-
বোবা হয়েগেছি...
রোজ রোজ সূর্য ডোবা দেখতে দেখতে।
আসে-পাশে সবাই কেমন নির্বিকার হয়ে
আকাশের বুকে রক্তের দাগ মুছে যাওয়া দেখছে..
তারা ক্লান্ত গাছের মত দাঁড়িয়ে আছে!
আর অন্ধকার আস্তে আস্তে তাদের গ্রাস করছে।
আমিও ব্যতিক্রমী নই, আমার অস্তিত্বকে
সে অন্ধকারে বিলীন হতে দেখছি..
প্রতিবাদ করার শক্তি টুকুও বেঁচে নেই,
শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকারা সাক্ষী থাকবে
এ কবির আর তার penসিলের,
পরজন্ম তো আমি পুড়িয়েছি ভালোবেসে..!-
বিলাসিতা ছেড়ে একটু সময় বের করে আসিস।
নগ্ন পায়ে হেঁটে দেখবো সূর্যাস্ত.....-
সূর্য্য ঢেকেছে মুখ মেঘের আঁচলে,
পাখির ডানা ঝাপটায় বাতাস গায় গান;
লাঠি হাতে কোঁচকানো চর্মের বুরিমা,
দেখে ক্লান্ত মহিষদের সূর্যাস্ত স্নান।-
এই বিকেলের কাছাকাছি তুমি আমি পাশাপাশি,
সূর্যাস্ত দেখার তরেই নদীর তীরে ছুটে আসি।
-
সূর্যাস্ত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রাগে অনুরাগে,কি কথা ছিল যে মনে মনে
কুসুমকলি আধোঘুমে ফুটেছিল কাননে
পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের ইশারা ভুলি কেমনে
শুধু রয়ে গেল পদচিহ্ন চিরধরা জীবনে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~-
খেয়া ঘাটের তীরে আজ ক্লান্তহীন ঢেউ গোধূলির আগমনী বার্তায়,
ধূসর মেঘের অস্থির আকৃতি কদম গাছের সাথে আলিঙ্গনের আশায়।
নীল আকাশের নীচে খেয়া তরীতে দুটি মনের প্রতিশ্রুতির আশ্বাস,
চাঞ্চল্য নদীর আত্মপ্রকাশে আজ দিগন্তে বেলা শেষের উচ্ছাস।
সুভাসে ভরা জুঁই ফুলের প্রতিভাসে ঢেউের অস্বচ্ছ ফোঁটার প্রতিচ্ছায়া,
ভেজা পায়ে ঘাসের শুকনো পাতায় আসক্ত মাটির স্পর্শের নকশি গাঁথা।
ঋক্ষের আহ্বানে আজ এই ক্ষনে শেষ মৃতুযের অভিব্যক্তি,
ধ্রুবতারার উপস্থিতির সন্ধানে এই প্রহরে তাই সূর্যাস্তের পরিণতি ।-