-
ছুঁড়ে ফেলে দেব লাল-নীল সব আড়ি।
বেরঙিন হব, একদম সাদাকালো।
ছেড়ে যেতে যেতে জমকালো কোনো রাতে
নরম পেরিয়ে তরবারি হওয়া ভালো।
পথের ওধারে আস্ত মরুভূমি,
বাষ্পীভূত জলের ওজন ভারী।
কোনো মধুরাতে কলঙ্ক হই যদি,
ছেড়ে রেখে যাবো আলতাপেড়ে শাড়ি।
মেখে নেব এক হলুদ বিকট আলো
পাতাঝরা কালে মশাল জ্বলন্ত।
কয়লা পড়ানো গন্ধ ঢেলে দিও
সাজিয়ে নেবো ধূসর বসন্ত।-
♧ অচেনা ♧
শ্রী রাজু গরাই ♧♧ ৭ই এপ্রিল ২০২০
কি করে বুঝবো, বোঝার কি জো আছে ?
গোল আলু আর রাঙা আলুর মধ্যে কত ফারাক !
ক্ষণিকের অচেনা সীমানায় ফোটে কত ফুল,
যাক সে কথা এখন যাক ।
প্রেম আছে, শুধু রজনীর দুঃখ যত অধরকোণে
আপনারে বুঝিতে চিনিতে পারিনি মনে ।
সব স্মৃতি ভাবাই, কোথা থেকে কোথায়
মিছে লাজ ভয়ে ছুটে না জ্যোৎস্না, কর্মে যায় ।
ভাঙা যায়, গড়া যায়, বুঝি বিধির বিধান ।
শুধুই কর্ণে শুনি অচেনা আবেগের গান
দিবসনিশি জন্ম মৃত্যু স্পর্শ করেনি সম্মুখে
বিরহে কাতর মায়ের চোখ সন্তান রাখে বুকে
বুঝবে কি তোমরা, বুঝবে শুধু স্বার্থের প্রাণ
ভয়ে ভীত হয়ে ডাকো ভগবান ।
যে চেনা ছন্দে ছুটছে পরাণ,
কোথাও মহাক্রোশে তা ছলনা ।
বজ্রের চেয়েও বিষাক্ত অভিনয়,
বুঝবে কি তোমরা, সে এমনিতেই আনমনা ।।-
পথের দুধারে রঙিন গল্প
মায়াভরা অনেক বাসনা
দাম দিয়ে কেনা জীবনের ক্যানভাসে
সুখের রং দিয়ে আঁকি যাতনা ll
বাস্তবের ক্যানভাসে অনুভূতির রং
দাঁড়িপাল্লাতে আশা ভরসার খোঁজ
সাদা কালোয় আঁকা জলছবিতে
আসল গল্প ফুটে ওঠে রোজ ll
জীবনের রঙে নতুনত্ব আসে
দৃশ্য পট পাল্টায় নিয়ম করে
সাদা কালোয় মোড়া জীবনের অনুভূতি
রোজ গভীরতা বাড়ায় একটু করে ll
সব যাত্রাপথেই গল্প আছে
নানা ধরনের রঙে রাঙানো
গলি পেরিয়ে রাজপথের ঠিকানাতে
সাদা কালো রংই জীবনের সত্য ll-
সাদা কালোতে রঙ মিশেছে,
কালোর কালিতে ঘৃণা।
সাদায় আবার শুভ্রতা টানে ,
স্বচ্ছতায় চলে বেচাকেনা।
কালো মেয়ের গায়ের রঙ
হয় যদি কুৎসিত কালো,
তবে কেন ঘন কালো কেশে
সজ্জিত নারীকে বলা হয় সুন্দরী কন্যা।
সাদা যদি হয় শান্তির বার্তাবহ,
তবে কোন শান্তির জন্যে,
বিধবা রমনী সাদা শাড়িতে
ঘোমটার আড়ালে বয়ে চলে অশ্রুবন্যা।
সাদা তে কালো তে নেই শুভ্রতা নেই কোনো ঘৃণা
একে অপরের দ্বন্দ্ব শেষে মিলিত বন্ধনেই রঙ চেনা।
-
তোর জীবন রাঙাতে গিয়ে খেয়াল করিনি কখন নিজের জীবনটাই বেরঙ হয়ে গেছে,
সাদা কালোর মিশেলে সে এক অদ্ভুত নতুন হাতছানি যেন ...
তার অমোঘ ধূসর আবছায়া চুম্বকের মতো শেষ রংটাও নিংড়ে নেয় ;
আজ আমি তোর রং ভুলে মেতেছি এই দোরঙা জীবনে,
আমার জীবন না হয় থাকুক সাদা কালো ,
ডোরাকাটা মন। ডোরাকাটা জীবন।
-
কিছু নাগরিক যন্ত্রণা
রঙিন দুনিয়ায়,
সাদা-কালো টিভির মতো|
তেলে জলে মিশ খায়না|
তাতে কী?
অন্ধকার রোজ হিসেব নিতে আসে তো!
সেদিন ভাবছিলাম,
হেঁটে-হেঁটেই হারিয়ে যাব|
কিন্তু কতটা পথ পেরোলে,
হারিয়ে যাওয়া যায়?
অঙ্কটা কষতে বসলাম|
কাগজে পেন ছোঁয়াতেই,
দেখি কালি শেষ!
অন্ধকার আমায় দেখে গান গায়;
"এই পথ যদিনা শেষ হয়....."-
- নাঃ জ্বরটা বাড়ছে। উফ্ মা.....
- চুপ করে শুয়ে ঘুমোতে পারছো না?
অমলের মনে পড়ে গেল সেই সাদা- কালো স্মৃতিগুলো। একটা সময় তার জ্বর হলে তার মা সারা রাত জেগে থাকতেন। পাপিয়া আসার পর মাকে সে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে।
( মনের গভীরে)
- তোমারও কি মনে পড়ে মা সাদা- কালো এই টুকরো স্মৃতিগুলো?
মায়ের সাদা- কালো ছবিটার সামনে প্রায় এক বছর পর দাঁড়ালো অমল তবে এইবার একরাশ অনুতাপ নিয়ে।।-
আমরা সাদা-কালো দুই দল। আমরা একই ছাদের তলায় থাকি। যুদ্ধ তো হয় প্রায়ই, হার জিত ও আছেই...। হাতি, ঘোড়া, সৈন্য নিয়ে রাজা মন্ত্রী যুদ্ধ করতে নামলেও শেষে আমাদের মিলে মিশে একটা কৌটো কিংবা বাক্স তেই ঠাঁই মেলে। আমাদের যুদ্ধ কখনও দু'মিনিটেই শেষ বা কখনও গড়িয়ে যায় এক প্রহর। আমাদের সাদা-কালো তেই সংসার। এই সংসারে রোজ ভাঙন ধরে। আমরা বাংলায় বলি কিস্তিমাৎ। তবু আমরা আমাদের রং নিয়ে গর্ব করি। যুদ্ধ করি। আমাদের আকৃতি ভিন্ন হলেও আমাদের পরিচিতি "সাদা-ঘুটি" আর "কালো-ঘুটি"।
আর তোমাদের দেওয়া গাল ভরা নাম -
দাবা-
তুমি সাদা আকাশ,
আমি মেঘ কালো
কেমন লাগছে বলো
আমার বুক চিরছে আলো?
তুমি সাদা কাগজ,
আমি সই কালো
কেমন লাগছে বলো
তোমাকে ভরলাম কত ভালো!-