অনেক দূরে কোনো এক শহরের
কোনো অজানা এক বাস স্টপে দাঁড়িয়ে আছি আমি...
আর তুমি বাসে উঠে চলে যাচ্ছ সব কিছু উপেক্ষা করে!

আসা যাওয়ার মুখের ভিড়
একটু একটু করে হারিয়ে যায়..
সকালে রোদ, ফের বৃষ্টি..
ভেজা ভেজা সন্ধে নামে রাস্তা জুড়ে
ঝাপসা কাঁচের নিচে জমে ওঠে হলুদ আলো
ফের, আবার এক উজ্জ্বল সকাল আসে
আর এমনি ভাবেই কত হিম-যুগ পেরিয়ে গেছে..
তবু এখনও দাঁড়িয়ে আছি আমি ..
হয়তো আমার কষ্টের মতো দীর্ঘ আর কিছুই স্থায়ী নয়!

এক মুখ দাঁড়ি আর নিশ্চল দু'চোখ
অদৃষ্ট থেকে সরিয়ে আনি রাস্তায়..
' And I look at each one who passes, wandering
Might it be you? Might it be?'

-

বছরের কোন কোন দিন বাকি গুলোর চেয়ে আলাদা মনে হয়। মনে হয়, যেন কোন প্যারালাল ইউনিভার্সে পৌঁছে গেছি হঠাৎ করেই। যেখানে অ্যালার্মের বদলে ঘুম ভাঙে বারান্দায় বসা নাম না জানা কোন পাখির ডাকে। নিউজ পেপারের শিরোনামে রাজনৈতিক স্ক্যামের বদলে থাকে দেশের মেয়ের সোনা জেতার লড়াই, শেয়ার বাজারের ঊর্ধ্বমুখীর আশা... আচ্ছা, কখনো কখনো কি তোমারও এমন মনে হয়?
    বেরোনোর সময় মা-র ডাক "লুচি আর আলুর দম বানিয়েছি, আজও না খেয়ে যেতে পারিস.."। বাসের মধ্যে ভাড়া নিয়ে MMA লড়াইও বাঁধল না আজ! অফিসের কাজ একঘেঁয়েমি মনে হলনা একবারও, চারটে দশের লোকালও পেলাম.... যেন দীর্ঘ রাত্রির পর, শুধু সবটুকু ভালো নিয়ে ঈশ্বর একদিন উপহার দিয়েছেন...
   সন্ধে নেমে আসছে আমার বাড়ি ফেরার সাথে, অশ্বথ গাছের পাতা কালো হয়ে আসে.. অনেক দিন হল কথা হয়নি যে বন্ধুর সাথে, হঠাৎ করেই দেখা হয়ে যায় রাস্তায়। মোড়ের কাছে স্ট্রিট ল্যাম্পটা অনেকদিন পর আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে, আমার মতোই..
    দীর্ঘ বৃষ্টির পর আজ তার বিরতি, সারাদিন একটুও বৃষ্টি হয়নি। এখন এক আকাশ তারা, আর তার নিচে দাঁড়িয়ে আছি আমি.. মানে আমরা। মনে হচ্ছে সময় যেনো আবারও ফিরে গিয়েছে প্যালিওলিথিক পিরিয়ডে, আর আমি তোমার জন্যে কবিতা লিখছি আবারও..
   আজকের দিনটা বছরের বাকি দিনগুলোর থেকে সত্যিই আলাদা, প্যালিওলিথিক দূরত্ব পেরিয়ে সকালে তোমার ফোনে তোমাকে শুনলাম...
"Many many happy returns..."

-

শীতের মতো হারিয়ে যাচ্ছে সব
উত্তর আর বিশ্বাস ধীরে ধীরে
পরিযায়ী যারা ছেড়ে গেল এশহর
তারা কি বলো, আসবে আবার ফিরে?

ফিরে আসে হারিয়ে যাওয়া পাতা
বকুলের দিন, আর ঝরে পড়া তারা
শূন্য আকাশে ছায়াপথ টেনে দিয়ে
সমানে দু'পা এগিয়ে দিলো কারা?

কারা দিয়ে গেল শুধুই বসন্ত?
কাদের কাছে বাড়লো ঋণের বোঝা?
তুমিও কি সেই ওদের দলেই পড়ো
যাদের জন্যে অহেতুক কবি সাজা?

সাজানো আর কোন কিছুই নেই
এক দশকের ভালোবাসা ছাড়া
হাতের পাতায় আগলে রেখেছি সবুজ
তুমি কি বলো, আসবে আমার পাড়া?

-

কত জন্ম ভেঙেছি নিজেকে
তবু, তোমার পাশে রাখতে পারিনি..
শিশির হতে পারলেও, এ ফিরতি শীতে
এখনও তোমার জন্যে মুক্তো হতে পারিনি!

-

তারপর
পাতাঝরার মরসুম ফিরে আসে..
সর্বহারাদের মত
দৃষ্টির দু'ধারে দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণমোচী,
পথভ্রষ্ট হয়
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে
বয়ে আসা কোন একলা নদীও..
উষ্ণতা হারাতে হারাতে
আলো জমেনি,
মনখারাপী কুয়াশা ঢেকে গেছে শহরে..
হঠাৎই যেন
দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা
দীর্ঘশ্বাস শুষে নিতে
সবুজের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

-

তোমার দেওয়া কথা যতো
বদলে যাওয়া ঋতুর মতো..

-

পল্লব দা : এই জানো আজ 'ওয়ার্ল্ড ওজন ডে' !

পল্লবদার gf : খবরদার!
তুমি কিন্তু আমার ডায়েট নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলবে না..

-

সবটা বুঝি..
তোমার ব্যস্ততা, নিরবতা.. সব!
চোখ নামিয়ে চলে গিয়ে
সবটা বুঝিয়ে দিয়েছ অজান্তেই।
অথচ একটা সময়
চোখের তারায় তুমিই কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে।
সে অভিকর্ষতা, অনুসন্ধান
কিছুই কি অবশিষ্ট নেই ?
আমার লেখা, আমার গান..
কিছুই বুঝি আর তেমন করে টানে না!
হয়তো অন্তরালে সেদিনের প্রতিশ্রুতিরা
নদীর স্রোতের সাথেই বয়ে গেছে, মুক্তির দাবিতে।
রোজ এভাবেই তার বোঝা বেড়ে চলেছে,
আমরা মুক্ত হই, নদী মন্থর হয়!

-

গোলাপ তো ফুটতে দেখ কত..
ক'জন জানে তার বুকেও ক্ষত!

-

হাওয়ার মতো হয়, কিছু মানুষের প্রকৃতি
দেখা যায় না, তবু পথচলতে বোঝা যায়
তার উপস্থিতি!

-