কিশোরসুলভ
_______________
তোমার চুলে মুখ গুঁজেছে হাওয়া।
ব্যক্তিগত আশকারা পায় যদি
একটুকরো শীত পেরোনো চাওয়া
লিখতো দুপুর,জলের দাগে,নদী।
জলের ভেতর নির্জনতার বাড়ি,
মনখারাপের গন্ধ কেমন হয়?
আঙ্গুল চেনে মিথ্যে ভাব আর আড়ি
আমার চোখে নরম পাতার ভয়।
ঠিক সেসময় শহর সাজে ট্যুরিস্ট
নকশা আঁকে ছুটন্ত ফুটপাথ,
কিশোরসুলভ সময় গেছে চুরি
সহজ সন্ধ্যে ডুব দিয়েছে চা'য়।
শাঁখের আওয়াজ পাঠালো ডাক, যদি
বুকের কালো তিল তো পুড়ে খাক।
সে তো কবেই শুকিয়ে গেছে নদী
জলের দাগে দুপুর লেখা থাক।-
কুলুকুলু বইছে নদী
মাঠঘাট ছাড়িয়ে,
বাঁক নেয় অন্যদিকে
যেখানেতে দাঁড়িয়ে।
স্রোতস্বিনী নদী সে যে
শীতল স্নিগ্ধজল,
বইছে নদী কুলুকুলু
নিয়ে বারির ঢল।
অঝোর ধারায় বৃষ্টি এসে
থৈ থৈ নদীর জল,
বাড়লো বেগ জলের স্রোতে
এদিক ওদিক চলাচল।
জলের বেগে ভাঙ্গলো বাঁধ
ফসল হল নষ্ট,
সুখ চাষীতে দুঃখ দেখা
তাদের মনে কষ্ট।
-
জীবন্ত লাশ শোনিত আলফাজে গোধূলি হয়ে
পড়ে আছে,
মৃত্যুর বিষাদ হৃদমেঘের ভাষাস্রোতে ভেসে গেছে!
শোকরঙ দীর্ঘশ্বাস ফেলে রক্তকনায় সংলাপ রচে,
মুক্তি উৎসবে করবীর কলি বিষাক্ত কাকলীর
শিষে...
বন্দিনীর বিষ বিষন্নপুরের শশীতে আছে মিশে।।
উমেদ কাননে ফোটে না রজনীগন্ধা সমারোহ,
কাঁচের পৃথিবী জুড়ে নৈতিকতার বাড়ছে দাবা
খেলার আবহ।।
নীল বৈদুর্যমনী শীতের সকালের আভা আঁকে,
মোহীহান তসবীরে অলীক প্রত্যুষ নিজেকে খুঁজে
পায় বর্ষীয়ান শব্দছকে...
তানপুরার স্বরের ধ্বনি তোমায় উষ্ণতার হারাব
নদীর ওপারে থোকে...!!!
-
তাই তো সে ধীর গতিতে বেয়ে চলেছে,
গতিবেগের ধারা খুব শান্ত, ধীর,
বলতে গেলে নদী ও বুঝতে পেরেছে,
কত ক্ষত রয়েছে, কত জ্বালা রয়েছে,
ঐ দাঁড়িয়ে থাকা চূড়ার গায়ে ।😞🥀-
নীল আকাশের রং মেখে
ছলাৎ ছলাৎ সুর রেখে,
মৎস্য কন্যা পেয়ে কাছে
জড়িয়ে নদী ছন্দে নাচে।-
গল্পে-গানে কাটছে সময়
মধুর তিথির ক্ষণ
নদীর জলে কথার ছলে
হাসে নৌকার পাটাতন
এদিক-ওদিক হেলছে তরী
যাই যদি ডুবে
তোমার বুকেই রাখবো মাথা
মরণ আসবে চুপে চুপে।
-----------------------গীতশ্রী চক্রবর্ত্তী মল্লিক-
করেছে সন্ধি নদী নৌকার সঙ্গে আজ,
সবুজ পারের প্রতিজ্ঞা মনেতে বিরাজ,
একাকীত্ব কে সঙ্গী করে, নিলের পথে পাড়ি দিয়ে;
বয়ে চলেছে নিঃশব্দে নীরবে, অজানা দিগন্তে ধেয়ে;
ঘুমে জর্জরিত আঁখি দুটিকে, আকাশে মিশিয়ে দিয়ে।
ক্লান্তি ভরা চিন্তাহীন মনকে, নীলের রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে।
নদীর কোলে ভাসমান, নৌকার বুকে মাথা রেখে,,
সবুজ ছাড়িয়ে দিয়ে, ভালোবাসার নীলে নিজেকে সপে দিয়ে,, যেনো;
নদীর সাথে নৌকার সন্ধিতায় আজ সে খুব সুখী।
-
প্রিন্সেপ ঘাটে,তুমি আর আমি।আমি দেখলাম নিজেকে তোমার মুগ্ধ নয়নে।তুমি অকারনে হাসলে,ভালোবাসলে মানুষ বোকা হয় এই প্রথম দেখলাম।শোনালে আমায় নীললোহিতের কবিতা।আবহ সংগীত ছিলো রবীর।আস্তে আস্তে গল্পে সল্পে কখন যে সন্ধ্যা নেমে আসলো টের পেলাম না।হঠাৎ চায়ের তেষ্টা পেয়ে গেল তোমার।আমার জন্য নিলে বিখ্যাত পাউভাজি।তারপর নৌকোয় ভাসলাম। হারিকেনের আধো আলোছায়া, মায়াবী লাগছিল চারিদিক।শুধু তুমি আর আমি এবং অকস্মাৎ তোমার আদর।তারপর বাড়ী ফেরা। বাড়ির কাছাকাছি তোমার পৌঁছে দেয়া।সময় এতো দ্রুত চলে গেল।নদীর পারের সেই মূহুর্তটুকু পরম পাওয়া।
-
রোজ তো কতো নদী জুড়ে যায়,কতো দিক পাল্টায়
কেউ জানতেও চায় না তাদের বিচ্ছেদের কাহিনী...-