🍃ঝরাপাতা 🍂
আজ একশো বছর পূর্ণ হলো...
এই শুষ্ক পরিবেশ এখন ভীষণ অভিমানী।
রুক্ষ মাটিতে দাঁড়িয়ে হাজারো মিথ্যে প্রেমের সাক্ষী আমি।
গ্রীষ্মের প্রখর রোদ্দুরে...
হাজারও মানুষ এসে ক্লান্ত ফেলে দেয় আমার পায়ে,
তবে আজ, আমি ক্লান্ত মানবিকতার স্বার্থপরতায়।
আমার এই শুষ্ক জীবন ঝরাপাতা হয়েই ঝরে মিশুক রুক্ষ মাটির বুকে...।
মানবিকতায় ফিরুক মানসিক চেতনা,
প্রকৃতির সবুজের ন্যায়।
-
কতকাল ধরে লালের আলোতে, সয়েছি কত শব্দঝড়
বাকি রং তো সবই ফিকে, কোথায় সেই অন্য ঘর?
কোথায় সেই তুলিকলম, আর্তনাদের আত্মদীপ
কোথায় সেই সংমিশ্রণ, বধূবরণের লালচে টিপ?
নাকি সবই আজ পরকীয়তা, বাস্তবতার কাঠগড়ায়
সুহাসিনী প্রেম নাটকীয়তা, সমাজসেবা অন্যথায়,
আর কত এ অসুস্থবৃত্তি, জং যে ধরেছে অনেক কটায়
জন্মান্তর শুধুই ধ্বংস সৃষ্টি, শুকনো রক্ত পশ্চিমায়....-
এমনি সংসার দিব্য কেটে'ই যাচ্ছে - একাকীত্বের হাঁড়ি, বাসন,
তেমন আর বিশেষ প্রয়োজন নেই
শুধু একখানি আলমারি ছাড়া.... অনেকগুলি তাকয়ালা!
গোটা দিনের ভাঙা প্রহর সযত্নে গুছিয়ে রাখতে
হাড়-মাংস তাদের পচে না ঠিকই, ঠোকর লাগে অগোছালো থাকলে।
শুকনো একখানা গাছও আছে
দক্ষিণের ওই জমিন'টাতে
ছালের নীচে স্পষ্ট ঘা শিকড়ের বিচ্ছেদে....
এককালীনে থাকতো ঐখানে সুখ পাখি-
পরিত্যক্ত হলেও কেমনে কাটি;
শুকনো বাসার মায়া যে তীব্র তা তো বুঝি।।-
প্রেমটা এখন শুকনো গাছ
নেই তাতে কোনো গন্ধ,
তাই উপড়ে ফেলে দিয়েছি
মনের মাটি থেকে চিরদিনের জন্য।।-
ধুত্তেরি !!বলে অনন্যা টেবিলের একপাশে দ্বাদশ শ্রেণীর পদার্থবিদ্যার বইটাকে সরিয়ে দেয়, ধুপধাপ করে সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদে চলে আসে। আসন্ন পরীক্ষার দুশ্চিন্তা গুলোকে সরিয়ে সামনের মিত্র বাড়ির অন্ধকার রোয়াকের দিকে তাকিয়ে হেসে ওঠে।সৌর্যশদা প্রতিদিনের মতো দীপ্তকদার কাঁধে অন্তরঙ্গ ভাবে মাথা রেখে বসে,দীপ্ত সৌর্যের চুলে বিলি করতে করতে ভাবছিল কালকে অফিসটা ডুব মেরে কাছেপিঠে কোথাও সৌর্যকে বাইকে করে ঘুরে আসবে কিনা ।
দূরে গলির কাছে হলদে বাতিগুলো জ্বলে উঠতেই ঘরথেকে মেয়েগুলো ঢোলা শাড়িতে বেরিয়ে আসে, দেখতে দেখতে পুরুষদের জটলাও বেড়ে যায়। তবে অবন্তিকার ওসব দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই,মাথার বেলিফুলটাকে ঠিক করতে করতে একজোড়া উদাসীন চোখকেই খুঁজে বেড়াচ্ছিল।আকাশ এতক্ষণ নির্বিকার ভাবেই হেঁটে আসছিল,জটলাটা দেখেই হাতের তেলোতে রাখা লালগোলাপ আর চকোলেট টাকে আড়াল করে নেয়। দূরে অবন্তি কে দেখতে পেয়ে একটু দ্রুতপায়ে ই এগিয়ে যায়।
"দেখো দেখো তোমার কথাতেই বেলিফুল গুঁজেছি"--ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে অবন্তির উচ্ছছিত হাসি দেখে আকাশ নিষিদ্ধপল্লীর সমস্ত নিষিদ্ধটা বেমালুম ভুলে যায়। অবন্তিকার কানের কাছে মুখ নামিয়ে আলতো কামড় দেয়, বলে ওঠে--চ পালিয়ে যাই।
রাত আর একটু গাঢ় হয়, চাঁদটাকেও স্পষ্ট দেখায়।অনন্যা নীচে মায়ের ডাক শুনতে পায়,দীপ্তও ভাবনাটা বলে ফেলে, নিষিদ্ধপল্লীতে দুটো চঞল ছায়ামূর্তিকে হাত ধরে আসতে দেখা যায়।-
শুকনো গোলাপের পাপড়িতে ভালোবাসা অমরত্ব পায়৷
শুকনো গোলাপটা থাকুক,
পার্সনাল ডায়ারি কিংবা নোটবুকে৷-
পর্ণমচী পুরোনো প্রেম , অব্যক্ত স্মৃতিচারণা
মনের ভিতর অশ্রুভেজা ডায়রির শুকনো পাতা।-
ডাল গুলো কেন যে এমনি পরাধীন
যে ডালে হাত ছোঁয়া'ই
সে ডাল'ই ভেঙে পড়ে!
ভীতটা খুব নড়বড়ে!-
নীল রং টাও ঘনকালো এখন
সবুজ পাতাও শুকনো ।
প্রাণ চলে যায় দেহ থেকে
তার জগৎ এখন ভিন্ন।-
শুকিয়ে যাওয়া চারা গাছে
মৃত্যু যেমন নিবিড়তম
অন্ধকারের তেমন স্রোতে
হাত বাড়ালেই বন্ধুসম।
- আন্তরিক-