সব ভাষায় জীবনের দরজা,
উর্দু,হিন্দি, ইংরেজি,বাংলা,,
একেকটি মোদের মাতৃভাষা,
ভাষার ভাব না ছড়ালে,
বিশাল এই ধরাধামে,
ব্যার্থ হত!! মানুষে মানুষে,
যোগাযোগ সহ ভাবপ্রকাশে।-
||চোখের ভাষা||
অনেক হয়েছে কবিতা,আজ একটা গল্প শোনাই।
না,অন্য কারর না,আমারই গল্প।এতে বড়ই সুখ।
কলেজটা আর ভালো লাগে না ঠিক। আসলে জীবনটার প্রতিও একটা বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে।আর হবে নাই বা কেন?সদ্য প্রেমের ঘা কি আর অতো সহজে শুকায়?নীলকে সৌমির সাথে দেখে আজও হৃদয়ের ব্যথাটা জানান দিয়ে ওঠে।মনে পড়ে যায় সেই কলেজের প্রথম দিনটা।বছর ঘুরে গেলেও,আমার আজও মনে আছে,নীলের সেই "প্রিয় ব্ল্যাক কারগো" আর আমার সেই "পারফেক্টলি ম্যাচিং" সাদা কুরতি।
অনেক ভিড়ের মধ্যেও ঠিক ওর দিকেই চোখটা পরেছিল।আজ ফিরে তাকালে ওই দিনটাকেই দোষ দিতে ইচ্ছা করে।না আমাদের চোখাচোখি হত,না আমি ওর চোখের ভাষা পড়তে চাইতাম।এরপর যেদিন নোট নেওয়ার নাম করে প্রথমবার ওর সাথে কথা বলতে গেলাম..নাহ!থাক।সেই অনুভূতিগুলো আমার ডায়েরির পাতাতেই বন্দী ভালো আছে।একবার ভুল করে শিক্ষা হয়েছে বইকি।নীলকে দোষ দিইনা।আমার ভালোবাসাকেও না।দোষ তো ওর সেই দু চোখের ভাষার যা আমায় মিথ্যে স্বপ্ন দেখাতো।সেই ভাষা এতই ঘাতক যে প্রত্যেক শব্দেই আমার মনে অদ্ভুত এক ঝড়ের পরোয়ানা জারি করত।হয়ত ভাগ্যের পরিহাসে,ও আমার কাছেও এল।কথা অল্প হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হত।মন ও বিশ্বাস করে নিয়েছিল যে নীল ও আমায় অল্প সময়েই ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু ক্লাসের লাজুক ফার্স্ট বয় প্রেম নিবেদন করবে তাহলেই হয়েছে!তাই আর সহ্য করতে না পেরে,শেষমেশ বলেই ফেললাম।নাহ,এবার আর চোখের ভাষা না,মুখের ভাষাতেই আশ্রয় নিলাম।
(Caption)-
(2)
ফারাক লেখা প্রেম আর বিষে
ভাষার চোখে নতজানু
একটা বিকেল ভূমিকা ভুলে
উপসংহার বয়ে আনুক।-
বইমেলা থেকে ফিরতি পথে তিন বাঙ্গালীর কথোপকথন -
মেয়েটি - ডিসকাউন্ট পেলাম না শেষ দিনে এসেও, এত খারাপ লাগছে।
মহিলা ১ - সত্যিই! কী কী বই কিনলে তুমি?
মেয়েটি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য্য, স্মরণজিৎ...
মহিলা ১ - বাবা রে! বই পড়তে খুব ভালোবাসো বুঝি?
মেয়েটি (হেসে) - তা বাসি বইকি!
মহিলা ২ - কোন স্কুলে পড়েছ তুমি?
মেয়েটি - আপনি চিনবেন না, কলকাতায় নয়।
মহিলা ২ - বাংলা মিডিয়াম?
মেয়েটি - হ্যাঁ।
মহিলা ১ - সেই জন্যই সব বাংলা বই কিনেছ, তাই না?
মেয়েটি ( চোয়াল শক্ত করে ) - বাঙ্গালী হয়ে জন্মেছি যখন, বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা থাকা স্বাভাবিক নয় কি? আর একটা কথা বলি, আমি ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্রী। নিজেকে আর বাঙ্গালী বলে পরিচয় দেবেন না। মাতৃভাষাকে আগে ভালোবাসতে শিখুন, পরে না হয় কারুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন।
-
স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ
জন্ম-মৃত্যুর যোগ-সূত্র
আমার ভাষা হল সেই ভাষা, যেই ভাষায় মানব-জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যুর একটা ছোটো যোগ-সূত্র লুকিয়ে। ভাবছেন সেটা আবার কি..?
আসুন বুঝিয়ে দি আমার ভাষা তেই। (শর্ত একটাই গভীরে ঢুকতে হবে)
একটি শিশু জন্ম-মুহুর্তের পর থেকেই যে শব্দটি করে থাকে আমরা প্রায় সকলেই বলে থাকি "মা" বলে কাঁদছে... আমি বলি কি ওটা "মা" নয়... স্বরবর্ণের "অঁ...অঁ...অঁ..." বলেই কাঁদছে।
এরপর আসি মৃত্যু তে।
ঠিক মৃত্যু-মুহুর্তের পর থেকেই মৃত ব্যক্তিটির নাম ব্যবহার করার সময় ব্যঞ্জনবর্ণের "ঁ" দিয়েই লিখতে হয়।
************************************************************
বিঃ দ্রঃ - ওহে ইংরাজি ঠাসা বাংলার মানুষ একটু অন্ততঃ আমার ভাষা, আপনার ভাষা বাংলা ভাষা কে কদর করতে শিখুন।।-
বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা আমার প্রাণ।
বাংলা আমার প্রাণ ভ্রোমরা
মনের কলতান।
এই ভাষাতেই মাকে ডাকি
এই ভাষাতেই হাসি।
এই ভাষাতেই তোমায় প্রিয়া
বলবো ভালোবাসি।-
স্তব্ধতা কায়েম করেছে,
অন্তরের প্রতিটি কুঠুরী।
দু মুঠো শব্দ চাইলে.....
শান্তির সনে মারকাটারি।
হাজারো প্রশ্ন ওপারে ভাসছে,
হেথা অবরোধে দন্তসারি।
মিত্রবর্গ তকমা দিয়েছে,
মেয়ে বড্ড অহংকারী।
দৌর্মনস্য রোগ ছুঁয়েছে,
মন, মৃত্যুর পথচারী।
মদীয় বোল পথ ভুলেছে,
ভাষা হীনতায় গুমরে মরি।।-