তিক্ত সময়, স্তব্ধ হৃদয়, জীবনটা আধমরা,
বিষে পূর্ণ, মন মস্তিষ্ক, চিন্তায় ধরেছে জরা।
প্রযুক্তি তার সময় স্রোতে, প্রত্যেকদিন যাচ্ছে আগে,
আমরা ছুটছি, ধরতে ছায়া, করতে তাকে, নিজের বাগে।
অনুভূতি আর আবেগগুলো, বলার মানুষ, কোথায় পাই?
বাস্তবের এই দুঃখ ভুলতে, রোজ মোবাইলে, হারিয়ে যাই।
প্রতিদিন দেখছি আমি, খাচ্ছে সে, আমায় কেমন!
আকাশের ওই সূর্যটাকে, রাহু গ্রাস, করে যেমন!
কিন্তু আমরা হাত-পা বন্দি, বন্দী আমরা তার হাতে,
আগল মোদের মুক্ত করো, স্বাধীনতা চাই, নতুন প্রাতে।-
ওপারে তুমি এপারে আমি, মাঝে মোবাইলের দেশটা।
তাই ফোনের স্ক্রিনেই হাত বুলিয়ে তোমায় ছোঁয়ার চেষ্টা।
-©Udichi💙-
ছেঁড়া খাতায় অনেক পাতার
হিসেব রাখার উপায় নেই
ইনবক্সের মেমরি ফুল
ছোট্ট ছোঁয়ায় ডাস্টবিনেই।
মনের মেমরি আনলিমিটেড
ফ্ল্যাসব্যাকে ঝাপসা
অল্প শব্দের ঠাসা লেখায়
আসলটুকু আটকা।
কষ্ট পাওয়া নিজের ইমেজ
হাসছে প্রবল ইমোজিতে
নিজস্বীতে বাঁধা থেকেই
চায় সবাইকে জিতে নিতে।
একলা একাই সবটা আমি
স্বার্থ নিয়ে চলছে সবাই
ছাপোষা রূপ ছেড়ে জগৎ
বন্দী হল তার ছাড়াই।
-
মায়ের পায়ে প্রার্থনা
ওঁ মা দুর্গ ওঁ মোবাইল দাতা
ফেসবুক উন্মিলিত।
ধরা ধামে কি কাল আনলে যুবযুবা পুড়ছে অনলে
দিন নেই রাত নেই শুধু কুঁৎকুঁৎ !!
ই গেম উ গেম মা-বাবা শ্যেম শ্যেম
নাওয়া খাওয়া গোল্লায় !!
মুখে নাখে জল ঢুকে হাবুডুবু দিকে দিকে
বিশ্বে খুনাখুনি তায় !!
নারীর হৃদয় শেষ বুড়া বুড়ির কান্না অশেষ
কেউ ঘর করতে চাইছে না আর !!
ওঁ ফেসবুকৈ নম: ওঁ কুপ্রথায়ৈ নম:
মোবাইল মহিষাসুরে হর্ হর্ !!
অ্যাটমের চেয়ে ধ্বংসাত্মক জীবন ধুক পুক
সিংহের পদতলে মোবাইল ফেলে -
কোটি কোটি গনেশ, কার্তিকের প্রাণ সরস্বতী, লক্ষ্মীর জীবন
শান্তি আনো মা ধরাতলে !!-
গল্প বলা শুরু করতে না করতেই,দৃষ্টি বলল "দাদুভাই আজ থাক, আজ আর গল্প শুনব না।" টেবিলের ওপর চার্জে বসানো মোবাইল টা নিয়ে ওপরে ঘরের দিকে পা বারালো।ক্ষীণ অবসাদে ভোরে গেল দাদুভাইয়ের মুখ ও মন।কৌতুক সুরে বলল"তালে একটা আবৃত্তি শোনাই ?"
মোবাইলে অনর্গল টাইপ করতে ব্যস্ত দৃষ্টির কর্নগোচর হল না কথাগুলো।
" ও দিদিভাই, কি সারাদিন ধরে ওই যন্ত্রটায় খটর খটর করছো বলতো? কত দিন পরে দাদুর বাড়ি এলে, একটু আমার সাথে গপ্পো করো!!"
"উফ দাদুভাই!! Please stop.. দেখেছো তো আমি এখন busy.. Don't disturb me.. " বলে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগল।
"জানতো দিদিভাই অনেক দিন ধরে একটা
অচেনা সুর মাথায় ঘুরছে, কাল রাতে ওই সুর দিয়েই বেঁধে ফেললাম একটা গান। শুনে বলো তো দিদিভাই কেমন হল?"
