দশ-দিকে দশ-ভূজা, দশ-মুন্ডু দশা!
দশ-জ্ঞানে দশ-রুপা, দশ-গ্রহী দিশা-
দশের মাতা...-
কোলাহল থেমে গেছে আজ,
অপেক্ষায় একা একা বেলা কাটে ।
সময় এগিয়ে যায়,
স্মৃতিরা পেছনে হাঁটে ।
সবকিছু শেষ নয়,
শুধু এবারের মতো জানালাম বিদায় ।
জানি তুমি ফিরে আসবে,
আবার সূচনার রইলাম অপেক্ষায়।।
*শুভ বিজয়া*-
( দ্বিতীয় পর্ব )
বাবুদের যে পাল্লা ভারী ; উৎসবের পরিপাটি জাঁকজমক,
স্যালাইভা রসে স্বাদের আড়ম্বর ; বেশভূষাতে জেল্লার বহর |
ফুটের খিদে ধু-লো-য় ওড়ে ; চৌমাথায় শুনি মাইকের গর্জন !
পুষ্পাঞ্জলির নিবেদিত ফুল শ্রদ্ধাভ্রষ্ট লা-ল-সা-র নজরকাহন |
বেকারত্বের ভগ্নাংশ কাঁপে ; গৃহকর্ত্রী হলো শেষে কা-ঙা-ল !
আক্ষরিকতা ককিয়ে ওঠে বৈষম্যতাভেদে পার্বণের এ কি হাল ??
হা-তে-গো-না দেখি নাচে গায় নিম্নতর উহাদের বিবেকবোধ হীনতায় ;
আর অধিকাংশের মরণ-ভয় শোকাতুর এই শরতের আঙিনায় |-
শিউলির গন্ধে আনন্দিত হৃদয়
প্রকৃতি সেজে উঠছে
সময় এগিয়ে এসেছে
মায়ের আগমনীর🙏🏻🙏🏻-
ঝাড়লন্ঠন ঝুলেই আছে–
আজ নবমীর ছাদে
আঁধার কলি ফুটবে মুখে
কাল বিরহীর মাঝে ..
জনসমুদ্রে ভাসবে বুক
গোলাপ ঝরার রাতে
ছায়ামানুষ দেখবে সেও
এই ভাসান যাওয়ার সাথে..-
মরচে ধরা আতশকাচে শিমুলের আসা-যাওয়া,
শরতের পাতার প্রথমভাগে আগমনী সুরে গাওয়া।
শিশির ভেজায়, কাশের হাওয়ায় দশোভূজার আগমনী,
সব যাতনা দূরে গিয়ে পবিত্র হোক এ ধরণী।-