মাথা ঠিকি আছে!
সমাজ অসুস্থ!
তারই একটু প্রভাব পরেছে...-
এই শরীরটা আজ বারো রোগের বসতি;
রোজ একটু একটু করে পোকা গুলো ঘুন ধরাচ্ছে,
কুঁড়ে কুঁড়ে ভিতরটা একেবারে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে,
বড্ড দায়সারা এ জীবন....
নিত্য নতুন ব্যাধির আক্রমণে বড় ভারী হয়ে উঠেছে;
আমি আর টানতে পারছিনা।
ক্লান্ত... খুব ক্লান্ত!!
এবার না হয় মুক্তি পাক আমার আত্মা...
সে যে বড় অসহায় গো-
অসুখগুলো দাঁত-নখ বার করে তাকে একেবারে ছিঁড়ে খাচ্ছে!
ও জীবন, এবার আমায় ছুটি দে...-
জানিনা আবার কবে আসিবে ফিরে..
মেঘলা মন ও বিষণ্ণ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে,
অশরীরীর মতো চলে যাচ্ছি দুরে বহুদূরে..
এই নীরস দৈনন্দিন জীবনে,
ধীরুজ হয়েছে সবাই অবসন্ন হয়েছে শরীর..
পুরোনো সেই উদ্দীপ্ত শক্তি ফিরে পেতে,
আগে যে আরোগ্য করতে হবে এই ধরিত্রীর..-
শরীর যখন অসুস্থ খুব,
দেওয়াল জুড়ে কবিতারা ভিড় করে....
মন কেমনের ওষুধ যে নেই,
আজ , অসুখ যে মনের ঘরে!-
অন্ধকার চার দেওয়ালের বৃত্তে,
সময় হচ্ছে ক্ষয়.
স্নায়ু ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রণা.....
ধোঁয়ার আবৃতে ম্লান হয়।।-
পাশবিকতার জঞ্জালে হারাচ্ছে মনুষ্যত্ব,
মৃত মানুষের ছাই এ জন্ম নিচ্ছে পশুত্ব।-
হারিয়ে যাচ্ছি রোজ, ওই আঙ্গুলের ভিড়ে,
ব্যস্তময় জীবন, বন্দি কল্পনার নীড়ে ।
ফিরে যেতে যাই সেই ব্যস্ততার আবেশে;
স্বপ্নগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে, গলির এক পাশে
অসুস্থ তিলোত্তমা , ধুঁকছে বিষক্রিয়ায় নাগপাশে।।
-
আকাশটা পুড়ে গেছে
বেলকনিতে রক্তজবার মৃত্যু
পুরো পৃথিবী রক্তাক্ত হয়ে গেছে
মুঠোফোনের ডিসপ্লে তে অমাবশ্যা
পূর্ণিমায় রাস্তাঘাট ভিজে একাকার
দেহ কেনার খদ্দের নেই
কি খাবে ক্ষুদার্ত শরীর
অসুস্থ মানুষে চাকচিক্যময় শহর
বেচে থাকা ঘোর তামাশা
তবু আশা করে যাচ্ছে রাস্তার মোড়ে
তাকিয়ে থাকা কুকুর।।-