আষার শ্রাবনকে পিয়ন করে,
বর্ষার কোলে মেঘের চিঠি দোলে।
আবেগী চিঠির গন্ধে টলমলে করে ওঠে বর্ষার মাথা,
প্রত্যুত্তরে বর্ষা জানাই শুভ্র মেঘ দিয়ে বানাও তুমি ছাতা।-
মেঘের ঘরের দেয়ালে ভ্যাপসার মায়াজাল বোনে
সোঁদা মাটির গন্ধ, জমাটের অন্ধকার গায়ে মেখে
উড়ে যায় কাশফুলের ন্যায় শুভ্র বক।
চাষীর লাঙ্গলে লেগেছে ব্যাস্ততার আলো,
মৃত্তিকার কোমল বুক চিরে ধানের চারাগাছ
বাতাসে দোল খাবে আজ।
পথগুলো ভাসছে বৃষ্টির মুক্তদানাই,
জংলী প্রাণীকে ছুঁয়ে যাচ্ছে শ্যাওলার ক্ষুদ্র ফুল,
উনানের ধারে ধোঁয়া চোখে গ্রাম নববধূর
কান বেয়ে বাতাস খেলে, সংগীতের আহ্বানে
যোগদান করে তার স্বর্ণ কানের দুল।-
আমাদের ছোটো নদী,চলে আঁকেবাঁকে
বৈশাখ মাসে তার,হাটু জল থাকে...
এই ছড়া পড়ে বড়ো হয়েছিলাম..।
এখন ছড়া বাস্তবে পরিবর্তন হয়েছে
আমাদের আবহাওয়ার হাল
বারোমাস ই বর্ষাকাল...-
বর্ষা ঋতুর ক্ষোভ
গ্রীষ্মের দাবদাহ, তাতেও লাগে অসহ্য
কিংবা কালবৈশাখীর ঘূর্ণিঝড় তাতে ও হয় বিপর্যয়,
তবে কেন দোষটা এসে পরবে বর্ষার ঘাড়ে?
বর্ষা তো সব ঋতুতেই উপস্থিত হতে পারে,
গ্রীষ্মে উত্যক্ত ঘেমো দুপুরে তখনো তো তাকেই চাও,
বলতো- "এই গরমে এক পসলা বৃষ্টি তুমি দেখা দাও"
আর বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে, নয় কি এটা স্বাভাবিক?
শরৎকালে পূজোর মাঝে বর্ষা এলে বলতো তাকে-
'হতচ্ছাড়া বৃষ্টিটা দিল পূজাটাকে এক্কেবারে পন্ড করে'
নতুন নতুন জামা জুতো রইলো পরে আলমারিতে।
শীত এখন বড্ড অভিমানী, থাকতে চায় না বেশি দিন
শীতের সময় বর্ষা এলে তবে তো ঠান্ডা বাড়তে পারে।
প্রকৃতি ও ভালোবাসে বর্ষাকালই
তাই তো প্রতি ঋতুর মাঝে বর্ষাকাল ফিরিয়ে আনে।
-
আষাঢ় শ্রাবণ নিয়ে বর্ষাকাল
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ রোদ ঝলমল ,
হঠাৎ বৃষ্টি হঠাৎ রোদ বোঝে ওঠা দায়
মাঠ , পুকুর , নদী নালা সবইতে ভর্তি জল ।-
এই বর্ষাঝরা সন্ধ্যায়
==============
এই বর্ষাঝরা সন্ধ্যায়
মুখোমুখি বসে দু'জনায়
কাটিয়ে দেওয়া যায়
যদি কিছুটা সময়।
মন চায় কাকে
আজ বলবো তোমাকে।
ভেসে যাই চলনা কল্পনার ভেলায় চড়ে
ঘুরে আসি সুখের সাগরে।
নতুন স্বপ্ন দেখার মোহে
না হয় চলনা ঘর বাঁধি ঐ শুক্র গ্রহে।
সোনালী সোনালী জোৎস্না ধারায় ভিজে
সোহাগের আবেশ মোরা নেব খুঁজে।
লুকোচুরি খেলার আছিলায়
হারিয়ে যাব না হয় জানা অজানায়।-
কালো মেঘে ছেয়েছে আকাশ
উত্তাল হয়ে উঠলো বাতাস
প্রকৃতি যেনো সেজে উঠেছে নবরূপের যৌবনে
বৃষ্টির বারিধারার স্নিগ্ধ ঔরসে
তৃষ্ণার্ত গাছগুলো কামুক নয়নে চেয়ে থাকে
অপেক্ষারত বর্ষাও যেনো ভালোবাসার কথা বলে
বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটারা আদর করে জমাট বাঁধে
পাতার ডগায় শিরায় শিরায়, লাজুক হয়েই ঝরে পড়ে
তাই দেখে প্রেমিকের মনে লাগে উত্তেজনার আগুন
আর প্রেমিকার মনে দোলা দেয় বসন্তের ফাগুন
দুটো উত্তপ্ত শরীর এক হয়ে যায় চুপিসারে
ভালোবাসা পূর্ণতা পায় ঠোঁটের স্পর্শে
রোমাঞ্চকর পরিবেশে চারিদিক ভরে ওঠে
প্রেমের ব্যক্ততা হয়ে চলে ইশারায় সংগোপনে
প্রকৃতি হোক কিংবা মনুষ্য বর্ষা সকলেরই প্রিয়
ঋতুদের মধ্যে তাই বর্ষাকালই শ্রেয়।।-
মেঘের দেশে ভোর হয় মল্লারের সুরে
বৃষ্টি শুধুই সৃষ্টি করে অভিমান মন জুড়ে
বর্ষাকালে ভরসা পেলে পালায় সঙ্গোপন
মেঘলা আকাশ খুঁজে চলে সেই ভরসা দেওয়া মন।
-
বর্ষাকাল এলেই ছেলেটি রোজ চুপি চুপি কাঁদতে থাকে,
কারন মেয়েটির নাম ছিল বর্ষা।-
কোনো এক নাম না জানা বর্ষারদিন এসেছিল আমার কাছে।
তখন চারদিক নিস্তব্ধ।।
আমি বসে ছিলাম আমার বিছানার ওপর।
সামনে রাখা একটা নভেল যেটা আজকের মধ্যেই পড়া শেষ হয় যাবে।।
আর আমার হাতে ছিল ব্ল্যাক কফি।
ঘুমে বন্ধ হয় আসা চোখ দুটোকে যেন শাস্তি দিচ্ছি, তোমাকে না দেখতে পাওয়ার শাস্তি।।
বহুদিন নিজেকে একটুও যত্নে রাখিনি।
নিজেকে অভূক্ত রেখেছি বহুদিন।।
যত রকম শাস্তি দেওয়ার সব দিয়েছি এই শরীরটাকে।
কত রক্ত ঝরেছে এই হাত দুটোর থেকে।।
তোমাকে ছুতে না পারার জন্য।
আজ হঠাৎ বৃষ্টি এসেছিলো অবেলায়ে।।
আজ বর্ষা এসেছে তবে বিষণ্ণতা নিয়ে নয়।
এসেছিলো তোমাকে নিয়ে,এসেছিলো তোমার গল্প নিয়ে।।
সেই বর্ষার বিকেলে তুমি এসেছিলে আমার ঘরে।।-