ষোলো আনা কিলো দরে
বিশ্বাস বিক্রি করে এসেছি লোকাল ট্রেনে ট্রেনে
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থেকেছি;
গোটা একটা দিনের শেষে
ভীষণভাবে ‘ফেরিওয়ালা’ বলতে ইচ্ছে করেছে, নিজেকে!
মৃত্যুর আগের দিনকটা গুনে গুনে
ক্লান্ত হাত; ভাগ্যরেখায় ঘুরে বেড়ায় কাঁকড়াবিছে,
আর সন্দেহের চতুর হায়না, শেয়াল....
যদি ধরো হিসেব সব শেষ, সামনে কেবলই রাত
কিংবা জীবন বলতে আর কিছুই নেই
সময়ের হাতকড়া সামনে ঝুলিয়ে
যদি সামাজিকতায়, বিচ্ছেদের পুলিশ সামনে এসে দাঁড়ায়
তোমাকে হারানোর সংবাদের মতো যন্ত্রনায় ভর্তি
রিভালভার ঠেকিয়ে ধরে কানের পাশে
আমি কি ধরা দেব হৃদয় ভর্তি ভালবাসা সমেত
বিনিময়ে জামিন পাব বলে?
নাকি বাড়িয়ে দেব হাত, পরের জন্মে তোমাকে পাবার লোভে....-
Believe = KS💫❤️
Idk how to tell someone about my feelings & heartbeat... read more
ভোরের কুয়াশার মতো ভেজা ঝাপসা আপনার চোখের পাতা; মাঝে মাঝে আপনার চোখ ঘেঁসে মেঘলা দিনগুলো এক একটা মনখারাপের বাসি পঞ্চ জবার মতো ঝরে ঝরে পড়ে... প্রথম প্রথম আমি ভাবতাম চেরাপুঞ্জী শুধু একটাই আছে কিন্তু আপনার চোখ দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে আপনার হৃদয়ে এখন কীসের মরশুম! ভীষণ রকম শ্রাবন ঘনিয়ে আসে রোজ রাতে তবুও আপনি কেমন করে রোদেলা দিনের মতো সূর্যমুখী হয়ে স্পষ্ট চাউনিতে দূরের দিগন্তের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দিনটা কাটিয়ে দেন? বিশ্বাস করুন, এরচে গভীরতম বিস্ময়কর ঘটনা আমার এখনও পর্যন্ত জানা ছিল না! যে যে রাত দুঃখ-বিষাদে ভরা ভাঙা কাঁচের মতো, আপনার হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে সেই সেই রাতগুলো গুলো কি করে পেরিয়ে গিয়ে হাসি মুখে পরের দিন হীরে হয়ে ঝলমল করেন? এরমভাবে চলতে থাকলে আমি নিশ্চিন্ত যে আপনি একদিন অজস্র রকমের দুঃখ দিয়ে আস্ত একটা সংগ্রহশালা খুলে নেবেন! তবে যদি এটা সত্যি হয় তো দেখুন না প্লিজ যদি পারেন তো সেখানে আমাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিন। বিশ্বাস করুন, একদম ছুটি চাইব না আর বোনাসও চাইব না!
-
সারাটা জীবন ঘাস হয়ে কাটিয়ে দেওয়াটা
কি নেহাত ছেলেমানুষী?
চিবুকে বিন্দু বিন্দু শিশির-অশ্রু রেখে
হৃদয়ের কথা অহেতুক বলাটা জরুরী বোধহয় না!
আইশেওড়া গাছের হলুদফলের ফাঁকে ফাঁকে বসে থাকে
জোড়ায় জোড়ায় বসন্তবৌরী;
দেখে দেখে মেঘের মতোন সীমান্তে ভাসে চোখ!
কিচ্ছু না পাওয়া, আঁধার গলা মোমের মতো এ জীবনে
ঈশ্বর আমি কেবল একটা আকাশী-হলুদ পালক হতে চাই...-
আমার এই ভালবাসাকে যে কোনো একটা সংখ্যাকে ভাজক রেখে
নাহয় ভাগ করে দেখো,
দেখো স্মৃতিমেশানো একমুঠো ভাগশেষ তখনও পড়ে থাকে কিনা!
