নিলাম্ভ, তোমায় বোধহয় কখনো শীত ছুঁয়ে দেখেনি
নাভি'র অন্তে বয়ে চলা গভীর টান
কোন কালে তোমায় পেয়েছি?
হয়তো, চোখের নীচে কুয়াশায় জমাতাম।
সেই তুমি লুকিয়ে দেখা বরফ জমেছে শোকে
তুমি আমার'ই না হতে যদি.... ভাবনা?
কঠিন এহ শূন্যতা!
এত ঠান্ডা বয়ে চলে কী আদৌ?
তুষারগলা নদী বুকে
আপোষের আঁচড় তুমি একান্ত আমার হলেও পারতে....-
অনিহা কাল তোমায় কৃষ্ণচূড়া ভেবে পথের ধারে আটকে পড়েছিলাম
পোড়া গন্ধ মাখা বুকে
অপেক্ষা মাটি হয়েছে
তোমায় চাওয়া স্বার্থ আমার আর স্বার্থপরতা'র ক্ষমা নেই...
কখনো জল ছুঁয়েছি তুমি বৃষ্টি'তে কান পাতবে বলে
অকথারা ভিজলো খালি
অবসাদে পড়লো না ভাটা আঙুল গড়িয়ে
বুঝেছি, চিরকাল'ই কপাল পোড়ে এমন অসুখে...
জেগেছি বহুরাত অসংখ্য তারা'র মেলা জুড়ে
চেয়ে দেখি আলোকবর্ষ মেপে
অসম্ভব্য ভেঙেই যায়
স্বপ্নের অধিকারে, ক্লান্ততায় খালি ঘুম নেমেছে ভোরে...
তবু, অতশত বঞ্চিত ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে ছুটেছি মুছে যেতে
সময় কখনো দেয়নি উপশম
মিথ্যে আরোগ্য সান্ত্বনা'তে
জেনেছি, কেউ কখনো পায়নি মুক্তি প্রেমের অপরাধে।।
-
ভুলতে না পারার আর্জিতে
পাহাড় মেশে মেঘে ঢাকা সম্মোহনে....
কি যে ভীষণ মায়া লাগে,
এতটা অসম্ভবে চাঁদ ওঠে কলঙ্কিত বুকে
ক্ষয়ে দক্ষ নীল শীতলতা বয়ে।
অক্ষমতা বোঝায় সবই
শিরায়- শিরায় 'তুমি' বয়ে যাওয়া।
তবু, কোনো একদিন মুক্তির লোভে-
সুখের ছলে তোমায় চাওয়া
নক্ষত্র ঝরে পড়ার শোকে....
দুর্বলতার ঋণ এহ;
ভালোবাসা হয়তো তাই, সমস্ত জাগতিক নিষ্ক্রিয়তা।।-
অবসাদহীন একটি তারিখ জানাবো তোমায়
আমায় ভালোবাসলে;
চিরতরে বিদায় নেবে ক্ষয়ের প্রহরী
নিষেধাজ্ঞা জেনেও এই'ই নিষ্কৃতি।
নিশ্চিত এহ শ্বাস ঝরে....
কাঁপে হৃদয়, এলোপাথাড়ি তরল ছোটে
সমস্ত শরীরে শীতলতা, মৃত্যু বলা চলে না
বিকল্পের এই পরিণীতি
যতটা কাছে এলে আপন হয়ে, দূরত্ব তাহার কোটি সংখ্যায় মেলে না।।-
আরো হাজার বছর আমি এভাবে জাগতে চাই.... জাগতে চাই বরফ জমা পাতায় দুই পাথর চোখে, রাতের উল্কা ঝরার গল্প শোনাবো তোমায়। তাদের রক্ত ছিটে পড়ে তোমার শোয়ার ঘরের জানলায় তুমি রঙ ভেবেছো বোধহয়, বসন্তের ছোঁয়া। দক্ষিণালী বাতাসে কারা যেন অনিদ্রায় গুনগুন করে... না না তোমায় ঘেরা কোনো বিদ্রুপের সুর নয়, ছাদের শ্যাওলা জমা পূবপাশে হন্যে হওয়া ক্যাকটাস টবে কাঁকর- বালি তার নীচে দাফন স্মৃতি'রা এখন বিদ্রোহী। জানান দেয় অন্ধকারের মাঝ বয়সে আজ অব্দি পচেনি মাংস গলেনি চামড়া তাদের, এত এত ভেপ্সা অভিযোগে।
তাই আরো হাজার বছর বাঁচতে চাই.... বাঁচতে চাই নিষিদ্ধতার ডেরা পিটিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিরায় কাঠ শরীরে, 'তুমি আমার, তুমি না হয়েও আমার' উন্মাদ অস্থি মজ্জা'র সমস্ত বল ক্ষয়ালে অবসাদহীন একটা তারিখ জানাবো তোমায়।
দেখাবো তোমায় সৃষ্টির পূর্বে এক খোলা মাঠ, অবিশ্বাস কোত্থাও নেই নিঃশ্বাসের গন্ধ্যে....তুমি'ই তার জাগরণ ঘটালে।
- ওহ তোমায় জানানো হয়নি তবু, অসুখী নই আমি এই আলোকবর্ষ দূরত্বে
শুধু, অসুখ হয়েছে এক কঠিন;
নাম না জানা, তাপমাত্রায় অছোঁয়া
আরো হাজার খানেক লাগবে বছর তার বিশ্লেষণে, আখ্যার সন্ধানে
তখনও যদি না পাই, নাম দেবো 'তুমি নাই'!!-
রোজ যে ভুগছি এমন জ্বরে
বাতাস তোমায় গল্প করে...?
