চাঁদের রূপে ওরা মুগ্ধ হয় না
জোৎস্নারা আলোয় করে না প্রেমিকার কল্পনা
চাঁদ নিয়ে রোমান্টিসিজম ওরা বোঝেই না
চাঁদকে নিয়ে কাব্য করা ওদের কাছে
বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না
যাদের ঘর নেই, মাথায় ছাদ নেই
তারা রুপকথা খোঁজে না
একমুঠো সাদা ভাতের স্বপ্ন দেখে
ওরা মলিন বস্ত্রে মুখ ঢাকে
ওদের জীবনে চাঁদ 'ঝলসানো রুটি' ছাড়া কিছু না
খুশির চাঁদ ওঠেনি ওদের আকাশে
নেই শব্দটা ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বহারা মানুষগুলোর চারপাশে
ওদের নেই রাজ্যে চাঁদ কেবলই এক প্রহেলিকা।
সব না পাওয়ার এক মরিচীকা।
-
তুমি সেই নারী, যার প্রিয় কালপুরুষ পুড়ে গেছে
সাদা সাদা লাশগুলো অন্ধ ছিল না বোধহয়
তেজ জুগিয়ে চলছে আজও কোনো পিরামিডের মেরুদণ্ড
এ তো মাকড়সার জালে ধুলোর কয়েদখানা! ডিনামাইটের বিছানা
বিলিতি শব্দের শহরে আমি একা কেন হেঁটে চলি?
বুকটা চিরে ফেলে তার সমান্তরাল হবার নেশা
নীলান্তিকা আবার এসো, চলো না চেষ্টা করি আর একটিবার
বুক শেল্ফের কোণে কালো ডাইরিটাও হাতের ঘামে বিদ্ধস্ত
কতগুলো আঁকচিরা রুমালখানা করেছে দখল
একফোঁটা জলে ফুটন্ত আত্মতাপ, ক্লান্ত মুঠোফোন
কারণটা বোকাবোকা, বিরহে মিষ্টতা খুঁজতে নেমে আমি ঘরছাড়া
রামধনু রঙা ফেনা জমেছে আমার ছেঁদা চোখের কোণে
তোমার নখের আঁচড়ের লোভে ছুটে যেতে চাই
এক মর্কট ব্যতিব্যস্তের ভীড়ে আনমনে তাকিয়ে থাকে, সবাই দেখে হাসে
নামটা আমার উঠেছে পুঁজিবাদীদের শিরোনামে
মনবিষের দাসত্ব আর কতদিন করবো আমি?
একঘেয়েমি ব্যামো গ্রামের আলপথ মনে করায়
দশটা পড়শী আঙ্গুলের সেসব ছিল প্রতীক্ষিত বর্ষা
নেই, বেঁচে নেই কিছু, একারা আজকাল বৈধতার শিকার হয়
সময় আমার হাতের বালি হয়ে গেল, আবর্জনা তো ভাঙাচোরাদের বাস
হলে হোক হাতবদল, এ শালিক পথ ভুলেছে, নিখোঁজ তার তন্দ্রালু অবকাশ।-
থেকেও যেন নেই আদরের ডাকনামগুলো
তিনটা বাক্যেই যেন এখন আব্দার উধাও হয়ে যায়
সময় সম্পর্কের চুলে পাক ধরিয়েছে
নাম গুলো শুধু নামেই থেকে গেছে
অল্প কিছু চরিত্রের আবছা নিশ্চল মুখ
বিয়োগে-বিয়োগে দিনলিপিটা হালকা হয়ে যাচ্ছে
কবিতাটার বিকেল হয়ে এলো
কারো কথা আজ মনে পড়ছে খুব...-
হয়তো তুমি ভাবছো বসে,
কখন আসবো আমি ফিরে,
তোমার ভালোবাসার নীড়ে।
এসে গেছি অনেকটা দূরে,
অনেক মাঠ,বন,ঝর্ণা,পাহাড় নদী,
অনেক কিছু পেরিয়ে।
এখন সব কিছু লাগছে ধোঁয়াশার মতো,
