#পুরোনো পৃথিবী #
তোমার আচমকা আগমনে
আমার অকেজো কলিং-বেলে আবার
অচিন পাখির ডাক!
আমি এক ছুটে ছিঁড়ে ফেলি
দরজার মাকড়সা বাঁধন।
এক চিলতে রোদেলা আদরে
আসকারা লাগে
চিলেকোঠার স্যাঁতসেঁতে প্রেমে।
ভিতর ঘরে কবুতর উষ্ণতা
পুষে রাখে পুরোনো দেওয়াল।
চৌকাঠ পেরোলেই পুরোনো পৃথিবী,
চলো পেরিয়ে যাই...
চেনা নিশ্বাস গুলো নিঃশেষ হওয়ার আগে!
শুধু তুমি
থেকে যাওয়ার সাহস টুকু রেখো
পৃথিবীর ওই পুরোনো ছাদে দুজনে
অশ্বত্থ হয়ে জন্ম নেবো!-
স্মৃতি মুছে যায়,
বর্তমানের বাহুল্যতায়!
অবসরে-
যখনই ফিরে যাই; চুন খসা ক্ষত দেয়ালের ঘরে,
দেখি-
পুরনো সেই তৈলচিত্রখানি আজও ঝোলে
জড়িয়ে অস্পষ্ট মায়াজালে।
চিলেকোঠার চেনা কবুতরদল,
উড়ে গেছে বুঝি! এ বাসা ফেলে বহুকাল।
ঝরা পালক স্মৃতির স্যাঁতসেঁতে গন্ধ মেখে
আজও আমায় ডাকে!
পশ্চিমের ঝোড়ো বাতাসে,
পূব কোণের জমা মেঘ হারিয়ে যায়
অন্য সীমানায়!
তবু আমার এই ভাঙা ঘর ভিজে যায় বর্ষায়।-
ফিরলে আকাশ রামধনু হবে,
মিহি মিহি স্বপ্ন গুঁড়ো দিয়ে
মনোদিগন্ত সাজাবে
ইলশেগুঁড়ি ইঙ্গিতে
মেঘ মেতেছে শ্রাবণ সঙ্গীতে
ফিরলে, সাদা সাগরে আকাশ
সাতরঙা ডিঙা হবে।-
অঙ্গ প্রসঙ্গে
পোশাকহীন পরিবেশ,
গাছ তলায় কবি
কাগজের কাপড় বুনছে বসে।-
বন্দী স্মৃতির এ শহরে
চোরা শিকারী রাত দুপুরে
ধারালো ধনুক
বিদ্ধ বুক
ডানার আঁষটে গন্ধ বন্ধ ঘরে!
-
শাণিত হাতের অবয়ব
বুলিয়ে দেয় বুক
যা কিছু রক্তিম সবই
ফোঁটায় ফোঁটায় মিশে যায়
ভালোবাসার কাল স্রোতে
তারপর...!
তারপর একটা হাঁসাটে হৃদপিণ্ড
শোনায়...
ছিন্ন প্রেমের প্রতিস্পন্দন।
-
ভ্রমর হয়ে ভ্রমেছি
বাগিচায় বাগিচায়- ফুলে ফুলে
গল্প শুনেছি গল্প শুনিয়েছি
গুনগুনিয়ে মন মানিয়ে!
গায়ে হলুদ রেণুর মাখামাখি
ক্ষণিকের ভালোবাসাবাসি,
ঝরা পাপড়ির মতো পর
বাতাসে!
এখন দূর থেকে
স্পষ্ট বলে দিতে পারি
কোন পুষ্প মেতে উঠেছে কোন পরাগে?
কোন বাগিচায় কোন ভ্রমরের গান!
তবু আজও আমি
গল্প শুনি গল্প শোনাই
গুনগুনিয়ে মন হারাই
তোমার খোঁপায়!-
গোধূলির ধুলো গায়ে
গাঁয়ের বিকেল- বালক
একদল ফিরতি গাভীর পিছে পিছে
ঘরে ফেরে।
পথের ধুলো শরীরে
শহরের বিকাল- বালক
তখন
হারিয়ে গেছে ব্যস্ত ভিড়ে!-
পাহাড়ী প্রেমের ক্ষত চিহ্ন
সমতল বুকে বসতি গড়ে,
মিঠে ব্যাথায় নোনা ধরে
মোহনায়!-