প্রত্যেক নারী তার স্বামীর হাত ধরে মা, বাবা ,দাদা,ভাই ,বোন ,দিদি সবাইকে ছেড়ে স্বামীর ঘরে যাওয়ার শক্তি পায় কোথা থেকে জানেন ......তার স্বামীর মুখের দিকে চেয়ে। কারন এক স্বামী মায়ের মতো আগলে রাখে মায়ের মতো বোঝে ...এক স্বামী বাবার মতো আদর আর শাসনে রাখে ..এক স্বামী দাদা বা ভাই এর মতো খুনসুটি করে ...এক স্বামী দিদি বা বোনের মতো এক বন্ধু হয়ে ওঠে । এক স্বামী সম্নান আর ভালোবাসা দিয়ে নিজের স্ত্রীকে ভরিয়ে রাখে । আর প্রকৃত স্বামী তারায় যারা এই প্রত্যেকটি গুনের অধিকারি।
-
চিন্তিত ছিলাম এককালে, শ্বশুরবাড়ি হবে যে কেমন!
ভালো-মন্দ সব খবরই শুনে মন্দের প্রভাবই বেশি পড়ত, কারণ মেয়েদের মনটাই এমন।
সেখানে কেমন হবে সদস্যগুলো, কেমন হবে স্বামী...
এ চিন্তায় ভয় লাগত, "শাশুড়ির কাছে হব তো দামী?"
অবশ্য যাইনি এখনও সেই অদ্ভুত জায়গায়, কি জানি কি হবে!
কখনও ভাবি করব না বিয়ে, আবার কখনও ভাবি বিয়ে যে করব কবে!
সিদ্ধান্তে উপনীত হতে কত রকম যন্ত্রণা, ভালোই হত যদি শাশুড়িগুলো হত কালা।
মর্ডান বৌমা হতে পারতাম স্বামী-শ্বশুরের প্রশ্রয়ে, থাকতো না কোনো জ্বালা...
এ তো জানি শুধু স্বপ্ন মাত্র, মায়ের মত শাশুড়ি পেতে গেলে লাগে সোনার কপাল।
মধুচন্দ্রিমা করতে যে বলবে যেতে, "পুরী, বৃন্দাবন নয় মা, তুমি যাও নেপাল।"
সব ভাবনা ঠিক নয় হয়তো, বলবে যারা পেয়েছে একজন ভালো মা...
এখনও আমি পাইনা বলেই আসে যত মন্দ ভাবনা।-
শ্বশুর বাড়িতে বাপের বাড়ির মতো মেটায় না কেউ আবদার !
আমার শ্বশুর বাড়ির সবাই হলেন এক একটি অবতার |
শ্বাশুড়ি নিজেকে দূর্গা ভাবেন আর ননদটি আমার নারদ,
আমার কাছে শ্বশুর বাড়ি হল একটি সাজানো গোছানো গারদ |
বাবামশাই আবার অন্য দিকে বৌমা ছাড়া কিছু বোঝেন না |
ভাসুর ও আমার খুব ভালো, তবে জা এর সাথে সব সময় ঠিক জমে না !
পিএনপিসি-তে আমার জা কে হারাবার নেই কারোর সাধ্য |
আচ্ছা আচ্ছা পাড়ার কাকিমা তার সামনে হার মানতে বাধ্য |
সারাদিন ধরে যেন শ্বশুর বাড়িতে চলে সার্কাস |
এটা কর, ওটা কর, উফ্ কত কি যে ফরমাস |
দিনের শেষে সব কাজ মিটিয়ে শান্তিতে যখন ঘুমোতে যাই,
আমার বর তখন নাক ডাকছে, যেন কুম্ভকর্ণের দুঃসম্পর্কের ভাই !
-
শোনো শোনো বন্ধুগণ শোনো দিয়া মন,
শ্বশুরবাড়ির পাঁচালী শুনে ছুঁয়ে যাবে মন।
বিয়ে আমার প্রেম করে অল্প পরিচয় অল্প দিনে
তখন কি আর বুঝেছিলাম বাঁশ থুড়ি সংসারের মানে!