আমার রাতজাগা স্বপ্নের পাসপোর্ট তোমার হৃদয়ে...
কিংবা তোমার চোখে প্রজাপতির ঋতি ইশারা
আর কপালে তোমার আকাশরঙা আনীল সমুদ্রশুক্তির রঙ;
ভোরের কুয়ার মতো বিন্দু বিন্দু পায়ে
কবিতার ভাষা হয়ে ফুটে উঠেছো রোজ সন্ধ্যাতারার মতোন!
বিশেষত আমার জানা নেই কীভাবে একটা মানুষ তুমি, দেবদূতের মতো
রোজ আনকোরা এক একটা উপন্যাস হয়ে
ধরা দিতে পারো স্বপ্নের শহরে...-
আগুনে ঝাঁপ দেবার আগে
কিছু পতঙ্গকে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হয় বিউটি পার্লারে!
ওদের জন্য রেস্তোরা থাকে খোলা, এ কদিন।
দুপুর গড়িয়ে ভোরের আলোটা
ঘাসের উপর, গাছের পাতায় বিকেল হয়ে ফুটে
বাসি গোধূলি হতে চলল...
অথচ নিখোঁজ পতঙ্গের আশায় সে দাঁড়ায়
বাসস্ট্যান্ডের ভিড়ে, কলেজস্ট্রিটে!
টালিগঞ্জ 4টে সতেরোর মেট্রোর জানলায় টোকা মারে...
হৃদয়ভাঙা একটা বখাটে প্রেমিকের সাইকেলে চেপে
সে প্রিয় একটা পতঙ্গ খুঁজে বেড়ায়,
এ গলি থেকে ও গলি কিংবা গ্রামে গ্রামে।
দিগন্তের সমুদ্রে ঝাঁপ দেবার আগে
আহত বাবুইয়ের বাসায় শোকের কবিতা লিখে এসে,
সে ভুলে যেতে চায় নিঃশর্ত একটা হৃদয় ছিল তাঁরও!-
রোজ রোজ দিনের আলোটাও একটা সময় ময়লা হয়ে আসে;
শখ তাকে নাম দেওয়া যায়, সন্ধ্যেবেলা!
মাঝে মাঝে মনে হয়েছে (ভুলবশত)
জীবনে এমন একজন পেলে হত ভারী ভাল
যে আমার সকল মাঝরাত আর সন্ধ্যেগুলো কেচে ধুয়ে
মাসে একবার পরিস্কার একটা পূর্নিমার চাঁদ বানিয়ে দেবে!,
অ্যানিমিয়ার উঠে যাওয়া চুলের ফাঁকে
সদর খোলা। অবিক্রিত একটা স্বপ্নের নদী, মস্তিকমুখী গতিপথ
একে একে ভেসে আসে মনখারাপী, দুঃখ, বস্তাভর্তি যন্ত্রনা!
তাই বলে জোড়া লাগাতে পারে (ভাঙা) হৃদয়
এমন একটা মানুষ তো আর বিজ্ঞাপন দিয়ে পাওয়া যায় না!
হৃদয়ের গায়ে দ্রাঘিমারেখা নেই,
বুঝি তাই যায়নি বোঝা মায়া আর বিশ্বাসের লুকোচুরি!
সময়ের ক্ষতে খসে পড়া প্রজাপতি বিকেলের শোকে
তার চিঠি পোড়াতে গেছি, পোড়ে নি
পুড়েছে হৃদয়, পুড়েছে হাত।
দহন আমার দীর্ঘস্থায়ী, করেছে বন্দী!-
I thought it was just a crack but forgot that a river has many tributaries and they also have the power to bring flood. Here is the thing or maybe something like that, happened!— % &
-
জন্মদিন এলেই নিজেকে নিয়ে সমুদ্রের অতল গভীরে ডুব দিই তখনই টের পাই বয়সের ঢেউ আমাকে কোনো একটা সীমান্তের দিকে নিয়ে যেতে চায়, বোধহয় এতটা গভীরে আসার দরকারই ছিলনা। অথচ সারাটাবছর মনে হয় চারদিকে কেবল জল আর জল যেন আকাশের নীল চারদিকে ঘিরে ধরে বন্দী রেখেছে, কিছুতেই সীমান্তের সবুজ ছুঁতে দেবেনা।
সত্যি বলতে কি আমার নির্দিষ্ট কোনো জন্মদিন নেই। যে যে দিন যখনই তুমি আমাকে মনে করো সেই সব কটা দিনগুলোই আমার জন্মদিন। মনে হয় যেন এই মাত্র জন্ম নিলাম নতুন করে। তুমি ছাড়া প্রত্যেকটা দিনে নিজেকে মনেহয় যেন শ্মশানে শুয়ে থাকা সেই লাশটা, ছাই হবার যার কোনো নামগন্ধ নেই তবে ভীষণভাবে পুড়ছে, পুড়েই যাচ্ছে অথচ কিছুতেই সে আগুন নেভানো যাচ্ছে না!— % &-
অতীত, সমাজ, মনখারাপী কিংবা ভালবাসাদের থেকে
এমনকি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা তুমি'টার থেকেও
পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ঘুম নেই, একটা চোরের মতো...