" দিদিভাই... ও দিদিভাই..!! কোথায় গেলে? "
ডাকতে ডাকতে দাদুভাই সিঁড়ির কাছে এসে দেখল দিদিভাই ওপরে চলে গেছে। ঘরের দরজা বন্ধ।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় 90% মার্কস পেয়েছিল বলে নিজেই ওই কীটযন্ত্র টা উপহার দিয়েছিল দিদিভাই কে। কিন্তু সে যন্ত্র যে তাঁর দিদিভাইকেই তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দেবে, তা বুঝতে পারেনি দাদুভাই।
-
এতিয়াহে বুজিলোঁ মোবাইল ভাঙি বেয়া হৈ যোৱাতো
যমৰ ঘৰত গৈ ৰঙা চাহ একাপ খাই অহাতকৈও যে
বেছি কষ্টকৰ,তাতে আকৌ লক ডাউনৰ সময়,
মোবাইল কিনিবও দোকান নাই, ভাল কৰিবও
দোকান নাই ,মুঠতে জীয়াই থকাৰ এক অভিশপ্ত মৃত্যু।-
মোবাইল
মোবাইলের অপর নাম মুঠোফোন
দূরের মানুষকে কাছে পাই যখন তখন
আনন্দে মাতে মন।
মোবাইলের আছে অনেক প্রকার
কখনো সে smart,
আবার কখনো keypad
কিন্তু তাতে কী?
বর্তমান জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।
লেখাপড়া থেকে অনলাইন শপিং ,
মানুষকে করেছো গৃহবন্দী
দেখিয়ছো তোমার কেরামতি।
খেলা থেকে সিরিয়াল,
গান থেকে মুভি,
এই যন্ত্রে আছে আরোও কত কী।
ট্রেনে,বাসে নি:সঙ্গ লাগে যখন,
হাতের মুঠোয় পাই তখন,
জীবনে ঘটে খুশির আগমন।
আনুষ্ঠানে কিংবা উৎসবে
পাশে পাই তোমাকে।।-
করোনা হওয়ার ততটা ভয় নেই যতটা চোখ হারানোর। 😎
এমনিতেই ২ মাস ধরে কত যে মোবাইল ঘাটাঘাটি চলছে☺️
এর উপর একটানা আরও কয়েক ঘন্টা অনলাইন ক্লাস।😢😢
চোখ বাবাজী! 👀👀
তুমি একটু ধৈর্য ধরো।😑
আর কয়দিন!😆
এইতো ডিসেম্বর এসেই যাচ্ছে 😂😂-
মোবাইল ফোনৰ কিমান ব্যৱহাৰ কৰিছো আমি..? বৰ্তমান শিশুসকলৰ ওপৰত মোবাইলৰ কিমান প্ৰভাৱ পৰিছে..?আজিকালি বেছি সংখ্যক শিশুৱে মোবাইলৰ প্রতি নিচা হৈ পৰে। কান্দি থকা শিশু এটিক যদি মোবাইলটো দি দিয়া যায় লগে লগে কান্দোন বন্ধ হৈ যায়, শিশুটিক ভাত খোৱাব পৰা নাই তাতো মোবাইলত গান লগাই দিলে বা বেলেগ কিবা show দেখাই দিলেহে ভাত খাই, আমি বেলেগ কিবা উপায়েৰে জানো শিশুটোৰ মন ভাল লগাব নোৱাৰো..! আমি ফুৰিবলৈ যদি যাওঁ তেতিয়াও হয়তো দেখা পাওঁ জেষ্ঠ্যজনৰ হাতত থাকিবলগা মোবাইলটো শিশুটোৰ হাতত হে দেখো, ইয়াৰ ফলত শিশুটিৰ চকুৰো ক্ষতি হ'ব পাৰে বা এটা সময়ত মোবাইল মেনিয়া হৈ যাব পাৰে। আমি শিশুৰ ওপৰত পৰা বেয়া প্ৰভাৱ খিনি বাৰু আঁতৰাবলৈ সক্ষম হম নে...?
-
জানিনা কেনো একরাশ মন খারাপ এলো হঠাৎ করে..
রোজ যেই সময় ফোন করে বলতে তৈরি থাকিস আমি আসছি,
আজ সেই সময় মেসেজ করে বললে পৌঁছে গেছি গাড়ি নিতে আসছে ।
রোজ তাড়াহুড়ো করে উঠতাম রেডি হতে বারবার ভুলতাম টিপ হাতে নিতে,
আজও উঠেছি তবে নেই কোনো তাড়াহুড়ো ।
আজ যেনো হঠাৎ করে টিপের পাতার দিকে চোখটা পড়লো নাহ্! আজ আর এটার দরকার পড়বেনা ।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পর মনে হলো হাতটা খালি লাগছে বড্ড আবারও হাসলাম মনে ।
আমাদের সেই চেনা রাস্তাটায় চারিপাশে তোমার স্মৃতি লেগে আছে..
আসার পথে দেখা আর চোখের কোনে জল..
সবশেষে আবার সেই আগের জীবন আগের মতোই ভালোবাসা মোবাইল নির্ভর !-