যে নদী ,তপ্ত মরুর বুকে,বয়ে যেতে যেতে –
হারিয়েছে তার সুধার স্রোতের ধারা ;
তুমি কি তবু আশায় রবে, তার প্লাবনে ভেসে-
হবে নাকি ফের আকুল পাগল পারা ?
যে বৃক্ষ ,পাতা ভরা ডালে, ছায়া দিত তলে,
সে গাছ আজ পাতাবিহীন কাষ্ঠপ্রায় ;
পাতা ভরে সেই ডালটি
কবেফের ছায়া দেবে?
তুমি কি রবে বসে সেদিনের আশায় ?
বলেছিলে,একলা ঘরে পথ চেয়ে রবে
তুমি, কি রহিবে সারা জীবন ধরে ;
আজও কি সে কথা ভাব বসে নীরবে,
খুব জানতে ইচ্ছে করে !!
-
এক বিকেল ঠোঁট ছুঁয়ে
কান্না হাসি হাসে ,
রাতের সন্ধ্যা তারা
পূর্ণিমাকে ঢেকে রাখে ।
চৌকাঠ ভাঙা পথ
কোনো শাড়ির নাম লেখে ,
জামার বোতাম ছেঁড়ে
শক্ত সুতোর অভাব মেখে ।
নেইলপলিশের রঙ কেন
আজ বদল হয়ে গেছে ?
শূন্য উড়োচিঠি আমার
দরজা কেনোই বা ভেঙে গেছে ?
-
ভাবিয়াছিলেম পড়ন্ত বৈকেলে গোধূলির রঙ্গে তোমায় পাবো,আজ সমস্তকিছুই নীলাভ হইয়াছিল, কই! তোমারে তো আমি দেখিতে পারিনি সজনী !!! প্রত্যাশা মোর প্রত্যাশাই রইয়া গেল তাহা আর বাস্তবায়ন হইল নাই।
আজ পুনরায় ভাবিলেম সখী তোমারে আমি সান্ধ্যকালিন ধ্রুপদী নক্ষত্র মাঝরে চয়ন করিব
তোমার হাস্য উজ্জ্বলময়ী এক মায়াবিনী বদনখানি। তুমি আসিয়াছিলে ঠিকই, কিন্তু মোরান্তরের অঙ্গনে তো আসিলে নাই .......-
নিকোটিন
------------
ওহে প্রিয় প্রাক্তন,
তোর উপেক্ষায় উপেক্ষিত হয়ে,হয়েছিলাম আমি বেপরোয়া,
ঠিক তখনই আমার মনে লাগল নতুন প্রেমের ছোঁয়া।
জীবনকে প্রলম্বন করতে হয়ে গেলাম তার ওপর নির্ভরশীল,
আর সেখানেই হয়ে গেল জীবনের সবথেকে বড়ো গড়মিল।
সে নিয়ন্ত্রণ করত আমার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস,
তাকে নিয়ে সৃষ্টি করলাম এক দীর্ঘ উপন্যাস।
আজ তারই নামে লেখাখানি করছি উৎসর্গ,
সে যে আমার হৃদয়ে বিছিয়েছিল প্রেমের বিচিত্র বর্গ।
ধীরে ধীরে হয়ে গেল বাস্তবটা বড়ো কঠিন,
আমার এই অন্তরঙ্গ প্রেম আমার সাথে প্রতারণা করল,
বিশ্বাসঘাতক তুই,নিকোটিন।
তোকে বিশ্বাস করে শোপেছিলাম তোর কাছে আমার জীবন,
আর অবশেষে কিনা তুই হবি আমার মৃত্যুর কারণ।
এখন আমায় একটু একটু করে কাছে টানছে মরণ,
অসম্পূর্ণ থেকে গেল আমার গল্পের সাতকাহন।
-
লেখা আছে আজও তোমার নাম ,
বাক্সবন্দী আজ তোমার দেওয়া চিঠির খাম ;
শব্দগুলোও আজ ও বলে হেসে ,
এইটা কি ছিল সব প্রতিশ্রুতির শেষে !-
বোঝাতে পারিনি তোমায় মোরসুপ্তপ্রায় ভালোলাগার কথা।
ইশারার ভাষাতে ভাঙ্গেনি তোমার নিরবতা ।
আমার তো সব কথাই তোমার আছে জানা-তবু আমি ছুতে পারিনি তোমার মনের কোণা খানি।
হয়ত বা আমার কথায় জমেছে তোমার মনের বিরক্তি হায় ! কি করব বলো এ মনের ভালোবাসা যে সত্যি। তুমি তো কখনো চাওই না এমন তর খারাপ সাথী তাই না ?
মোর বক্ষমাঝে জ্বলুক আমার বিরহের মশাল;
হে! প্রিয়তমা তোমার জীবনে আলো থাকুক আর
আমি পুড়ি চিরকাল ।
-
অনাদরের পালকি চড়ে ঘুরছি ভীষণ একলা ঝড়ে
দূরে গেলে দুটি মন,আদরে' বিষাদ এসে ভর করে।
-
দিবার অন্তিমক্ষনে আসিলো বিষণ্নতার কামড়-রোদেলা দিনের অনেকখানি স্মৃতি ভাসিয়া যায় ;কোনটা রঙিন, আবার কোনটাই বা মলিন তাহা চাদরে মোড়ানো কোনটায় হয়ত বা ছিটে-ফোঁটা বারিধারার ন্যায় আঁধারে ভঙ্গুর চন্দ্রালয়ে মনে পড়িয়া যায় কাম্পিল্য আম্র-কানন ।
সত্যিই, আজ মোরান্তরে ধরিয়াছে কালোতামষাবৃত সীমাহীন বিরহ, ক্রন্দনের ইচ্ছেটুকু থাকিলেও ক্রন্দন করিতে পারি নাই সমস্ত নীর মরুভূমির ন্যায় শুকিয়াগেছে সে-বেলাতেই .....
-
একেলা বিরহের
মধ্যরাত্রির পথ-খানি
তারকাদের সহিত হাঁটিয়াছি
নীলাম্বের অন্তিমলগ্নে চিরতরে বিলীন হইবার উদ্দেশ্যেই......
-