আমরা সেই রক্তাল্পতার রুগি,
আমরা স্বাধীনতা খুঁজে মরি।
আমার ভগবান আমি একা,
আমার ধর্ম বেঁচে খাওয়া।
আমার হাতে শিকলের বেড়ি,
আমার ব্যাঙ্কের শত কোটি।
আমার রক্ত নগ্ন কালো,
আমার পোশাকে টাকার আলো।
আমার অসৎ সত্য বুলি,
আমার রাজনীতির তালা চাবি।
আমরা ভিন্ন আমরা শেষ,
আমরা নব চেতনার উন্মেষ।
আমার রাজ্য আমি রাজা,
আমার প্যাস্টেল রঙে আঁকা।
আমার প্রজা চালায় দেশ,
আমার সন্ন্যাসী রাজা বেশ।
আমার শাস্তি বোধহয় শান্তি,
আমার কিছুনা বলাই মুক্তি।
আমার তেরঙ্গা রক্তে রাঙা,
আমার কুঁড়ে ঘরে স্বাধীনতা।।
- অক্রুর-
সে নিত্য করে নৃত্য,
সে প্রেমের মূর্তি সত্য।
সে উত্তরে অতি পোক্ত,
আমার প্রশ্ন চিহ্ন মুক্ত।
সে বিধাতার কোন ছলনা,
সে মনের লোকানো বাসনা।
সে খোঁপায় স্বপ্ন বাঁধে,
আমার প্রেমের কাঁটাতারে।
সে নয়ন কাজলে সাজে,
সে অভিনয় বড়ো লাজে।
- অক্রুর-
আমি রোজ বলে যাই তার কানে,
সে বোঝেনা মম কাব্যের মানে।
সে আমার মরন শোনেনা কারন,
সে করে লুকিয়ে কতো যতন।
আমি সদাই তারে দেখি,
সে আষাঢ়ে গল্পের লিপি।
সে পড়েনা গোপন চিঠি,
আমি ইতি বাক্যের শেষ স্মৃতি।
- অক্রুর-
ক্লান্ত দিনের শেষে,
তুমি আমার পাশে বসে।
তোমার তুলনা চাঁদের সাথে,
আমার কবিতার শেষে।
- অক্রুর-
ওহে সুন্দরী একি নহলী রূপের মাধুরী,
নব বৈশাখী প্রেম অপরূপ মৃগনয়নী।
অঙ্গে পাণ্ডুর রঙ শত উজ্জ্বল বরণী,
উন্মুক্ত কবরী উল্লালে বিমোহিত মোহিনী।
চির মোর ব্যর্থ অস্মৃত অভিলাষ,
শুধু নয়নে একরাশি নিভৃত প্রেমোল্লাস।
উথাল পাথাল বয়-এ প্রেমো নদী,
কখনো স্নিগ্ধ জোয়ারে শুষ্ক মরুভূমি।
উন্মত্ত প্রেমিক তাই গরলের পটভূমি,
মৃত্যুশয্যা ঋতুরাজ বিদায়-এ তটভূমি।
- অক্রুর
-
প্রতুল দেশে আমার গমন,
আজ তোমার আবিষ্কার।
তোমার নেপথ্যে আমি ছাঁয়া,
তোমার অঁচল জ্বলন্ত অন্ধকার।
চেনা শহর অচেনা চিনি,
আগন্তুক তুমি কার গৃহিণী ?
- অক্রুর-
আমার স্বপ্ন গুলোও আকাশ ছুঁতো তোমায় কাছে পেলে,
আমার দিগন্তেরাও মেলতো ডানা তোমার মনের মাঝে।
আমার মরার চিঠি বলতো কথা তোমার সাড়া পেলে,
আমার অপেক্ষা গুলোও পূর্ণ হতো তোমার প্রেমের দ্বারে।
- অক্রুর-
ঘুমন্ত ঘামাচি গুলো আজ জাগ্রত,
নিশ্য হাতে তুমি শোকাহত।
মরার চিঠি খুঁজছে শব্দ,
মানবিকতা একা আজ প্রতিহত।
লুন্ঠনই চির উদ্দেশ্যে যার,
ভেঙে ফেলেছে মনুষ্যত্বের বাঁধ।
নতুন রঙে শুকনো রক্তের ছবি,
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যর্থ প্রতিবাদে বন্দি।
রক্ত এখনও হয়নি বাষ্প,
বুকে আজ আমার স্বাধীন স্বপ্ন।
- অক্রুর
-
আমি রোজ তাকে নিয়ে লিখতে বসি চেত ছিন্ন পাতায়,
আমি অবাধ্য হয়ে শুনি কিছু শব্দ তার ঘড়ির মিষ্টি ইশারায়।
তার বর্ননার জন্য খুঁজে আনি একরাশি উষসীর নিশ্চলতা।
তার উন্মূক্ত চিকুর যেন কেটে যাওয়া নিশির প্রভা,
তার নীলের শাড়ি যেন সদ্য প্রস্ফুটিত অপরাজিতায় রাঙা।
তার হাঁসি যেন ঢেকে দেয় এ জগৎের সকল অস্পৃশ্যতা।
তার অবিরাম বেজে যাওয়া নূপূরের শব্দ যেন শান্ত পয়স্বিনীর গহনা।
তার অনামিকার প্রস্তর খন্ড যেন শুকতারার ভিন্ন কনিকা।
আমি জানি সে দ্বীপান্তরের বন্দিনী অন্যকারোর কবিতায়।
আমি বারংবার হারিয়ে যাই তার সীমাহীন কল্পনার ঠিকানায়।
- অক্রুর-
প্রতুল দেশে আমার গমন,
আজ তোমার আবিষ্কার।
তোমার নেপথ্যে আমি ছাঁয়া,
তোমার আঁচল জ্বলন্ত অন্ধকার।
চেনা শহর অচেনা চিনি,
আগন্তুক তুমি কার গৃহিণী ?
- অক্রুর
-