ভিজে যাওয়া গ্রাম
এখন শান্ত
মেঘের ঘরে ফুরিয়েছে জল
বৃষ্টিরা বুঝি ক্লান্ত-
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধে
মন উচাটন ..
বৃষ্টিভেজা দুপুরটাতে
খিচুড়ি রন্ধন ..
জলকেলিতে মত্ত
মাছেদের পুকুর..
গাছগুলো যেন
আনন্দে টইটম্বুর ..
দূষণ মুক্ত পরিবেশ
প্রিয় গ্রাম্য জীবন..
ভালোবাসার পরশে
থাকব আজীবন ..
-
মনখারাপের সামিয়ানা টাঙানো
এই অসবুজ শহরে ,
একফালি আকাশ
কোনোক্রমে দেখা যায় ।
রাতদিন ব্যস্ততা ঢাকা
এই কংক্রিটের শহরে ,
প্রেমহীন ফ্যাকাশে
যান্ত্রিক সব মানুষ ।
অন্যদিকে গরীব গ্রাম
দীর্ঘ অপেক্ষায় বাঁচে ,
স্বপ্নের ভ্রমে
কেউকেউ তাকে হারায়।
বাকি যারা গ্রামে
টিকে যায় , তারা
সম্পর্কের সজীবতায়
আধুনিকতাকে করে ফানুস ।-
জঙ্গল কেটে গ্রাম করেছি।
গ্রাম ভেঙে শহর।
শহর হল বস্তি।
মানুষের আক্ষেপ!
চল যাই জঙ্গলে
যদি পাই স্বস্তি!-
গ্রাম থেকে এসেছি শহরে আমি তো
নিজের কর্ম জীবন খুঁজতে ,
আমি বারে বারে হই প্রতারিত তবুও
মনোবল রেখেছি মনেতে ।
দূর থেকে দূরে ছুটি আশা নিয়েই
কারও কাছে পাইনা ভরসা ,
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,আমারে
কভু দেয়না কেউ তো আশা ।
দেশে দেশে ঘুরেছি কাজের আশায়
রাখতে চেয়েছি সবারে সুখে ,
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে শুধু ঘুরে বেড়াই
আমি,সেই নির্জনতার বুকে ।-
দেখি কি আছে ঝুড়িতে?
চল আবার দেবতা খুঁজি
পথের ধারের নুড়িতে।
চল যায় মেঠোপথ বেয়ে
ছায়াঘেরা কুটিরে।
বসে থাকে যদি চড়ুই জোড়
চুপচাপ কোটরে!
চল আবার আঁড়ি-ভাব হোক
ধুলোমাখা বিকেলে।
তিক্ততা অস্থায়ী হোক
বন্ধুত্বের মুক্ত শেকলে।
চল আবার সেসব করি
যা করতে দৃঢ় মানা।
অবাধ্য হয়ে যদি ফেরত পায়
জীবনের ষোলো আনা!-
গোধূলি রোশনাই রাঙিয়া দিয়েছে আজ..
প্রজ্বালিত সকলের সাময়িক অবসর সময়,
গৃহে ফিরিবে সবাই তাতে আর নেই কোনো লাজ..
সন্ধ্যা হয় - চারিদিকে আশ্চর্য নিরাবতা,
অন্ন মুখে পক্ষীর ঝাঁক যেতেছে উড়ে চুপে..
গরুর গাড়িটি যায় মেঠো পথ দিয়ে ধীরে ধীরে,
আঙিনা ভরিয়ে আছে সোনালী খড়ের ঘন স্তুপে..-
খুব সুন্দর এই গ্রামটি, আর অন্যন্য সুন্দর প্রকৃতি, ও মানুষের সরলতা,পাহাড়ি ঝর্ণার আওয়াজ, আনন্দে আত্মহারা পাখি পশু, কোনো কপটতা নেই, চালাকি নেই, স্বার্থপরতা নেই, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অতুলনীয়, এখনো পৃথিবীতে অন্যন্য সুন্দর গ্রাম, মানুষ জন আছে তাই হয়তো পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় আছে।
-