খরস্রোতা অভিমানের সূর্যাস্ত,
কাঠগোলাপের আদর পেয়ে।
এই প্রেমে রোজ বাড়ছে সুদ,
ভাগশেষ কে সঙ্গী করে।-
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত..!
ধুলোর প্রলেপ মাখা সৌধে
জাদুকরী গোলাপের স্পর্শ!
স্মৃতিচারণের মেঘে অঝরে বৃষ্টি।
ক্ষণিক ধুয়ে দেয় প্রতীক্ষার অভিমান,
বৃষ্টি শেষে কাটে মায়া,শুকায় অতীত।
আবারও প্রতীক্ষিত..
এক..দুই..তিন..এভাবেই পেরোয় দশক!
বাড়তে থাকে সৌধের বয়স..-
মানিয়ে নেওয়া ইতিহাসে
বুক ছুঁয়েছে মিথ্যে হাসি,
শেষ রাতে বসন্ত খুঁজে..
এ শহর মোছে জলের স্মৃতি।-
কলারে লাগা চেষ্টার ঘাম আর ক্ষয়ে যাওয়া জুতোর সোলের বিদ্রোহে;
ঘুমহীন চোখ,ইচ্ছেপূরণের আঁচলে টান মারে।
-
একটা দুটো দুঃখ দারিদ্র্যসীমার নিচে,
পথহারা সত্য-মিথ্যা হাতড়ে বেড়ায় উৎসস্থল;
খরস্রোতা অভিমান তখন ভাগ্যরেখা খোঁজে।
প্রতি নিঃশ্বাসে "আমি বনাম আমি"।
খাটে না সরণ সূত্রের প্রভাব,
অপেক্ষার গায়ে চলে তুমুল বিশ্বযুদ্ধ।
-
হৃদস্পন্দনের বহরে মুহূর্তরা আজ খুব ক্লান্ত,
গন্তব্যের শেষ প্রান্তে জারি রয়েছে স্নায়ুদের বিদ্রোহ।
একটা দীর্ঘশ্বাস!
ওই বুঝি থামলো সংখ্যাতত্ত্বের আর্তনাদ!!
এক সরলরেখায় স্তব্ধ চোখ,মুহূর্তদের মুখে কুলুপ।
মৃত্যু ও তার প্রেমিকা,পূর্ণতা লগ্নে সাক্ষী এক
স্বার্থহীন ভালোবাসা,
এক ট্রাজেডি গল্পের সুখকর পরিণতি।।
-
হারিয়েছে আজ টিফিন বক্সের ভাগীদার,
চোখে শুধুই ভার্চুয়াল জগৎ আর একটা
রংচটা ইউনিফর্ম,
ব্যস্ত সবাই,হয়ে ওঠেনি একটাও রি-ইউনিয়ন,
তাই দিনের শেষে অতীতই আজ মনখারাপের ক্লোরোফর্ম।।-
বড্ড স্যাঁতস্যাঁতে অভিমান;
প্রেমটা খালি পিছলে পড়ে,
চোখের ভিতর বৃষ্টি ভীষণ,
অনুভূতিতে আবেগ ঝরে।-
অবাধ্য ডার্ক-সার্কেল গুলোই লিখেছিল
পরিণত এক টেস্টোস্টেরন এর গল্প,
আর উঠতি বয়সের কিছু ভাঙাচোরা প্রতিশ্রুতি,
ভালোলাগার বশে ভালোবাসা শিখিয়েছিল অল্প-স্বল্প।।-
মাইলস্টোন বরাবর একটু দূরে
দুলছে এক সারি পাথরকুচি;
সারাদিন মানুষ দেখে ক্লান্ত তারা।
লাল,কমলা,সবুজ,সাদা রঙের মানুষ;
সাথে পোশাক পরিচ্ছদের বিভিন্নতা।
তাদের মনে এদের নিয়ে প্রশ্ন ভীষণ!
রক্ত-মাংসে জীবিত সবাই,
তবুও কেন এই বাহ্যিক বিভেদ?
একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে..
তাদের আর লুপ্তপ্রায় হওয়া হলো না।
তবে শেষ কথাটা শুনে গেল..
" মানুষের বর্ণান্ধতার ফলাফল হলো ধর্ম "।
একটা পাশবিকতা ঘিরে ধরলো;
সবকিছু নিশ্চুপ,কালো অন্ধকারে ঘেরা।
-