মানবতা বিকিয়ে গেছে,ঘুণপোকা কেটেছে সমাজ;
মুখ-মুখোশের লুকোচুরি,ছদ্মবেশী বিবেকেরা আজ।

-

বড়লোক তারা, বিনা শোধে বিবেকের কাছে ঋনী হয়ে তবু বাঁচে;
গরীব তো মরে পেটে পান্তাভাতে বিবেকের জ্বালাময়ী আঁচে!

-

যোদ্ধা হওয়া হারিয়ে গেছে সামাজিকতার কাছে,
নির্লজ্জ্ব বিবেকও নিজেকে পাল্টেছে ডাকাতের ধাঁচে...

-

এখনো তো সকাল হয়নি পাখিরাও গাইছে না গান,
কপালের হাতে রেখে ঘুমন্ত রিক্সাওয়ালা প্রতীক্ষা সকালের অপেক্ষায়।
মাঝে মাঝে ভাবি ওদের জন্যই কিছু লিখব না আর,
ওরা কি বুঝবে আমার লেখা কবিতা আর গান?
ঘড়ির কাঁটার শব্দরা যখন বয়ে চলে টিকটিক রবে,
ওদের তখন কেটে যায় দিন কেবলই দু'মুঠো অন্নের খোঁজে।
ছোট ছোট ছেলে মেয়ে খিদের জ্বালায় যখন চিৎকার উচ্চস্বরে...
তখন শহরের বুকে ধনীর সন্তান খায় পেট ভরে চেটেপুটে।
ওরা যে রিক্সাওয়ালা ঠেলা ঠেলে চলে শহরের অলিতে গলিতে,
কপাল বেয়ে নেমে আসে ঘাম অজস্র গতিতে।
ওরাতো রোজই বেঁচে থেকে মরে ,
করে মৃত্যুর সাথে উৎসব।

-

ঝড়ে উড়ে গেছে কারো বাড়ি,,
দিনে দু মুটো খাবারের জন্যে করছে হাহাকার..
ভিটে ছাড়া হয়ে গিয়ে পরিযায়ী,,
আকাঙ্খা ভালোবাসার উর্ধে তপ্ত রোদে হাটছে বারবার...
জানে তারা তাঁদের কষ্ট বুঝবে না কেউ,,
যে একদিন আত্মীয় ছিল দুর্যোগে পাশে নেই সেও..
তাই তাদের কপালের লিখন কেই করছে দোষারোপ,,
উপোস করে পুজো দেবার এই মিললো ফলস্বরূপ..
কিন্তু আজও ধৈর্য হারায়নি তারা,,
শিশু দের কোলে নিয়ে মাইলের পর মাইল হাটছে যারা..
একদিন হয়তো তারাও পাবে সুখ,,
এই আস্থা রেখে প্রতি রাতে ভেজায় চোখ..

-

ভুলে যেও আমাকে,
আমি গরীব ঘরের সন্তান।
আছে শুধু বুক ভরা ভালোবাসা,
আমি করি না কোনরকম অভিমান।
তোমায় দিতে পারবো না
সোনা গয়না, টাকা পয়সা ও পাকা বাড়ি,
কারন নেই আমার কাছে কোন রকম সরকারি চাকরি।
তাই ভুলে যেও আমাকে,
আমি গরীব ঘরের সন্তান।

-

টাকা পয়সা নেই তাই সম্মান দিতে তোমাদের কষ্ট হচ্ছে,ওদের মতো যদি মনটা পেতে তাহলে আন্তরিকতার অর্থ বুঝতে পারতে।

-

আমি গরিব বলে.. বাবু আমায় ভিকারী আখ্যা দিলে,
ভেবো না আমি গরিব বলে.. আমার ভিক্ষা তে পেট চলে।
তুমি ভাবো বাবু.. গরিব বলে লোভ টা আমার খুব,
লোভ করি না তোমার টাকায়.. বাবু আমি ভাঙ্গা ঘরে পাই সুখ।
গরিব বলে ভেবো না.. আমার সম্মান বোধ নাই,
অট্টালিকা না বানাতে পারি বাবু.. আমি মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।

-

তোমরা পরছো যে রঙ্গিন পোশাক খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালো।
আর আমার পরি ছেঁড়া জামা, জীবন যে সাদা কালো।
পাচ্ছি না যে আমরা খেতে, দুই বেলা পেট ভরে।
তোমরা সব দিব্বি আছো, খাচ্ছো আরাম করে।
যদি থাকে খাবার কিছু ,দাওনা একটু ফেলে।
বাঁচতে পারি যে আমরা ,খাবার টুকু পেলে।
জমে আছে হাজার কষ্ট-ব‍্যাথা,
তবুও কেউ ভাবে না আমাদের কথা ।
প্রত‍্যহ কাটছে দিন আমাদের ,চোখের জল ফেলে।
তোমাদের কি হয়না দয়া! নাকি আমরা গরিব বলে ??

✍️সুখেন্দু

-

তোমার পুজোয় আলোর চমক
হরেকরকম সাজের ঘটা
আমার পুজোয় ভাতের আশায়
অন্ধকারে পথ হাঁটা
তোমার পুজোয় দুগ্গা মায়ের
দশ হাতে অস্ত্র সাজে
আমার পুজোয় কাঁদে মা
দুঃখ তার অন্তরে বাজে
তোমার পুজোয় সুখ খোঁজো
চমৎকারী বড় আহারে
আমার পুজোয় সুখ খুঁজি
আস্তাকুঁড়ে, ড্রেনের ধারে
তোমার পুজোয় বছর বছর
আনন্দ আর খোশমেজাজ
আমার পুজোয় আনন্দ বোঝায়
গোলাগুলি,,গুন্ডারাজ

-