মাদকতা..
কারো চোখের কাজলে থাকে, কারো হাসিতে, কারো কথাবার্তায়, কারো নিস্তব্ধতায়, কারো সুরে অথবা কারো বা জীবনের ছন্দে..
কাছাকাছি এলেই, নেশা হয়ে যায়..
😊-
"I love you"
থেকে যেদিন
"I love us"-এ
উত্তরণ ঘটবে,
সেদিন জানবে তোমার ভালোবাসা সার্থক..।-
aankhon mein aansu, dil mein dard soyaa hai
hasne walo ko kya pataa rone wala kis qadar roya hai..!!
ye toh bs wo hi jaane, meri tanhayi ka aalam,
jisne zindagi mein, kisi ko paane se pehle khoya hai..
☺-
তুমি যখন রূপচর্চার নানান রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ব্যস্ত,
আমি তখন আত্মার নিগূড় আশ্চর্য কার্যকলাপ অনুসন্ধানে মগ্ন..
কঠিন বিশ্লেষণে ছায়াপথে ফেলে যাচ্ছি শ্লেষ মেশানো দম্ভের নির্যাস..
তবুও মাঝে দূরত্ব রয়ে যায় কয়েক কোটি আলোকবর্ষের, যা সমান্তরাল কিছু রেখাপাত করার অজুহাতে মহাজাগতিক প্রেমকে বিলয়বিন্দুতে মেলানোর মিথ্যে গল্প রচনা করে চলে ..-
আকাশকুসুম অহংহিতের ভাবনা সাজাই বসন জুড়ে,
পরশ্রীতে ঘুম আসেনা, বড্ড আমি শীত কাতুরে..-
শতসহস্র হার মানা হার পড়ায়ে জগত ঘুরে..
স্মৃতিপথ জুড়ে আকাশ যমুনা বয়ে চলে গেছো দূরে..
বিম্ব অধর, রিক্ত হৃদয়ে আজো কান পেতে শুনি,
ঘরে ফিরবার রোজনামচার অজুহাতে দিন গুনি..-
কঠিন জিনিস ভাঙলে শব্দ হয়..
বিরক্তিকর, কানে বড্ড লাগে.. তাই না..?
যেমন ধরো সেই বাচ্চাটা যে তেলের শিশি, বা ওই তোমার শখের রে-ব্যানের চশমা টা ভেঙেছিল,
বকা দিয়েছিলে না..?
পঙ্গু ছেলেটা দোকানের দামি অ্যান্টিক পিস টা ভেঙে ফেলায় তার পিঠেও পড়েছিল ২০-৩০ টা হাতের ছাপ, আর কয়েক-শ গালাগালি..
আর কোনো নরম জিনিস ভাঙলে..? শোনা যায়না..?
বুকের ২৪ টা পঞ্জরাস্থির মধ্যে যে যন্ত্রটা অবিরত ধুকপুক করে,
সেই ধুকপুকানি কিছু সময় যখন হঠাত যখন বেড়ে যায়, অনুরণন হয় না..?
আর্তনাদ পাওনি কখনও সেই পরিবারের মুখে দায়িত্ববদ্ধ দু'মুঠো ভাত আর বোনের বিয়েয় বরপক্ষের দাবী মেটাতে কিছু বিশেষ কাগজের উপার্জনের অপেক্ষায় বসে থাকা চিরপরিচিত মুখ গুলো থেকে..?
চিৎকার পাওনি কখনও আলোছায়া ভরা মিথ্যে কথার কোনো এক শহরের ফুটপাথে বাস্তুহারা হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে কোনো এক নিকষ কালো রাত্রে পিষে যাওয়া কালো কালো অচেনা কীট গুলোর..?
গুনতে পারোনি কখনও নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত সুযোগ্য ছেলে মেয়ের অপেক্ষায় প্রহরগোনা, মিথ্যে অজুহাতে মন বুঝিয়ে স্বপ্ন বুনে চলা বলিরেখাময় অভিজ্ঞ মুখগুলো..?
হ্যাঁ, ওরাও চিৎকার করে.. তবু ওই স্বপ্নভাঙার আর্তনাদ গুলো ইঁট বালি শুঁড়কির চার দেওয়াল শুষে নিতে থাকে অনুনাদে পরিনত হওয়ার আগেই;
কিছু শব্দ কখনও আটকা পড়ে থেকে যায় পেশিবহুল মাংসল ওই পেষণ যন্ত্রটার ২টো স্পন্দনের মধ্যে..
