উৎসর্গ
-যার কপালে ভাঁজ পড়লে, আমার বুকে গোটা পৃথিবীর দুঃখ জমা হয়।-
আমি হবো ভবঘুরে ⚡
কত কথা একসময় পাহারা দিতো ! ওরা জোনাকির মতো আলোর উৎস হতে চেয়েছিলো, ধ্রুবতারা হওয়ার অছিলায় । তারপর একদিন ঝড় শেষে তারাখসার মতো অকস্মাৎ তাদেরও চলাচল থেমে যায়। ঘাস জন্মায় চেনা রাস্তায়। তবু, নিয়ম করে রোজ সেই ঝোপে শুয়োপোকা বায়, একদিন প্রজাপতি হয়ে উড়বে বলে।
মৃতপ্রায় কথারা জানান দেয় সময়ের ঋন আজও তারা বহন করে চলেছে ! দাঁড়িপাল্লার নিখুঁত নির্ধারণে আমার দিকের পাল্লা ক্রমশ নিচে নামতে থাকে। সময়ের ওজন বাড়ে। ভাবি, সে ঋণ শোধ করার সামর্থ্য আমি পাবো কোথায়!
তবু, রোজ উঁকি দিই, উঠে দাঁড়াই
সমান্তরাল হবো তো একদিন ?
-
সকাল
ল্যাম্পপোস্ট। জানালার দিকে তাকাই, রাত হওয়া অনেক বাকি!
তৃপ্তি
প্রেয়ার লাইন। স্বাধীনতা দিবসের বাহানায় জন-গণ গাইলাম।
অপেক্ষা
হাতঘড়ি। দেরি করে এসো,আরেকটু জিরিয়ে নিই।
প্রমিস
অভিযোগ। দুঃখ শোনানোর কথা ছিলো, দেবার না।
ভালোবাসি
আড়ষ্টতা। মাকে এখনও বলা হয়নি আমার।
স্বপ্ন
রুলটানা খাতা। রাইট আ প্যারাগ্রাফ অন হোয়াট ইস ইউর এইম ইন লাইফ।
ছায়া
মেমোরিজ। ভুল আগে করতাম, এখনও, শুধরে দেবে কে?
সেন্সিটিভ
মেঘ। ডাক্তারবাবু কাঁদতে বারণ করেছিলেন।-
বৃষ্টি হলেও আজকাল টের পাইনা! দশ বাই বারো ঘরে জীবনের কারিগরি বন্দী! পরিবার থেকে দূরে থাকা এ এক মহা ঝামেলা! তারা কাঁদলে আমাকে বুঝতে দেয়না, আর আমি কাঁদলে! সেই জায়গায় মেঘ কাঁদলে বোঝা, সত্যিই দায়!.. বৃষ্টি বাদলার দিনে কই মা বারান্দা থেকে জামাকাপড় তুলে আনতে বলছে না তো! সন্ধ্যে দিতেও বলছে না! বাবা একবারও বলছে না "মেম আজ চা খাবো তোমার হাতে"। সারাদিনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দরজার বাইরে জুতো খুলতে খুলতে ডাকি মা কে, কিন্তু কই মা নামক তো কোনো অপেক্ষা নেই এখানে গ্লুকন্ডি জল হাতে নিয়ে, নিজেকেই আলো জ্বালিয়ে অন্ধকারের ঘোর কাটাতে হয় রুমের! বাড়িতে নিজের হারমোনিয়াম টাকে বলে এসেছিলাম;-আসছি রে, যত্ন নিস নিজের,সুর যেন বসে যায় না তোর! আর এদিকে আমিই মায়ের বকুনির অভাবে ঠান্ডা লাগিয়ে বসে আছি! নিজের হাতে আঁকা ছবিগুলোর দেওয়ালে হাত রেখে বলে এসেছিলাম;-দেখিস ধুলো যেন না পড়ে! বড়ো শখের জিনিস তুই! আর এখন ?নিজের শখের পেছনে সময় দেওয়াটাকেও সকিং বলে মনে হয়!
বৃষ্টি আপাতত শেষ,
জানালা খুললাম..দেখি সাথে সাথেই আমাকে অবাক করে বাড়ি ফেরার টান,মায়ের হাতের আলুমাখা, বাবার হাসিমুখের অপেক্ষা রুমের বাতাস টাকে প্রাণবায়ুতে ভরে দিলো!
-
আমরা ছেড়ে না দিলে, ছাড়া তুমি পাবে কিভাবে প্রিয়
মৃত্যুকে জয় করে বাঙালির আবেগ তুমি - ফুটবলের রাজপুত্র !-
সামনে সাদা ক্যানভাস, কিছু দূরে বিষণ্ণ পিকাসো
যে স্বপ্ন জাগিয়ে রাখে ঠায় তাকেই তুমি বেশি ভালোবাসো!-
কি চমৎকার নিখুঁত ভাবে হারিয়ে গেলে, চারিদিকে ভাঙনের সুর তো
সিনেমার মতো বুঝি বাস্তবেও, মানুষ এভাবে বদলে যায় দ্রুত ?-
না পারি ছাড়তে, কারণ একটাই, শুধু ভালোবাসি
বৃত্তের মতো ঘুরে কিভাবে বলো কেন্দ্রের কাছে আসি?-
।। ২ রা বৈশাখ ।।
~~~~~~~~~~~~
২ রা বৈশাখ রবিবার চোদ্দোশো আটে
গায়েতে হলুদ মেখে স্নান সেরে
পরেছিলে লাল শাড়ি প্রথম প্রভাতে ।
কারো মুখে উলুধ্বনি কারো মুখে শাঁখের আওয়াজ
লাজে মুখ রাঙা করে, লাগছিল বধূ বধূ সাজ।
তারপরে শুধু হচ্ছিল মনে, কখন যে সন্ধ্যা ঘনাবে
বর বেশে আসবে স্বপ্নের রাজা, আড় চোখে কখন বা দেখা হবে।
অবশেষে দেখা হলো, কথা হলো
দেখলে আপন চোখে স্বপ্ন রঙিন
ভুলো নাকো বছর বছর আসছে সেদিন।
-