।-
ভোরের গন্ধে মাতুক মন,
শিশিরে ভিজুক দেহ।
প্রেমময় এমন ভোরে
শিশিরে ভেজা আমার দেহে
ভালোবাসার আল্পনা আঁকবে কেহ?
-
হয়তো কোনো ভাবুক কবি,
যার দু সপ্তাহের অপরিষ্কার চিবুক,
যাকে চেনে না এ শহর ,
চেনে না পিলপিল করে হেঁটে যাওয়া
অচেনা, অজানা মানুষের ঢল।
দাঁড়িয়ে সে রাস্তার মোড়ে
শুধু একটু কবিতা লেখার নেশায়
কেবল সাদা পাতা উল্টে যায়,
তবু কলমের নিবে আসা একটু ছন্দ গুলো
উড়ে যায় শুধু লাল বাতি তে
থমকে থাকা ট্রাফিক জ্যামে!
এভাবেই কতো অলেখা গল্প ওড়ে
শহরের চার রাস্তার মোড়ে!-