রান্নাবান্না, ঘর গোছানো এই সবে নেই মন,
কারোর কথা কানে যায় না, কানেতে যে হেডফোন।
শাশুড়ি মা বলেন না কিছুই চুপ করে থাকেন,
শ্বশুর মশাই খুব ভালো আমায় মা বলে ডাকেন।
আমার পরনে জিন্সটপ, কুর্তি আর চুড়িদার,
শাশুড়ি মা রেগে বলেন শাড়ি পরা জানা দরকার।
কথায় কথায় ইংরেজি আমার, আমি আধুনিক বউমা,
শাশুড়ি মা তাই সিরিয়ালে ব্যস্ত, কোনো কিছুই কন না।
আমার একদিন ভীষণ জ্বর তাপে পুড়ছে হাত পা,
মাথায় কে যেন জলপটি দেয়, স্পর্শ স্নেহের, আমার মা।
জ্বর জ্বর চোখে তাকিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি মায়ের মুখ,
পরম স্নেহে বুকে টানলেন পেলাম এক ভালোবাসার সুখ।
-
আশায় আশায় আছি বসে
খাবো জম্পেশ জামাইষষ্ঠী,
শ্বশুরবাড়ি জুটবে কবে,
মিলবে মোর ঠিকুজি-কুষ্টি।
ইচ্ছে কত, মনের মাঝে,
মাছের মাথা আর দই-ভাত
খাবার লোভে বলছি হেসে,
“শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ!”
-
বিয়ের স্বপ্নে সব মেয়েরাই থাকে বিভোর হয়ে,
আমিও নই এর ব্যতিক্রম,শুধু একটু দস্যি মেয়ে।
তবে বড্ড ভয় লাগে, যা দিনকাল
যদি বিয়ের পর শ্বশুর বলে,
যাওনা দুদিন বাপের বাড়ি, এনো দশ ভরি সকাল সকাল।
মনের মধ্যে সেই এক ব্যাথা,
যদি শোনায় তারা সেকথা কুকথা!
উফঃ রাতে যে ঘুম আসে না,
কেমন হবে শ্বশুরবাড়ি?
কেমনই বা সে বাড়ির কর্তা-কত্রী?
ধুত্তোর নিকুচি করেছে আমার শ্বশুরবাড়ি!
আমি একেই কাজে অষ্টরম্ভা,
তার ওপর যদি খাটায় বাবুদের হত্তাকত্তা!
না ভাই থাক্, থাকুক পড়ে ওমন বাড়ি,
আমি থাকব নিজের বাড়ি,
ধুলোয় লুটোপুটি খাক্ ও শ্বশুরবাড়ি।।-
শ্বশুরবাড়ি সে আবার কি?
এই নিয়ে কিবা আমি লিখি !
কোথায় যাবো কেই বা জানে,
কি হবে করেই বা দেখাদেখি..
যেদিন আমায় নিয়ে যাবে বর
ঘোরাতে আমার শ্বশুরবাড়ি,
গিয়েই আমি বলবো বকা দিলেই
কিন্তু দেব সবার সাথে আমি আড়ি.
শাশুড়ি বলবে বৌমা তুমি বলো
যে তুমি কি কি কাজ জানো?
আমি তখন হেসেই বলবো কিছুইতো
জানি না এবার কি হবে একটু বলো...
কাজেতো অষ্টরম্ভা, স্বভাবে একটু পাগলী
সবাই বলবে বৌ না এনে কি যে তুলে আনলি.
কোনোদিন হয়তো রাগের মাথায় বলবে
আমায় তুমি তোমার বাড়ি চলে যাও
আমি কিন্তু বলবো আমার বাড়ি কোথায়?
আগে তো আমাকে তার ঠিকানাটা দাও..-
হারান বাবু জামাইষষ্ঠী খেতে যাবেন শ্বশুর বাড়ি,
যাতায়াতের জন্য তাই ভাড়া করেছেন দামী ছ্যাক্কা গাড়ি।
বাজার থেকে কিনেছেন ইলিশ মাছ, রসগোল্লা আর দই,
বাড়ি থেকে নিয়েছেন নিজের লাগানো সব্জি, পালং আর পুঁই।
শ্বশুর বাড়িতে বুঝে-শুনে খেতে বলে দিয়েছেন মা,
তাইতো জামাই ঝাউভাত ভেবে পায়েস খেতে চায়না।
শাশুড়ি মায়ের জোরাজুরিতে এককনা পায়েস পড়ল যখন পাতে,
জিহ্বায় পায়েস লাগাতেই জামাই চমকে উঠল সাথে সাথে।
পায়েস না খাওয়ায় জামাই বাবাজির ভীষণ রাগ হল,
রাতের বেলা পায়েস খেতে তাই রন্ধনশালায় গেলো।
টুংটাং করে পড়ল বাসন যেই না গেল রন্ধনশালায়,
শাশুড়ি মায়ের গলা শুনে জামাই ধুতি মুরিয়ে তাই পালায়।
-