-
'অচেনা বৈশাখে' রোজ নতুন সকালে
এত চেনা - তবু কেন থাকে চোখ মেলে !
এ যেন অন্য এক নতুন পৃথিবী
ব্যবহারে - পোশাকে তার চোখে ফোটে ছবি।
বৈশাখ মানে কৃষ্ণচূড়া - মাধবী সুবাস,
রবীন্দ্র গানে গানে মাতাল বাতাস ।
কালবোশেখীর ছন্দে মনে, নতুন সৃষ্টির
বার্তা দিয়ে তুফান তোলে , মনে বৃষ্টির ।
পঁচিশে' এবার 'রবি' শুধু মনে মনে
শিহরণ জাগায় প্রাণে - ছন্দে - সুরে - গানে।
জীবন আর প্রেম যেথা একই আবাসে,
শরীরী - দূরত্বে কভু স'রে কী সে' পাশে ???...-
চেনা হয়না বৈশাখী ঝড়,
খুব চেনা মন জানে,
কালো অন্ধকার, মেঘের ঘর। শুভ রবীন্দ্রজয়ন্তী
কোমল নিদ্রায় ঘুম ভাঙ্গেনা,
ক্ষোভ জাগেনা বৈশাখে।
জমলো সদাই মন,,, রাঙ্গেনা,
লোভ রাখেনা- মেঘমল্লারে।
পাহাড় সমান রোদ আবার,
আহার জমান, জল খাবার।
অচেনা বৈশাখ, নাই চেনা,
অ'গলা, কারণ! কী যায় গোনা?-
আমি তোমারো বিরহে রহিব বিলীন
তোমাতে করিব বাস
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষ মাস
যদি আরও কারে ভালোবাসো
যদি আর ফিরে নাহি আসো
তবে তুমি যাহা চাও তাই যেনো পাও
আমি যতো দুঃখ পাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়-
ভালোবাসা বন্দী অলীক 'গুপ্তধন' এ।
'ফটিক' এর পেটে ভাতের প্রতিচ্ছবি!
'সুভা' মারা যায় মায়ের পেটে, ভ্রূণে,
মেঘ সরিয়ে তুমি আবার ওঠো 'রবি'।-
অনেক নক্ষত্রের পতন দেখিয়াছি,
তবে নক্ষত্রপুঞ্জের পতন হয় নাই।
অনেক মহীরুহের স্থানচ্যুতি দেখিয়াছি,
তবে বৃক্ষরাজের স্থানান্তর হয় নাই।
অনেক ত্যাগীর বিসর্জন দেখিয়াছি,
তবে ত্যাগের মূর্তিতে গ্রাস দেখি নাই।
অপূর্ণতার গূঢ়তায় শিল্প দেখিয়াছি,
তবে প্রণেতার সৃষ্টিতে অহং দেখি নাই।
অনেক কবির আগমন দেখিয়াছি,
তবে বিশ্বকবি আপনার যাওয়া দেখি নাই।
- অক্রুর
-
হে নবীন তোমার উন্মোচিত হউক পুনর্বার কবিগুরুর জন্মের প্রথম শুভক্ষণে।
বিশ্বকবির আজি শুভদিনে রবির ন্যায় তেজ্শ্বী হোক সারা বিশ্বভূবন !!
হে নবীনা, প্রতিদিনের পথের ধূলায় যায় না চিনা ।।
- 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'-
"প্রাণনাথ রবীন্দ্রনাথ"
রজনী শেষে প্রভাতী বেশে বসুমতীর ঘরে এসেছে রবি,
তাঁরই আলোক ছটা লয়ে বিশ্ব আঁকে মোদের দৃশ্যপটে ছবি।
রাতের অাঁধারে স্বপ্নের কুড়ে ঘরে যত বোবা বিরহেরে গুমরে গুমরে মরে,
আজি প্রভাতে রবির পরশে;
তাদের কণ্ঠ ফেটে "প্রাণনাথ" তোমারই সুর ঝরে।
বিশ্ব পথিক খোঁজে তোমার ওই ভাবে ভরা নয়ন দুটিতে জীবনের আধার,
তুমিই তো এই জগতের শ্রেষ্ঠ রূপকার।
তোমার লেখনীর পাদদেশ হতে সৃষ্ট মায়াবতী তটিনী,
মিশেছে হৃদয়ের অতল ভব সাগরে;
হাজারো স্রোতের মাঝে তুমিই তো ধরণীর মধ্যমণি।
নগ্ন বাঙালিরে পরিয়েছো তুমি সাহিত্য শোভিত বসন,
আপন হস্তে বুনে দিয়েছো তারে পৃথিবীর বুকে অমরত্বের আসন।
আজ এই বৈশাখে তোমারই তিথীতে হৃদয় হয়েছে প্রণোদিত,
তাই তোমারই গান গাইতে গিয়ে মোর লেখনীর ওষ্ঠ হয় কম্পিত।
জীবন নদীর বাঁকে যদি আসে শত ঘাত- প্রতিঘাত,
তোমারই গানের স্রোতে ভাসাবো প্রাণের তরী;
রাখবো তোমারে ধরে হৃদয়ে- মোর "প্রাণনাথ রবীন্দ্রনাথ"-