প্রিয় তুমি,
জানো কি অসম্ভব কেলেঙ্কারীটাই না
হতে চলেছিলো।
আমার আসে পাশের মানুষ গুলো
যাদের এতদিন আমার শুভাকাঙ্খী বলেই জানতাম।
তারাই এই ভয়ানক সর্বনাশটা করছিল আমায়।
আমাকে রীতিমতো বুঝিয়েই ফেলেছিল,
যে আমার একজন সাইক্রিয়াটিস্ প্রয়োজন।
আমার নাকি সবকিছু ভুলতে শিখতে হবে।
আমার নাকি অতীত কে ভুলতে শিখতে হবে।
কি দুঃসাহস ভাবো আর একটু হলে সবটা ভুলিয়েই দিচ্ছিলো।
এতদিন ধরে রোজ মনে ভিতর যত্নে বাঁচিয়ে রেখে
আমার নাকি তোমাকে ভুলতে শিখতে হবে!
আমি কিন্তু শুনিনি তাদের কথা।
তুমি শুনছো!! তুমি শুনছো!!
নাকি ভীষণ ব্যস্ত কারো সাথে!!!!!!
-
শীত লেগেছে চাঁদের গায়,
একটু খানি উষ্ণতা চায়,
চাঁদের বুড়ি চড়কা কেটে,
বুনে যাচ্ছে সুতো;
সেই সুতোতে চাঁদর হবে,
চাঁদের গায়ে জড়িয়ে রবে,
মিষ্টি আলো ছড়িয়ে দেবে,
উষ্ণতারই মতো!-
শরীরের প্রতিটি লোমকূপে মাখা আছে তোমার স্পর্শ,
তবুও যেনো আমাদের দুরত্ব ছাড়িয়েছে আলোকবর্ষ।-
দেখা হবে,
কোনো এক ফাল্গুনে-
ফেব্রুয়ারির বই মেলায়,
অথবা হুমায়ুনের নোহাস পল্লীতে।
দেখা হবে,
অগ্রাহায়নের ফসলী মাঠ ঘেরা-
পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ বিলাসে,
অথবা জমকালো কোনো এক বিয়ের মণ্ডপে।
দেখা হবে,
আগস্ট অথবা মার্চে;
এক তোরা নয়, মাত্র একটা ফুল হাতে।
দেখা হবে,
সাদাকালো শাড়ী আর পাঞ্জাবিতে,
জ্যোৎস্না বিধৌত কোনো একলা নীরব রাতে।-
শুনছি তো , তোমার মনের সব কথা শুনছি
নিজের মনে কান পেতে।
হয়তো সত্যিই ভীষণ ব্যস্ত আমি কিংবা ব্যস্ততার বাহানায় ডুবিয়ে রাখি নিজেকে।
হয়তো ব্যস্ততার বাহানাটাই সত্যি,
বুকের মাঝে থাকা তুমি টাকে লুকিয়ে রাখার জন্য।
সত্যিই তারা তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী,
তারা বোঝে এই ব্যস্ততা আর শেষ হওয়ার নয়।
হয়তো তারা জানে তোমার তুমিটা কেমন অগোছালো আমি ছাড়া।
তাই এই ব্যস্ততা টাই থাক তোমার সামনে,
তাতে যদি গুছিয়ে নিতে পারো তোমার অগোছালো তুমিটা কে।-
হাজারবার নিজেকে বলেছি,
তোমাকে আর ভাববো না ধুর!ছাই;
অথচ,একটু আধটু বিষমেই
তোমাকে মনে পড়ে যায়।-
বিশ্বাস করো প্রিয়তমা,
এই হাসি টুকু ছাড়া তোমাকে দেওয়ার মতো
আমার আর কিচ্ছুই নেই৷-