করছি বড়াই,গড়ছি সভায়, মহামানবের আদর্শ;
লড়ছে লড়াই, মৃত্যু শোভায়,চিলতে ভ্রূণে নারীত্ব।
বলছি সবাই 'রঙ মানিনা',মাখছি কলম মাহাত্ম্য;
'পণ'এর প্রণাম লিখছে প্রমান, সৌন্দর্যের দাসত্ব।
মানছি ত্বরাই,রাজনীতি-ছাই,ভাঙছি স্বদেশ শাশ্বত;
লড়ছি বৃথাই, মরছে সেপাই,স্বাধীনতা তবু শাসিত।
পড়ছি ঝুঁকে,ধর্ম সুখে,পাথর কিংবা চাঁদ'ই হোক;
গর্বে বিলাই সহানুভূতি,কেউ বুঝিনা মায়ের শোক।
সুনাম কিংবা দুর্নামই হোক "মানুষ" হচ্ছে চর্চিত;
কাগজ কলমে,নৈতিকতায় মিথ্যে মানসিকতা বর্ণিত।-
যে ভালোবাসায় অভিমান গড় হাজির , পূর্ণচ্ছেদ পড়ে যায় অল্পে !
স্মৃতির আরশিতে মুখ মোছে ঘৃণা , ভালো না থাকার গল্পে ।-
ভালোবাসার পরিপূরকে ঘৃণা রেখে, উদ্যম নব অধ্যায়ের সংকল্পে ;
অবশেষে স্মৃতির আরশিতে ইতি টেনে পূর্ণচ্ছেদ পড়লো গল্পে !-
বলে আশ্বস্তি খুঁজে পাই
উদ্ধত সূর্যের মত জ্বলে ওঠে কনভিকশন
শাস্তির দাবিতে।
যদিও চেতনা - খাদের গভীরে জানি
আমাদের আর ওদের পার্থক্য নেই কোনো।
আমরাই ওরা , ওরাই আমরা। আর কিছু নয়।।
-
যেখানে যতটুকু ফেলে এসেছো পিছুটান ;
কুড়িয়ে আনো ।
ফেরার পথে ওটাই সম্বল ।
বিদ্রোহ হলে হোক ।
ওসব আমার ধাতে সয় না ।
দুই হাঁটুর মাঝে আর কতটুকু জমি আগলানো যায় বলো !
গায়ে লেপ্টে পিশাচী সভ্যতা ।
নিন্দুকদের আর ডরায় কে !
অনবরত মাথা খেয়ে যায় পাপবোধ ।
ওঁরাও নাকি আশীর্বাদের মতোই অকেজো !
ভালোবাসা ! সে একপ্রকার বিলাসিতা আমার ।
যেমনি করে ভালোবেসে ফেলি
কাগজের নৌকো !
উপলব্ধি ! পক্ষপাতিত্বের উর্ধ্বে যতটুকু ।
রোজ রোজ মরে যাওয়ার জন্য ;
ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই আবশ্যক নয় ।
-
কেউ ফেরে না
আমিও ফিরিনি
তোমরা এখনো আমায় আগের মতোই ভেবে
হাসি ঠাট্টার আদিখ্যেতায় কাটিয়ে দিতে চাও দিন
তোমাদের কামানো গাল এখনো একই রকম মসৃন
কিন্তু আমি যে আর আগের মতো নেই।
আমার কাঠামো গিয়েছে গলে ঘৃণার উত্তাপেই
প্রচন্ড চিৎকারে আজ আমি বধির
শিরায় শিরায় মিশিয়ে নিয়েছি সন্দেহের
বিষবাষ্প
আজ আমি আগের চাইতে
অনেক বেশি ধূর্ত অনেক বেশি শঠ অনেক বেশি হিংস্র
একদিন আমি তোমাদের হৃদয় ফুটো করে চলে যাব
তখন তোমরাও আমারই মত। জড়।নিষ্প্রাণ।পাশবিক।।-
আচমকা আমার হাতটা আবার ছেড়ে দিয়ো
আমি তলিয়ে যাবো সাগরের গহীনে
আমার বীভৎস চিৎকারে মিশে-
একাকার হবে তোমার অট্টহাসি
তুমি দেখে নিয়ো তুমি খুঁজে পেয়েছ স্বর্গসুখ
আমায় খুঁজবে না তুমি আঁধারে আমি জানি!
ভোরের আলোর সাথে আমি আছড়ে পড়বো
তোমার পায়ের কাছে, তুমি কুড়িয়ে নিয়ো
আমার নশ্বর দেহ, কিন্তু সৎকার কোরো না
আমার রক্ত দিয়ে তোমার দেওয়াল রাঙিয়ে নিয়ো
দেখবে জ্বলে উঠবে তোমার সযত্নে রাখা ঘৃণার চিরাগ
অশরীরি হয়ে দেখবো তোমার আত্মসুখ।
তফাৎ, তোমার-আমার নির্বিকার প্রত্যাশার
তবুও একটা মিল দৃষ্টিগোচর হয়
তুমিও আমাকে ভীষণ ঘৃণা করো
আর আমিও আমাকে....
-
নগ্ন শিশুকন্যা,রূপান্তরে মাতৃদেহ বিশ্বসৃষ্টি করে,
ক্ষণজন্মা সেই দেহ,বন্ধনে স্বপ্নপুরী’র অন্তরীক্ষ গড়ে ,
মৃন্ময়ী জঠর কামনার লাভায়, কখনওবা কষ্টি পাথরের ভরে,
শ্রীহীন সময়ে শ্রীদেহ,ঘৃণার বাটখারার আঘাতে লোহূঝরে।
-
ধন্যবাদ তোমাকে .....
দায়িত্ব নিয়ে আমার অনুভূতি নিয়ে
খেলা করার জন্য .......-