যা কিছু সাধারণ, যা কিছু সাবলীল তা অনেক বেশী সুন্দর...
-
জীবনের স্বপ্নগুলো তো নিতান্তই সাধারণ,
শুধু জনমুখর হয়ে যায় বাস্তবের লড়াইগুলো ।-
*** রাজপথ ***
রাজপথ সাক্ষী,রাতের কাহিনীর,
অতি প্রতিবাদী মেয়েটিও-
নিমেষে হয় ফ্যাঁকাসে,
আভিজাত্যের কালো কাঁচের অন্তরালে
নিলামে ওঠে বুবুক্ষ নারী শরীর ,
কালো রাত ছিনিয়ে নেয় - অবাধ্য দেবী'র বক্ষ আবরণ।
কৃষ্ণে'র মায়াজাল 'মহাভারত'ই আবদ্ধ।
কালো রাতের সাক্ষী থাকে একাকী রাজপথ।।
বুলেটের বিকট শব্দে - স্তব্ধ হয় কত নিরিহ প্রাণের স্রোত,
চাপ-চাপ রক্ত বুকে রাজপথ গুমড়ে মরে রোজ।
কত লাশ গুম হয়,
প্রিয় জনের চোখে উষ্ণ-প্রস্রবণ।
আইনের ফাঁকে লুট হয় সত্য।
জাঁতাকলে পিষ্ট হই রোজ,
সর্বশ্রান্ত,তুমি-আমি,আতি সাধারণ।।
-
ভালোলাগা অপেক্ষা করে এই সাধারণেরই ভিড়ে ,
শুধু তাকে খুঁজে নিতে জানতে হয় ।
সব রহস্য জমে থাকে এই কলমের নিবে ,
খুব চেনা চরিত্রদের নিয়েও অ-সাধারণের গল্প হয় ...-
অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন..
এরপরই বাঙালির অন্যতম সেরা উৎসব শুরু, মধ্যবিত্তের এই ক'দিন মানসিকভাবে উচ্চবিত্তে পরিণত হয়ে শতাধিক জামা থাকা সত্ত্বেও ঠাঁটবাঁট দেখিয়ে Pantaloons কিংবা Trends এ কেনাকাটা করা, অথবা K.F.C., Domino's এ বিলাসিতার সাথে খাওয়াদাওয়া, আর খাবার মোড়কগুলো নির্দ্বিধায়, অবলীলায় যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া..
আর বাড়ির কাজের লোক বা মিউনিসিপ্যালিটির কর্মী বা স্কুলের কোনো শিক্ষাকর্মীকে যখন পুজোর জন্য কিছু দেওয়া হয়, তখন তারা তাদের অক্ষমতা, কাজের ছুটি, কর্মবিরতি -এসবকে তাদের সামনে নিয়ে আসে, না তখন তারা আর সেই দরদ দিয়ে তাদের কিছু দিতে পারে না, তাদের জন্য এই পুজোর দিনগুলোতেও পড়ে থাকে আমাদের 'উচ্ছিষ্ট', 'অবশিষ্ট' ..।
চলুন না, এবারের পুজোয় এর একটা ব্যতিক্রম ঘটাই, এই মহোৎসবের মুহূর্তে তাদেরও সামিল করি একইভাবে, সামিল করি আমাদের জীবনের মূল চালিকাশক্তিদের; আমাদের জীবনের প্রকৃত "দুর্গা"দের..।-
আমি সাধারণ 🧡
জানি আমি ফর্সা ছিপছিপে
সুন্দরী তন্বী নই,
এটাও জানি যে আমাকে
সাথে নিয়ে চলতে
তুমি বিব্রত বোধ করতে পারো।
জানি তোমার পাশে
আমি বড্ডো বেমানান।
জানি তুমি সুন্দর;
কিন্তু আমিও অসুন্দর নই!
আমি সাধারণ 🧡-
......
ঠিক এত পর্যন্ত ভাবার পরই ঠকাস করে হোঁচট খাই। ফিরে তাকাই আমার পরিবার-পরিস্থিতি, সমাজ-সংসার, বাবা-মা-দায়দায়িত্ব, আব্রু-সম্মান-সীমারেখা'র দিকে। মনে পড়ে যায় আমি তো মধ্যবিত্ত। মনে পড়ে যায় আমিও ছোটবেলায় শিখিয়ে দেওয়া সংবিধান কপচানো এক অতি সাধারণ নাগরিক, যে কখনো সেই সংবিধান অনুভব করে পড়েনি। আমিও পৃথিবীর কোনো এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রান্তে নিজের ঘরের মধ্যে লুকিয়ে বসে থাকা, খুব ভীতু, ঝুটঝামেলা না-পসন্দ, মোবাইলে মুখ গুঁজে ফেসবুক নিউজফিড ঘষটানো এক সামান্য মানুষ। মনে পড়ে যায় আমিও ইতিহাস বইতে শুধুই পড়েছি, পাতা উল্টে হারিয়ে যাইনি কখনো, চাইনি কখনো সেসব ঘেঁটে নতুন কিছু দেখব, শিখব, জানব। আমিও পাতার পর পাতা বিজ্ঞান পড়ে ফেলেছি, ডিগ্রি পকেটে পুরেছি, কিন্তু কখনো মর্মে লাগাইনি। আমি বড্ড বেশি ই সাধারণ জানেন? বড্ড বেশি!!
বাকিটা ক্যাপশনে 👇👇👇👇👇👇👇👇👇-
যখন গ্রীষ্মের দাবদাহে অসহ্য বোধ হয় , তখন আর সারা বছর চালানো পাখা'টার কোনো দাম থাকে না , মন বলে এবার তো একটা এ.সি. কেনা যাক্ .. আর যখন বিদ্যুৎ সংযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় , তখন সেই এ.সি. যেন থেকেও থাকে না , একমাত্র সম্বল হয়ে ওঠে তখন সেই হাতপাখা।
জীবনে বেশি বিকল্প থাকলে অনুভূতিগুলো হারিয়ে যায়..।-