বুকের খাঁচায় ফুপছে নদী
ঘুম ভেঙেছে পাহাড়ে।
দেখছি ভিজে কালের স্রোতে
পিচলেছে হাত রাতের পরে,
বৃদ্ধ স্মৃতি একলা ঘরে...
তবু, সদ্য বয়স অপেক্ষার।
এত চাপা জীর্ণ হারা
বুনছে বিশ্বাস জন্মান্তরে
ছুঁয়ে এলে(বাতাস) তোমার উত্তরে
-ভাগ্য মানো..?
- বলতে বোঝায়, তুমি হয়েও আমার...
বিধি'র লেখা ছিঁড়ে ফেলা আধো- আধো উপন্যাস।-
এ জীবন যাক না তবে ভুলে গিয়ে, ভুলতে চেয়ে...
মিলছো তুমি রোজ বিকেলে- গলির শেষের পুকুর পারে
লুকোচ্ছো প্রেম বুক পকেটে আড়চোখে তাকিয়ে।
মিলছে হৃদয় মেঘ বাদলে
লিখছো নাম প্রেমিক দলে
বৃষ্টির এই সাজিস যেন অবসাদের শ্রাবণে
বলবো তো আমিও কিছু ভেজা গায়ে দাঁড়িয়ে।
এই তুমি এলে সবে, এত সময় বদলে কাল'এ
জড়াতে চায় পুড়লে কপাল
অলিন্দ- নিলয় রক্তচাপে,
নাসুর রোগে ভুক্তভোগী বুঝবে ভীষণ জ্বরে।
চোখের জলে অজ্ঞাত ফিরেছে যামিনীর বুক চিরে
পাথর দৃষ্টি সিলিংয়ে..
একত্রে এহ শূন্যতা এত শূন্যে তুমি;
স্বপ্ন তো আর জানে না 'তুমি দুঃখ আমার'।।-
অনন্তকাল ধরে.... অন্ত হয়?
অনিশ্চয়তা'র ঘূর্ণি বৎসর
সম্ভবতঃ সময়(সয়ে) যায়!
অনুভূতি প্যারাসাইট;
পঁচা গলা 'অপেক্ষা মৃত শরীর'
হঠাৎ এলে ঝড় যেমন, ঝরা পাতার শব্দ
না প(পো)ড়ার মতো'ই!!-
এই রাতে তুমি জাগো?
নিজেকে আমি জাগিয়ে রাখতে পারিনা
জেগে থাকে অপূর্ন একান্নবর্তী স্বপ্ন,
অভিশাপের গান শোনায় ঘুম ডেকে আনে...
রহস্যের আরেক দুনিয়া
একটা কুঁড়ে ঘরের পাশ দিয়ে গেলে
আস্ত শরীর ঝড়ে পড়ে বুঝি,
ওই সংসার তোমায় পায়নি।
রোজ একই ডালে ফুটে থাকে তোমার পরাগ ছোঁয়া জবা ফুল
ভুলতে নির্ঘাত 'মৃত্যু' লাগে;
পড়ে থাকা শ্যাওলা ভাসে শতাব্দী স্রোতে
জ্ঞান ফেরায় ভোরের শুরু
যদিও ছিলো'ই না কখনো
অনুভব কবে হবে? নেই....আমাদের কিছুই আর নেই!-
ওপারের নীলাভ দেশ
রোজ রাতের আনাগোনা
ঘুম ছুঁয়ে গেছে কখনো
কখনো বা খুঁজেছে একান্তে অচেনা নক্ষত্রের ঝরে পড়ার বেদনা।
হঠাৎ করেই এত পাহাড় ভালোবাসা
অথচ, সারাটি জীবন মন হতে চেয়েছে
নদীর পারে'র ওই চোরাবালি
সমস্ত কিছু হারিয়ে ফেলার শক্তি রাখে যে।
পাহাড়- পাথর খালি ক্ষয়ে যাওয়ার মায়া
ক্ষান্ত তো বটেই....তবু, রেখে যেও কিছু বিকেল,,
এই পৃথিবীর তুমি ছিলে, আমিও ছিলাম, তবে বিচ্ছেদের রেখা পার করা গেলো না!!-