পিঠ বাঁচিয়ে, নিঃশব্দে এড়িয়ে চলি রাজ্যের যত দেয়াল।
আশঙ্কায় গ্রেফতারী পরোয়ানা; তবে নোটিশ এখনও আসেনি!
যদিও সত্যি তো এটা যে, মামলা একটা চলছে
জীবন আর আমার মধ্যে,
ঠিক যেন (অবিরাম) পুলিশ চোরের খেলা...
জানো তো এরম একটা পৃথিবীর দরকার খুব
যেখানে কোনো দেয়াল নেই!
ভালবাসার সাপেক্ষে হৃদয়টুকুও চুরি করা বুঝি পাপ!
জানতাম না আইন, জানতাম না কিছুই...
জানলেও কি বসে থাকতাম নাকি
যখন এ অন্তরে, ভেতর ঘরে ভালবাসার ভীষণ'ই অভাব!
এসবের কিছুই বোঝে না জীবন, নিষ্ঠুর একটা পুলিশ...
তবে একদিন যখন আঁধার ছুঁই ছুঁই
অশ্রু-চাদর, আব্বুলিশ দিয়ে
আমিও দেব ঝাঁপ অনন্ত সমুদ্রে, দিগন্তের ঐ সূর্যটার মত
আবার উঠব ভেসে সমুদ্রের বুকের বাঁদিক ঘেঁসে!
তোমার হতে না পারা পর্যন্ত এভাবে ঝাঁপ দিয়ে যেতে হবে আজন্ম...-
তীব্র মাদকতা আছে এই অবৈধ জিনিসগুলোতে
মাঝেমাঝে এ পৃথিবীর সকল জিনিসকেই অবৈধ বলে মনে হয়;
তরল চুম্বকের মতো আকর্ষণ,
নেশাতুর হয়ে আসে যত ইচ্ছের দল...
আঁধারে ডুবিয়ে তাই রাখি মাথা।
আজকাল ঘুমের পিপাসায় মগ্ন হয়ে আসে দিন
অথচ রাত এলেই ঘুম আর আমি, চোর আর পুলিশ।
চায়ের কাপে মনখারাপ মিশিয়ে রোজ ভাবতে বসি
তোমার আমার মধ্যে অভাব ছিল কিসের?
বিশ্বাসে ঘেরা বড় সড় একটা মাঠ ছিল,
এক পাহাড় ভালবাসা ছিল।
আর মনভাল করা দক্ষিণা বাতাসটুকুও তো ছিল।
তবুও দুজনেই ভীষণভাবে জানি,
বুকের খুব কাছে পাড় ভেঙে চলেছে, মাটি সরছে...
বড্ড দেরীতে হয়েছে জানা যে দুজনের মাঝে বিশাল একটা নদী,
ভয়ের ঢেউ, তুফান... পারি নি সামলাতে জীবন-জাহাজ
ভেসে যাওয়া নাবিকের মতো শূন্য এ হাত,
এ জন্মে তুমি নদীর ওপারে শুধু স্বপ্ন হয়েই থেকে গেলে...
কথা দিলাম পরের জন্মে এই দূরত্ব মুছে
ভালবেসে স্মৃতির পাথরে পাথর রেখে সেতু একটা বানিয়ে নেব ঠিকই!-