তীব্রতাটুকু অবশ্য কেউ মেপে দেখতে রাজী নয়.. কোনও দিন হয়ও নি..-
আমি যদি কখনও মেঘ হতাম..
উড়ে বেড়াতাম দিগ-দিগন্তে,
কত সবুজ অবুঝ নিস্তব্ধ বনানীর উপর দিয়ে হত নিত্য আনাগোনা..
কত ফাগুন, আগুন শহরে দাম বাড়িয়ে হিসেবখাতা ভরিয়ে নিতাম..
কবির চাঁদ কে লুকিয়ে নিতাম আঁচলের আড়ালে যখন তখন..
খাঁ খাঁ রোদজ্বলা কোনো এক গ্রামে মা গিয়েছে খাবারের খোঁজে, তখনও ফেরেনি..
দু' দিনের অভুক্ত বাচ্চাটার থেমে যাওয়া আর্তনাদ চুরি করে নিতাম..
হতাশ কোনো এক পথচলতি বেকার যুবকের খালি পাঁজরের প্রতিক্ষার প্রতিধ্বনি কানে আসত..
গুনে নিতাম বিভীষিকাময় শূন্যতা গুলোকে..
দেখতে পেতাম কত আলোর রোশনাই আকাশ জুড়ে.. বিষবাষ্পের প্রত্যেকটা বিন্দু শুষে নিয়ে জমে উঠত আমার ঘড়া, ধীরে ধীরে..
জমিয়ে যেতাম, বুকে চেপে, আগলে জড়িয়ে রাখতাম সব কিছু ..
আচ্ছা, যদি কোনও একদিন সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে আর বইতে না পেরে ভেঙে পড়তাম,
যদি বর্ষা নামাতাম কান্না ঢাকার অন্য ছলে,
আমার চোখের কয়েকফোঁটা জলবিন্দু কি ওই অশেষ নোনাজলকে স্পর্শ করতে পারত..?
কখনওই..?-
আজকালকার ইঁদুর দৌড়ে নাম লেখানো মানুষগুলো প্যাশন আর প্রফেশনের মধ্যে পার্থক্য টা বুঝতেই ভুলে গেছে..
প্রফেশন এখন এত বেশি ইম্পর্টেন্ট যে ডাক্তারি, নার্সিং এর মত নোবল সার্ভিস গুলোকেও আমরা সো কলড "জব" নাম দিয়ে থাকি..
আজকের দিনে "স্ট্রিম" কে আমরা "লাইন" বলে ডাকতে শিখে গেছি..
তার মাঝেও কিছু মানুষ আছে যারা নিজের প্যাশন টা নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসি বা ভালোবাসে..
কারন তার মধ্যে ওই জোর করে "বই এর বোঝা", "চাপ", "প্রেসার", "টর্চার" এই কথা গুলোই আসেনা..
নিজের মন কে অন্তত জোর করে বোঝাতে হয় না, লোকের কাছে জোর গলায় জাহির করতে হয় না যে যেটা করছি তার তো একটা "ডিম্যান্ড" আছে, "প্রেস্টিজ" আছে, "নোবল" প্রফেশন (ঝেড়ে কাশুন কাকা নোবল সার্ভিস টার্ভিস ফালতু কথা, এককথায় "মার্কেট ভ্যালু" আছে, "বাজারে এটাই চলছে")..
যাইহোক, এসবের বাইরেও একটা দুনিয়া আছে.. যদিও কে কি করবে সেটা তার একদমই পার্সোনাল চয়েস.. (আসলে তারাও বোঝে যে প্যাশন ফলো করাটার আনন্দ টা মনে মনে, প্রকাশ করতে পারেনা লজ্জায়)..
এই ফালতু অজুহাত গুলোর বাইরেও, এই ইদুঁর দৌড়ের বাইরেও একটা পৃথিবী আছে, যেখানে কিছু মানুষ নিজেদের স্বপ্ন গুলো আঁকড়ে ধরে বাঁচতেই ভালোবাসে.. এগুলো কিছু মানুষ ভুলে যায় (থুড়ি, ভুলে যায়না, প্রিটেন্ড করে.. যেমন প্রিটেন্ড করে যে তারা কত ভালো আছে)
শেষ কথা একটাই,
ওরা "প্রফেশনাল", আমরা "ইমোশনাল"..-