দুঃখে দুঃখ বেশী? না দুঃখ বিলাসিতায়?
-
বাড়ির নিচের দুঃখগুলো তুচ্ছ ভীষণ তবু সময়কে করি বেশ দায়ী....
মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্রীড়ায় তুরুপের তাস শ্রমিক ,'পরিযায়ী' !
ভোজন-বসন-আসন নিয়েও যারা দুঃখের নেশা মিডিয়া ভালোবাসে,
রাজদুঃখী দুঃখ কুড়িয়ে দুঃখী প্রমাণে মত্ত ওপারে, এপারে আসল দুঃখী খিলখিলিয়ে হাসে !-
দীর্ঘ অপেক্ষা
----------------
তার অকৃত্রিম ভালোবাসার সংস্পর্শে ধৈর্যের বাঁধ দিনের পর দিন হয়ে উঠছে আরো মজবুত,
তার অটুট বিশ্বাস যে একদিন ঠিকই তার প্রিয়তমার সন্ধানের বার্তা বয়ে আনবে তার ভালোবাসার দূত।
এক অশুভ লক্ষণপূর্ণ দিনে ভিড়ের মধ্যে হাড়িয়ে গেছে সেই রমণী,
আর এই অভাগা তার বিশ্বাসে যেন দাঁত কামড়ে পড়ে আছে, এতটুকুও টলেনি।
তার দীর্ঘ অপেক্ষা আজ অনায়াশে পাড় করল দশ দশটা বছরের ত্যাগ ও যন্ত্রনাময় বেষ্টন,
কিন্ত তবু সে যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে সে অনিশ্চিতের অপেক্ষায় মত্ত থাকবে আমরণ।
তার এই কঠিন অপেক্ষার আদৌ হবে কিনা অবসান,
আজ তার হৃদয় হয়ে উঠেছে এক নিঝুম শ্মশান।-
যা হয়েছে তা হওয়ারই ছিল।
অনুতাপ করে কি হবে?
আকাশ বুকের আঁচল হতে পারেনি
রাত্রি চোখের দুঃখ হতে পারেনি
সেভাবেই,
আমরা বাগান হতে পারিনি।
অত ভেবো না,
এখনো কিছু উশৃঙ্খল অরণ্য
পৃথিবীর লজ্জা ঢেকে
নির্জনে শুয়ে আছে,
আমরা যা পাইনি
যা কখনো পাব না,
জেনো সেগুলো
বাতাসের শ্বাসকষ্ট নিবারনের ওষুধ।-
ঘামে ভেজা জামা , বয়স কতই বা হবে , এই ধরুণ পঞ্চাশের যুবক ।
তার ছেলে চাকরি পেয়েছে বছর দুয়েক হবে ।
ছোটো মেয়ের বিয়ে দিয়েছে , আনন্দে বাজেয়াপ্ত শহর ।
ছেলের কাছে আবেদন , বিয়ের বয়স হয়েছে নিয়ে আয় বধু ঘরে ।
নিকষাটে ছেলের মুখ , যেন কিছু বলবে তবুও থেমে যায় পথে ।
দিন দুয়েকের অপেক্ষা তারপরেই কান্নার আসর জমে ।
ক্যানসারে মৃত্যু , পুত্রের দেহ পিতার ঘাড়ে ।
খুব সুন্দর মহিমা তোমার , পিতা পেলো সুখ ।
কাঁদিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া পুত্রের ছাপা মুখ ।
নিঃস্ব হয়ে যাওয়া হলো এখন বাঁচবে কিসের দায় ।
কান্না চোখে চোখ ডুবেছে , ভরা ডুবিতেই জীবন ভাই !-
পরাধীনতার ঘরে স্বাধীনতা গুমরে মরুক।
স্বার্থ অবহেলিত হয়ে,ব্যর্থতা পুনরায় প্রয়াসে ভিড়ুক।
-