ভালোবাসায় তর্ক
--------------------
✍ অভিলাষ গাঙ্গুলী
হঠাৎ প্রেমে ঝগড়া,
শুরু হয় তর্কবিতর্কের লড়াই,
হয় চিৎকার, আসে বিচ্ছেদের কথা,
আর সৃষ্টি হয় এক বিশাল তর্কের মড়াই,
সন্ধ্যের আগাগোড়ায়,
তর্কবির্তকের অবসান ঘটে রোজ,
হাতটা ধরে চলার পথে,
শুরু হয় এক নতুন তর্কের খোঁজ,
এই অশেষ তর্কের পরেও,
আমাদের সম্পর্কে আসেনা কোনো ক্ষত,
ঝগড়াঝাঁটি, ভুল বোঝাবুঝি হয়,
তবুও আমরা, একে অপরের ভালোবাসায় রত।।-
সাজানো হাসির তর্কে,
লজ্জার ধৈর্য পরীক্ষা করে
অবৈধ পরিপক্কতা।
শব্দের নির্লজ্জ প্রয়োগে,
কথার দাম বিচার করে
বেহায়া নিস্তবদ্ধতা।-
পান থেকে চুন খসলেই, দেদারসে চলে তর্ক!
টানাপোড়েনের বেড়াজালে, হারিয়ে গেছে সম্পর্ক!-
যে প্রেম-তর্ক মানেনি; অনুভূমিক অভিসারে,
সে প্রেম-যতই বলুক মিছে; তাতে আবেগ শুধু বাড়ে।-
মর্ত্যবাসী তর্ক গেছে ভুলে
মান্যতা আর বদান্যতার জেরে,
মগজ ধুয়ে, কাগজ খেয়ে গুলে,
গেরুয়া সবুজ ভেরুয়া হয়ে ফেরে।-
মূর্খ হৃদয় প্রেম চাই, যুক্তিতর্ক মানে না,
দুবার ছ্যাঁকা খাওয়ার পরও ভুল ঘোচে না।
নেশাতুর হয়ে পোকার মতো ঝাপ দেয় প্রেমআগুনে
জমাট বুক তখনো আশা বেঁধে রাখে শুন্যমনে।-
আজকালকার ইঁদুর দৌড়ে নাম লেখানো মানুষগুলো প্যাশন আর প্রফেশনের মধ্যে পার্থক্য টা বুঝতেই ভুলে গেছে..
প্রফেশন এখন এত বেশি ইম্পর্টেন্ট যে ডাক্তারি, নার্সিং এর মত নোবল সার্ভিস গুলোকেও আমরা সো কলড "জব" নাম দিয়ে থাকি..
আজকের দিনে "স্ট্রিম" কে আমরা "লাইন" বলে ডাকতে শিখে গেছি..
তার মাঝেও কিছু মানুষ আছে যারা নিজের প্যাশন টা নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসি বা ভালোবাসে..
কারন তার মধ্যে ওই জোর করে "বই এর বোঝা", "চাপ", "প্রেসার", "টর্চার" এই কথা গুলোই আসেনা..
নিজের মন কে অন্তত জোর করে বোঝাতে হয় না, লোকের কাছে জোর গলায় জাহির করতে হয় না যে যেটা করছি তার তো একটা "ডিম্যান্ড" আছে, "প্রেস্টিজ" আছে, "নোবল" প্রফেশন (ঝেড়ে কাশুন কাকা নোবল সার্ভিস টার্ভিস ফালতু কথা, এককথায় "মার্কেট ভ্যালু" আছে, "বাজারে এটাই চলছে")..
যাইহোক, এসবের বাইরেও একটা দুনিয়া আছে.. যদিও কে কি করবে সেটা তার একদমই পার্সোনাল চয়েস.. (আসলে তারাও বোঝে যে প্যাশন ফলো করাটার আনন্দ টা মনে মনে, প্রকাশ করতে পারেনা লজ্জায়)..
এই ফালতু অজুহাত গুলোর বাইরেও, এই ইদুঁর দৌড়ের বাইরেও একটা পৃথিবী আছে, যেখানে কিছু মানুষ নিজেদের স্বপ্ন গুলো আঁকড়ে ধরে বাঁচতেই ভালোবাসে.. এগুলো কিছু মানুষ ভুলে যায় (থুড়ি, ভুলে যায়না, প্রিটেন্ড করে.. যেমন প্রিটেন্ড করে যে তারা কত ভালো আছে)
শেষ কথা একটাই,
ওরা "প্রফেশনাল", আমরা "ইমোশনাল"..-