ধূসর,শুধুই ধূসর,,,কি করে ফিরবো তোমার কাছে,
আমি হারিয়ে গেছি,তোমার জীবন হতে।
পারলে ক্ষমা করে দিও,,
তোমার স্মৃতির পাতায় থাকবো আমি,
আমার কাছে,ওটাই যে বড্ড দামি।।
-
একলা ল্যাম্পপোস্ট নীরব সাক্ষী শহুরে কথকতায়
নিয়ন আলোয় চিবুক ঘাম ভেজায়
পাড়ার মোড়ে তেলচিটে বেঞ্চটা বেকারত্বের গল্প শোনায়
অবসাদে ভুগতে থাকা একদল নাম লেখায় হতাশায়
ওদের নেই এর মিছিলে শুধু ক্ষোভ, না পাওয়া।
-
সঙ্গ দোষে অল্প বয়সে ধরে সর্বনাশা নেশা।
খোরাক যোগানোর জন্য বাবার পকেট মারা শুরু,
পড়াশুনার নামে অন্য এক খেলা, স্কুলে যাওয়ার নাম
করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নেশার ঠেকে আড্ডা----
ধীরে ধীরে চুরি ঘরে ও ঘরের বাইরে।
পড়াশুনায় রেজাল্ট খারাপ।
অভিভাবকের স্কুলে ডাক।
চলে উত্তম মধ্যম কিন্তু নো পরিবর্তন।
যখন অনেকটা দেরি হয়ে যায় তখন আর
ফেরার পথ নেই জানা।
ডি অ্যাডিক্সশন সেন্টার, মানসিক ডাক্তার
নষ্ট ক্যারিয়ার, ভ্রষ্ট জীবন, অঙ্কুরেই বিনাশ।।
কলমে : ভীষ্মদেব রাণা-
তুমি নেই বলে অঝোর ধারাই বয়ছে বৃষ্টির ধারা
তুমি নেই বলে এই অবুঝ মন আজও পাগলপারা।।
তুমি নেই বলে পথিক ভিজছে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে
তুমি নেই বলে বাচ্চা ছেলেটা ভয় পাচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজতে।।
তুমি নেই বলে শাসনব্যবস্থা আজ থমকে গেছে
তুমি নেই বলে পৃথিবীটা আজ অশান্ত হয়েছে।।
তুমি নেই বলে ঘরে ঘরে আজ তালা ঝুলছে
তুমি নেই বলে মানুষ মানুষকে আজ ভুলতে বসেছে।।
তুমি নেই বলে শিক্ষাব্যবস্থা আজ রাজনৈতিক হয়েছে
তুমি নেই বলে মানবিকতা আজ হারিয়ে যাচ্ছে।।
তুমি নেই বলে প্রেমিক আজও প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ
তুমি নেই বলে টাকা উপার্জনই আজ জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।।-
যেই মুহূর্তে দিনগুলো
কেটে যায় এবং আমি ছিলাম পুরনো
সেই মুহূর্তে যদিও
সিগারেট টান ঠোঁটের কোণে
অদ্ভুত নিঃশ্বাসটা পড়ছে
লাশ কাটা ঘরে এখনো
আর আমায় ঘিরে ব্যাস্ত
অচেনা মানুষের ভীড় ভীষণ
শুধু দরজার ওপারে
দাঁড়িয়ে সে কি কাদছে এখনো-
মন একে একে দুই
একাকার আমি তুই
আর না চোখ ফিরিয়ে একটু হাস।
নেই মনে কি কিছুই
তোর ঠোঁটের ডানা ছুঁই
মিলবে সব জীবনের ক্যালকুলাস।
স্মৃতিরা গেছে পরবাস
কথারা হয়েছে নিঝুম
এ বুকে তবু বারোমাস
ভালোবাসারই মরশুম।❤️❤️❤️-